The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪

পিএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন মা-ছেলে

বয়স কোন কিছুতে বাঁধা হতে পারে না তা আবারো প্রমানিত হলো। ইচ্ছা থাকলেই সব বাধাকে জয় করা যায়, প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা শক্তির। এমনটায় হয়েছে ভারতের কেরালার মালাপ্পুরম শহরে। মা-ছেলে একই সাথে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষায় পাস করে পেইয়েছেন সরকারি চাকরি।

৪২ বছর বয়সী মা আর ২৪ বছরের ছেলে একসাথে পরীক্ষায় পাস করে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মায়ের নাম বিন্দু (৪২) এবং ছেলের নাম  বিবেক (২৪)। তারা দুজনই জানিয়েছেন তাদের সেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার গল্প। বিবেক বলেন, ‘আমরা মা-ছেলে একসাথে কোচিংয়ে যেতাম। আমার বাবাই সব ব্যবস্থা করে দিতেন। শিক্ষকদের কাছে খুব প্রেরণা পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা একসাথে পড়ালেখা করেছি, কিন্তু দুজনে যে একসাথেই পাস করব তা ভাবতে পারিনি। আমরা অনেক খুশি।

বিন্দুর ছেলে বিবেক যখন দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন তাকে উৎসাহ দিতেই বিন্দু চাকরির পড়ালেখা শুরু করেন। সেই পড়ালেখাই তাকে কেরালার পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহী করে তোলে। এর পর দীর্ঘ ৯ বছর ধরে মা-ছেলে একসাথে নেন চাকরির প্রস্তুতি।

পিএসসির ৩৮তম র‌্যাংকের লোয়ার ডিভিশনাল ক্লার্ক (এলডিসি) পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন বিন্দু, আর ৯২তম র‌্যাংক নিয়ে লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্টস (এলজিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বিবেক।

এর মধ্যে তিনবারের চেষ্টায় এবারই চূড়ান্তভাবে চাকরির জন্য মনোনীত হয়েছেন মা বিন্দু। বিগত ১০ বছর ধরে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।

বিন্দু জানান, তার বন্ধুরা, ছেলে এবং তার কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষকরা সব সময় আমাকে অনুপ্রেরণা এবং সমর্থন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, একজন পিএসসি পরীক্ষার্থীর কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, এখন তার নিখুঁত উদাহরণ মনে হয় নিজেকে।

বিন্দুর ভাষ্যমতে, চেষ্টা সব সময়ই ছিল। কিন্তু আমি যে আসলে একটানা পড়ালেখা করেছি তা কিন্তু নয়। পরীক্ষার ছয় মাস আগে থেকে পড়তে শুরু করি। এরপর টানা পড়লেখা করেছি।

বিন্দু পিএসসির যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তার বয়সসীমা ৪০ বছর। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই বয়সসীমার ব্যতিক্রমও রয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.