The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

জবিতে ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ

জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ এর বিরুদ্ধে একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাসান হৃদয়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ১৩ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তৌফিকুল হাসান হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এই সময় সংগঠনটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ১২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ ভুক্তভোগী হৃদয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

প্রথমে হাত দিয়ে কান ও মাথা বরাবর আঘাত করে। পরে পায়ের জুতা খুলে ভুক্তভোগীকে মারধর করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে রফিক ভবনের পাশ থেকে একটি বাঁশ নিয়ে এসেও মারধর করেন সেইসময় ভুক্তভোগীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা বেশ কয়েকজন মারধরের শিকার হোন। এরপর অভিযুক্ত সাঈদ ভুক্তভোগীকে ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হৃদয় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘রমজান মাসে তেমন কোনো ডিবেট প্রোগ্রাম থাকে না বলে ডিবেটিং সোসাইটির মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে যাতে নোটিফিকেশন না আসে সেজন্য লিভ নিয়েছিলাম। কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে, নতুন কমিটি এসে কাজ করবে। সেই ঘটনার সূত্র ধরে শান্ত চত্ত্বরে তিনি আমার অতর্কিত ওপর হামলা করে মারধর করেন। জুতা ও বাঁশ দিয়েও মারধর করেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এরপর যখন রফিক ভবনের পাশে বসি, তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার হুমকি দেন।

অভিযুক্ত মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন,‘একটা ছোট ঘটনা ঘটেছে। এটা তেমন কিছু না। আমরা মিউচুয়াল করে ফেলবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

উল্লেখ্য, এর আগেও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের গায়ে হাত তুলে সাইদ। সে সময় প্রভাব খাটিয়ে মিটমাট করে ফেলেন। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে হয়রানি ও মারধরের অভিযোগও রয়েছে। একাধিকবার প্রক্টর অফিসে এসব বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেছে। ফলে এসব অপরাধ এখন তার কাছে মামুলি হয়ে গেছে বলে মনে করেন একাধিক ভুক্তভোগী।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.