The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

বিভাগের শিক্ষকদের একাংশের অনীহায় কালক্ষেপণ হচ্ছে ডিগ্রি পরিবর্তনে : অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ডিগ্রি পরিবর্তন করার দাবিতে দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ আন্দোলন করেও ডিগ্রি পরিবর্তনে বিভাগের শিক্ষকদের একাংশের অসহযোগিতা মূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমা জান্নাত রিনতি ও ফারজানা রহমান সঞ্চি।

তারা বলেন, আমরা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অথবা ইতিহাস বিভাগে ডিগ্রি পরিবর্তন করার জন্য গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জমা দিয়েছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে এবং ইউজিসির নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৪ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলে বিএমএস বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ডিগ্রি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে প্রেরণ করেছে।

আমরা আশাবাদী ছিলাম অতিদ্রুত আমাদের বিভাগের ডিগ্রি পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সূত্রে জানতে পারলাম আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের একাংশ ইউজিসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলকে বিতর্কিত করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক চিঠি জমা দিয়েছে। যার কারণে আমাদের ডিগ্রি পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানে বিলম্ব হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, আমাদের বিভাগের শিক্ষকদের বিরোধিতা প্রকাশ্যে আসলে আমরা শিক্ষার্থীরা ১ নভেম্বর বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় সভার জন্য আবেদন করেছি এবং চেয়ারম্যান আমাদের ৫ নভেম্বর মতবিনিময় সভার জন্য সময় নির্ধারণ করলেও শিক্ষকদের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকরা কোন কারণ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন না। পরবর্তীতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরনাপন্ন হয়েও আমাদের বিভাগের ইতিহাসের শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসতে পারিনি।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইউজিসির সাথে সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বিভাগের শিক্ষকদের একাংশের অসহযোগিতামূলক আচরণ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের জীবনকে হুমকির মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে দাবি তুলেন। পাশাপাশি চলতি মাসের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধান করে দ্রুত পরীক্ষায় বসতে চান।

এছাড়া, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মনোবল দুর্বল করতে “তাহাজ্জুদ বাদ দিয়ে ফরজ নামাজ পড়ো, আগামী ছয় মাসেও সমাধান হবে না” এ জাতীয় বিভিন্ন অপপ্রচার ছড়ানোসহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও অপপ্রচারে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষকরা সরব রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এধরনের বিষয়ও তুলে ধরেন তারা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.