১০৫ বছর বয়সী ভার্জিনিয়া হিসলপ দুই সন্তানের জননী। সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সুখে জীবনযাপন করেছেন। হিসলপ তার জীবনের বেশিরভাগ সময় শিক্ষার জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি সেন্ট্রাল ওয়াশিংটনের স্কুল ও কলেজ বোর্ডে কাজ করেছেন।
জীবনে বহু সাফল্য সত্ত্বেও তিনি সেখানে কিছু অনুপস্থিতি অনুভব করতেন। তিনি বলেন “বিভিন্ন সময় আমার ইচ্ছা হতো, আমি আমার অসমাপ্ত মাস্টার্স (ডিগ্রি) শেষ করতে পরতাম এবং ডিগ্রিটা যদি পেতাম।”
২২ বছর বয়সে হিসলপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে নিয়মিত ক্লাস করেছিলেন কিন্তু ১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু দিকে তিনি মাস্টার্সের থিসিস জমা দিতে পারেননি । তিনি বলেন- সে সময়, “জাপানিরা পার্ল হারবারে বোমা মেরেছে”।
যুদ্ধের শুরুতেই তিন তার কলেজ প্রেমিককে বিয়ে করে নেন। তিনি যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেছিলেন। তারপরে তার পরিবারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু কখনই আর থিসিসটি শেষ করতে পারেননি।
স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশনের ডিন ড্যানিয়েল শোয়ার্টজ বলেছেন, ৮৩ বছর খুব দ্রুতই শেষ হয়েছে। আমাদের আর থিসিসের প্রয়োজন নেই, কিন্তু তিনি আসলেই গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশনে মাস্টার অফ আর্টসের প্রয়োজনীয়তাগুলো সন্তুষ্ট করেছেন। সুতরাং ৮৩ বছর পরে আমরা তাকে সম্মান জানাতে প্রস্তুত।
গত রবিবার (১৬ জুন) স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে হিসলপের পরিবারের উপস্থিতিতে মঞ্চে গিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। এসময় তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান উপস্থিত সবাই।
এসময় ভার্জিনিয়া হিসলপ বললেন, আমি এটির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি।