The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩

টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের দায়ে সৌদি আরবে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আওয়াদ আল-কুরনি নামে এক সংস্কারবাদী প্রফেসরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার অপরাধ তিনি টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এবং খবর শেয়ার করে সৌদির বিরুদ্ধে ‘নাশকতা’ করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়াদ আল-কুরনিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর সংস্কারবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

আল-কুরনির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন তার ছেলে নাসের আল-কুরনি। গত বছর সৌদি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। নাসের জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে এখন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার প্রত্যাশায় আছেন।

সৌদির সংবাদমাধ্যমগলোতে আল-কুরনিকে একজন ‘বিপজ্জনক’ ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়। তবে সংস্কারবাদীরা দাবি করেন, তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। যাকে টুইটারে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফলো করতেন।

এর আগে টুইটার ব্যবহার করায় গত বছর সালমা-আল-শিহাব নামে এক নারীকে ৩৪ বছর এবং নোরা-আল-কাহতানি নামে অপর এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, নিজ নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও, টুইটার ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার। যে বিনিয়োগের পরিমাণ বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। [সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান]

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের দায়ে সৌদি আরবে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

টুইটার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের দায়ে সৌদি আরবে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে আওয়াদ আল-কুরনি নামে এক সংস্কারবাদী প্রফেসরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার অপরাধ তিনি টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে এবং খবর শেয়ার করে সৌদির বিরুদ্ধে ‘নাশকতা’ করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়াদ আল-কুরনিকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছর সংস্কারবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

আল-কুরনির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোর বিস্তারিত গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন তার ছেলে নাসের আল-কুরনি। গত বছর সৌদি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। নাসের জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যে এখন রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার প্রত্যাশায় আছেন।

সৌদির সংবাদমাধ্যমগলোতে আল-কুরনিকে একজন ‘বিপজ্জনক’ ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়। তবে সংস্কারবাদীরা দাবি করেন, তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। যাকে টুইটারে প্রায় ২০ লাখ মানুষ ফলো করতেন।

এর আগে টুইটার ব্যবহার করায় গত বছর সালমা-আল-শিহাব নামে এক নারীকে ৩৪ বছর এবং নোরা-আল-কাহতানি নামে অপর এক নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, নিজ নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখলেও, টুইটার ও ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছে সৌদি সরকার। যে বিনিয়োগের পরিমাণ বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। [সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান]

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন