The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সৌমিত্র শেখর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি মাত্র নন। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানে আদর্শ, বঙ্গবন্ধু মানে ধ্রুব তারকা, বঙ্গবন্ধু মানে এমন এক বাংলাদেশ যে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড়িয়ে। তিনি আজীবন বাঙালির জন্য সংগ্রাম করেছেন, বাঙালির আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন।”

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজের কাছে পৌঁছে দিতে শোকের মাসে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য দুইদিনব্যাপী কর্মশালা পরিচালনার কথাও তুলে ধরেন উপাচার্য।

আলোচনায় ড. মীজানুর রহমান বলেন, “মানুষের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রবিহীন পৃথিবী অকল্পনীয়। আর আমাদের বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রের স্রষ্টা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। এই উপমহাদেশে আধুনিক স্বাধীন রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর চিন্তার ও তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলনের সংগ্রামের ফসল।

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অভ্যুয়ের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, “একাত্তরে যে রাজকার প্রজন্ম ছিলো তারা কিন্ত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মও বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু সুযোগ পেলেই তারা ছোবল দেবে। এখনও বাংলাদেশে পাকিস্তানের চিন্তা-চেতনা রপ্তানির বা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা কারা করছে।”

ড. মীজানুর রহমান আরও বলেন, একাত্তরে সারা দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো এমন কথা অনেকে বলে থাকেন। কিন্তু আমি সেটা বিশ্বাস করি না। এর একটা উদাহরণ হলো, মুক্তিযুদ্ধে ৮৪ বাংলাদেশি সামরিক সৈন্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৭৭ জন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। বাকি সাতজন বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষেই যুদ্ধ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের চাকুরিচ্যুত করা হলে পরবর্তীতে তারা বঙ্গবন্ধুর কাছে কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করে। বঙ্গবন্ধুই তাদের পুলিশের চাকরি দেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বন্দি করা হয় ক্যান্টনমেন্টে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিকে ক্যান্টনমেন্টের বৃত্তের বাইরে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এটিই তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক সফলতা।”

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। আলোচনা করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস। সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া আফরিন তন্বী। আলোচনা সভায় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.