The Rising Campus
News Media
শনিবার, ১লা এপ্রিল, ২০২৩

বন্ধ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে প্রতিদিন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ১৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০৯ দিন পর শনাক্তের হার ৫ শতাংশকে অতিক্রম করলো। সর্বশেষ শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে কী-না।

শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। এর আগে এমন কথা বলেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের হার কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো দেশ, একবারে অনেক উন্নত দেশও করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থা। আমাদের ঝুঁকি নেবার কোনো সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতেই হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অফিস নিয়মিতভাবে এ বিষয়টি দেখাশুনা করছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের গুজব। এ বিষয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনিও গুজবের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয় এখনও এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে অবশ্যই তা জানিয়ে দেয়া হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই এখন অনলাইন একটিভিস্ট ও ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করছেন। তারা সব সময়ই কিছু চমকপ্রদ নিউজ দিতে চায়। এই ধরণের ব্যক্তিরাই এমন তথ্য ছড়িয়ে থাকেন। এগুলো সবই বাণিজ্য। বিষয়গুলো আমরা মনিটরিং করছি। তবে যদি প্রয়োজন হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। যেহেতু সারা বিশ্বেই ওমিক্রন বাড়ছে, নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও সংক্রমণ বাড়লে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হবে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে শর্ত শিথিল করেছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া শিশুর নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হবে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও জনসমাগম তৈরি করে এমন ধরণের প্রতিষ্ঠান এক মাস বন্ধ রাখার কথা বলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে সেসবও এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়া উচিত।

দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সন্তোষজনক উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতি আরও বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এর আগে জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফের গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও এখনো শুরু হয়নি প্রাক্-প্রাথমিক ক্লাস কার্যক্রম।

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।এর ৫৪৪ দিন পর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. বন্ধ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

বন্ধ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে প্রতিদিন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ১৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০৯ দিন পর শনাক্তের হার ৫ শতাংশকে অতিক্রম করলো। সর্বশেষ শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু থাকবে কী-না।

শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। এর আগে এমন কথা বলেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের হার কম থাকলেও এখন তা বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো দেশ, একবারে অনেক উন্নত দেশও করোনায় পর্যুদস্ত অবস্থা। আমাদের ঝুঁকি নেবার কোনো সুযোগ নেই।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতেই হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অফিস নিয়মিতভাবে এ বিষয়টি দেখাশুনা করছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিধি-নিষেধ শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের গুজব। এ বিষয়ে সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের। তিনিও গুজবের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মন্ত্রণালয় এখনও এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে অবশ্যই তা জানিয়ে দেয়া হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, অনেকেই এখন অনলাইন একটিভিস্ট ও ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করছেন। তারা সব সময়ই কিছু চমকপ্রদ নিউজ দিতে চায়। এই ধরণের ব্যক্তিরাই এমন তথ্য ছড়িয়ে থাকেন। এগুলো সবই বাণিজ্য। বিষয়গুলো আমরা মনিটরিং করছি। তবে যদি প্রয়োজন হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে। যেহেতু সারা বিশ্বেই ওমিক্রন বাড়ছে, নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও সংক্রমণ বাড়লে স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হবে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে শর্ত শিথিল করেছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া শিশুর নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হবে না।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও জনসমাগম তৈরি করে এমন ধরণের প্রতিষ্ঠান এক মাস বন্ধ রাখার কথা বলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক মাসের জন্য বন্ধ রাখা যেতে পারে। সমাজে যেসব বিষয়ে জনসমাগম হয়ে থাকে সেসবও এক মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়া উচিত।

দেশে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সন্তোষজনক উল্লেখ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গতি আরও বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এর আগে জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফের গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত চার কোটির বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও এখনো শুরু হয়নি প্রাক্-প্রাথমিক ক্লাস কার্যক্রম।

করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।এর ৫৪৪ দিন পর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন