The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২৪শে অক্টোবর, ২০২৪

জবিতে সাংবাদিক হেনস্তায় ১০ সাংবাদিক সংগঠনের নিন্দা

সাকিবুল ইসলাম, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজকে হেনস্তা ও হুমকির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠনগুলো দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ১০টি সংগঠন বিবৃতিতে দিয়ে এসব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানায় সংগঠনগুলো।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণে আমরা মর্মাহত। সাংবাদিকদের হেনস্তা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে এ ধরণের উগ্রবাদী আচরণ দমন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন ও চাপবিহীন সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব। এই হুমকি সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখার নোংরা অপচেষ্টা। এসময় ক্যাম্পাসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখতে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

প্রতিবাদ জানানো ১০ সাংবাদিক সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাব, হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বুটেক্স সাংবাদিক সমিতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম, কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি।

এর আগে গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে একাউন্টিং অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালীন এক ভলান্টিয়ারের সাথে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন ও একাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সবাইকে সরিয়ে দিতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মী গাজী এক শিক্ষকের গায়ের উপর এসে পড়ে। তখন কর্তব্যরত এক সাংবাদিক পরিচয় জানতে চেয়ে সরিয়ে দিতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হয়। পরবর্তীতে কামরুল হাসান রিপন ও অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সবাইকে সরিয়ে দেয়।

পরে বিষয়টি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য অভিযুক্ত গাজী ও তার নেতাকর্মীদের পাঠান। কিন্তু সমঝোতা করতে এসে গাজী এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম আবর্তনের ফজলে রাব্বি সহ আরও একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী উপস্থিত সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের পরিচয় জানতে চাইলে আলোকিত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহনাফ তাহমিদ ফাইয়াজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক পরিচয় দিলে গাজী আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, “তোর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের ****** ঢুকায় দিবো।” এসময় রাব্বি উপস্থিত অন্য সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.