The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে তরুণীর সংবাদ সম্মেলন

নিজের পছন্দে ফজলে রাব্বীকে (২৬) বিয়ে করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন তরুণী ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)। নবদম্পতির বাড়ি রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়। ফজলে রাব্বী ব্যবসা করেন। চার বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক।

ফাতেমা তাবাসসুম খান বলেন, তার অমতে সৌদি আরবে নিয়ে এক প্রবাসীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। সেই সংসার না করে দেড় বছর পর দেশে এসে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়ি থেকে রাতে পালিয়ে বিয়ে করে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁকে কেউ অপহরণ করেননি। তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরের আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এই দম্পতি।

ফজলে রাব্বী জানান, ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। তাই তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে এনেছেন। তারপর রাতেই তাঁরা বিয়ে করেছেন।

কেন এই সংবাদ সম্মেলন, জানতে চাইলে ফাতেমা তাবাসসুম খান বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসেছি। এখন শুনছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’

ফজলে রাব্বী জানান, চার বছর ধরে তাঁদের প্রেম। কিন্তু ফাতেমার মা–বাবা বিয়ে দিতে চাননি। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এতেও তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করতে পারেননি। দেড় বছর পর ২০২১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর পর থেকে বাড়িতে তাঁর ওপর নির্যাতন চলছিল।

অবশ্য ফাতেমার ছোটভাই তামীম খান বলছেন তাঁর বোনকে কখনো গায়ে হাত তোলা হয়নি। নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ছেলে ১০-১৫ জন লোক নিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে টেনে–হিঁচড়ে তাঁর বোনকে তুলে নিয়ে গেছে। তাঁর বোনের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বলেন, এখন তাঁর বোনকে জিম্মি করে ফেলা হয়েছে। যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, হয়তো তাই বলছে।

এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই টেলিফোনে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. জাতীয়
  3. পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে তরুণীর সংবাদ সম্মেলন

পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে তরুণীর সংবাদ সম্মেলন

নিজের পছন্দে ফজলে রাব্বীকে (২৬) বিয়ে করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন তরুণী ফাতেমা তাবাসসুম খান (২১)। নবদম্পতির বাড়ি রাজশাহী নগরের রামচন্দ্রপুর বউবাজার এলাকায়। ফজলে রাব্বী ব্যবসা করেন। চার বছর ধরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক।

ফাতেমা তাবাসসুম খান বলেন, তার অমতে সৌদি আরবে নিয়ে এক প্রবাসীর সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। সেই সংসার না করে দেড় বছর পর দেশে এসে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়ি থেকে রাতে পালিয়ে বিয়ে করে সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁকে কেউ অপহরণ করেননি। তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরের আসাম কলোনি এলাকায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এই দম্পতি।

ফজলে রাব্বী জানান, ফাতেমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হতো। তাই তিনি এবং তাঁর কয়েকজন বন্ধু গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফাতেমাকে বাড়ি থেকে এনেছেন। তারপর রাতেই তাঁরা বিয়ে করেছেন।

কেন এই সংবাদ সম্মেলন, জানতে চাইলে ফাতেমা তাবাসসুম খান বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে এসেছি। এখন শুনছি, আমার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অপহরণের মামলা করা হচ্ছে। আমি জানিয়ে দিচ্ছি, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’

ফজলে রাব্বী জানান, চার বছর ধরে তাঁদের প্রেম। কিন্তু ফাতেমার মা–বাবা বিয়ে দিতে চাননি। মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এতেও তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট করতে না পেরে ২০১৯ সালের দিকে ফাতেমাকে সৌদি আরবে নিয়ে জোর করে এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ফাতেমা সেখানে সংসার করতে পারেননি। দেড় বছর পর ২০২১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এর পর থেকে বাড়িতে তাঁর ওপর নির্যাতন চলছিল।

অবশ্য ফাতেমার ছোটভাই তামীম খান বলছেন তাঁর বোনকে কখনো গায়ে হাত তোলা হয়নি। নির্যাতনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই ছেলে ১০-১৫ জন লোক নিয়ে এসে ঘরের দরজা ভেঙে টেনে–হিঁচড়ে তাঁর বোনকে তুলে নিয়ে গেছে। তাঁর বোনের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বলেন, এখন তাঁর বোনকে জিম্মি করে ফেলা হয়েছে। যা শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে, হয়তো তাই বলছে।

এ বিষয়ে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাতেই টেলিফোনে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন