The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ৬০০ শিক্ষার্থী নিয়ে শোভাযাত্রা!

গরমের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার খুলেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিন তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মানিকগঞ্জে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শোভাযাত্রা করা হয়েছে।

অসহনীয় গরমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামানোকে ‘বর্বরতা’ আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক কলেজ শিক্ষক। তবে আয়োজকরা বলছেন, সরকারি নির্দেশে রোদের তাপ বাড়ার আগেই সারা দেশে শোভাযাত্রা হয়েছে।

জানা গেছে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে গতকাল সকাল ৮টার পর থেকে মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজ মাঠে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখান থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে গরমের মধ্যে শোভাযাত্রা করায় ঘেমে যায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর জেলা প্রশাসকের পরিবর্তে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) শুক্লা সরকার। শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আবারও মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিবালয় সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কোকন চন্দ্র দেব, ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফারুক হোসেন, দেওয়ান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক দেওয়ান তালজিল আহমেদ প্রমুখ। আয়োজকদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পানি ও কেক বিতরণ করা হয়।

বিষয়টিকে ‘বর্বরতা’ আখ্যা দিয়ে মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, এ নিছক বর্বরতা। কোন বিবেচনায় তাপদাহের মধ্যে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ পালনের জন্য এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামানো হলো।

এবিষয়ে ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, শোভাযাত্রায় যারা অংশ নিয়েছে, তারা একেবারে ছোট শিক্ষার্থী নয়। শোভাযাত্রায় শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে, এমন ঘটনা ঘটেনি।

মানিকগঞ্জ সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী শোভাযাত্রা হয়েছে। গরমের কথা ভেবে সকালেই করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) শুক্লা সরকার সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই শোভাযাত্রাটি রোদের তীব্রতা বাড়ার আগেই শেষ করা হয়েছে। ওরা তো বড় হয়ে গেছে। এটা তো শিক্ষারই অংশ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.