The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

প্রেমিকার বিয়ের খবর সইতে না পেরে প্রেমিকের আত্ম’হত্যা

ইবি প্রতিনিধি : নিজ অফিস ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্ম’হত্যা করেছেন খাইরুল আজম নামের সাবেক ইবি শিক্ষার্থী। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত খাইরুল আজম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন মির্জানগর এলাকার মো. আজিমউদদৌলার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর পাশ করা সাবেক শিক্ষার্থী। দেড় মাস ধরে ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন।

খাইরুল আজমের বাবা বলেন, সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের উদ্দেশে রওনা হয় খাইরুল। পরে দুপুর ১টার দিকে তার অফিস থেকে কল করে আমাকে জানায়, আমার ছেলে তার কর্মরত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্ম’হত্যার চেষ্টা করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজনসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি আমার ছেলের মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে রয়েছে।

রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার অমিত কুমার কুন্ডু বলেন, দুপুরে একটি ছেলে পড়ে গেছে বলে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখি আহত অবস্থায় খাইরুলকে আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার নার্স তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিতে বলেন। আমরা তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিহত খাইরুলের প্রেমিকার আজ গায়ে হলুদ। সে হয়ত সেই শোক সহ্য করতে না পেরেই আত্ম’হত্যা করেছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. প্রেমিকার বিয়ের খবর সইতে না পেরে প্রেমিকের আত্ম’হত্যা

প্রেমিকার বিয়ের খবর সইতে না পেরে প্রেমিকের আত্ম’হত্যা

ইবি প্রতিনিধি : নিজ অফিস ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্ম’হত্যা করেছেন খাইরুল আজম নামের সাবেক ইবি শিক্ষার্থী। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত খাইরুল আজম কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন মির্জানগর এলাকার মো. আজিমউদদৌলার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর পাশ করা সাবেক শিক্ষার্থী। দেড় মাস ধরে ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন।

খাইরুল আজমের বাবা বলেন, সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে কর্মস্থল ঈশ্বরদী ইপিজেডের রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের উদ্দেশে রওনা হয় খাইরুল। পরে দুপুর ১টার দিকে তার অফিস থেকে কল করে আমাকে জানায়, আমার ছেলে তার কর্মরত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্ম’হত্যার চেষ্টা করেছে। খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজনসহ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি আমার ছেলের মরদেহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে রয়েছে।

রেনেসা বারিন্দ্র লিমিটেডের অ্যাডমিন ম্যানেজার অমিত কুমার কুন্ডু বলেন, দুপুরে একটি ছেলে পড়ে গেছে বলে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে দেখি আহত অবস্থায় খাইরুলকে আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর দেখে সেখানকার নার্স তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী হাসপাতালে নিতে বলেন। আমরা তাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিহত খাইরুলের প্রেমিকার আজ গায়ে হলুদ। সে হয়ত সেই শোক সহ্য করতে না পেরেই আত্ম’হত্যা করেছে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন