The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

বাকৃবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ওই মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় তারা তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন।দাবি তিনটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগ, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নেয়া এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে কোনো বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের পদত্যাগ।

এদিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবিগুলো বাস্থবায়নে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুবই লজ্জাজনক ঘটনা যে শিক্ষককে ছাত্রের দ্বারা লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। একজন শিক্ষকের রুমে একজন ছাত্রনেতা ও তার অনুসারিরা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে। পরে শিক্ষকের উপস্থিতিতে একজন ছাত্রকে মারধর করা হয়। শিক্ষকরা বাধা দিতে গেলে শিক্ষকদের উপরও হাত তোলা হয়। এমন ঘটনা বাকৃবির ইতিহাসে আগে ঘটে নাই। এমন ঘটনা জানার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি নিরবতা বজায় রেখেছে। আমরা মনে করি প্রক্টরিয়াল বডি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। দোষীদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে না পারলে তার পদত্যাগ করা উচিত। ছাত্রলীগকে বিতর্ক করার গোপন ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচনের আগে এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শিক্ষদের সাথে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় শিক্ষক সমিতি এখনো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদ লিপিও তারা দেয়নি। এমন সমিতি থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। শিক্ষক লাঞ্ছনা এবং মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন পদত্যাগ করুক।

মানববন্ধনে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক ড. তানভীর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান এবং প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. হামিদুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা, আজ (বুধবার) শিক্ষক সমিতির অভিষেক ও বাজেট সভা অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। এবং সকল শিক্ষককে ওই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার আহবান করে পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.