The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪

চিঠি ভরে বোতল ভাসিয়েছিলেন আটলান্টিকে, ৩৭ বছর পর ফিরে পেলেন!

সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই ফিরিয়ে দেয়!  এ কথাটি আদৌও কি সত্যি? সেটার প্রমাণ করতেই ঠান্ডা পানীয়ের খালি বোতলে কাগজে লেখা চিরকুট ভরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মাউন্ট ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ট্রয় হেলার।

এক দুই দিন নয় ৩৭ বছর আগের কথা। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। বাড়ির সকলের সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে খেলাচ্ছলেই ফ্লোরিডার ভেরো সৈকতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। বোতলে ভরা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলেন নিজের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর। সবশেষে লিখেছিলেন, কেউ যদি কোনোদিন ওই বোতলটি ফিরে পান, তাহলে যেন তাকে জানান।

এরপর কেটে গেছে প্রায় চার দশক। ছোটবেলায় সমুদ্রে সেই চিরকুট লিখে বোতল ভাসানোর কথাও ভুলে গিয়েছেন তিনি। এমন সময় আচমকা সেই বোতলে ভরা চিরকুট ফিরে পেলেন ট্রয়। স্বভাবতই এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক তিনি।

ফ্লোরিডার এক শিক্ষক দম্পতি বোতলটি পান। ট্রয় যেখানে সমুদ্রে বোতলটি ভাসিয়েছিলেন, তার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সেটির হদিশ মেলে। বোতলের ভেতরে একটি কাগজ দেখে ওই দম্পতির কৌতূহল জাগে। এরপর বাড়িতে নিয়ে এসে বোতলটির মুখ ভেঙে ভিতরে থাকা জীর্ণ কাগজটি বের করেন তারা।

ট্রয় জানিয়েছেন, একদিন তিনি বাড়িতে খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফ্লোরিডার একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনি রিসিভ করতে পারেননি। এরপরই তিনি ওই নম্বর থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, সমুদ্রে একটি বোতল খুঁজে পেয়েছি। এই মেসেজ পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ট্রয়।

তার কথায়, ছোটবেলায় সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে মজা করে বোতলটি ভাসিয়েছিলাম আটলান্টিক মহাসাগরে। দেখতে চেয়েছিলাম, সেটি কোথায় যায়। কিন্তু এত বছর পর সেটি যে, আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে, তা ভাবতে পারিনি। আজ বিশ্বাস হলো, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই সময়মতো ফিরিয়ে দেয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. চিঠি ভরে বোতল ভাসিয়েছিলেন আটলান্টিকে, ৩৭ বছর পর ফিরে পেলেন!

চিঠি ভরে বোতল ভাসিয়েছিলেন আটলান্টিকে, ৩৭ বছর পর ফিরে পেলেন!

সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই ফিরিয়ে দেয়!  এ কথাটি আদৌও কি সত্যি? সেটার প্রমাণ করতেই ঠান্ডা পানীয়ের খালি বোতলে কাগজে লেখা চিরকুট ভরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মাউন্ট ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ট্রয় হেলার।

এক দুই দিন নয় ৩৭ বছর আগের কথা। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। বাড়ির সকলের সঙ্গে সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে খেলাচ্ছলেই ফ্লোরিডার ভেরো সৈকতে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। বোতলে ভরা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলেন নিজের নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর। সবশেষে লিখেছিলেন, কেউ যদি কোনোদিন ওই বোতলটি ফিরে পান, তাহলে যেন তাকে জানান।

এরপর কেটে গেছে প্রায় চার দশক। ছোটবেলায় সমুদ্রে সেই চিরকুট লিখে বোতল ভাসানোর কথাও ভুলে গিয়েছেন তিনি। এমন সময় আচমকা সেই বোতলে ভরা চিরকুট ফিরে পেলেন ট্রয়। স্বভাবতই এই ঘটনায় রীতিমতো অবাক তিনি।

ফ্লোরিডার এক শিক্ষক দম্পতি বোতলটি পান। ট্রয় যেখানে সমুদ্রে বোতলটি ভাসিয়েছিলেন, তার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সেটির হদিশ মেলে। বোতলের ভেতরে একটি কাগজ দেখে ওই দম্পতির কৌতূহল জাগে। এরপর বাড়িতে নিয়ে এসে বোতলটির মুখ ভেঙে ভিতরে থাকা জীর্ণ কাগজটি বের করেন তারা।

ট্রয় জানিয়েছেন, একদিন তিনি বাড়িতে খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফ্লোরিডার একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। তিনি রিসিভ করতে পারেননি। এরপরই তিনি ওই নম্বর থেকে একটি মেসেজ পান। তাতে লেখা, সমুদ্রে একটি বোতল খুঁজে পেয়েছি। এই মেসেজ পাওয়ার পরই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন ট্রয়।

তার কথায়, ছোটবেলায় সমুদ্রে ঘুরতে গিয়ে মজা করে বোতলটি ভাসিয়েছিলাম আটলান্টিক মহাসাগরে। দেখতে চেয়েছিলাম, সেটি কোথায় যায়। কিন্তু এত বছর পর সেটি যে, আবার আমার কাছেই ফিরে আসবে, তা ভাবতে পারিনি। আজ বিশ্বাস হলো, সমুদ্র কিছুই নেয় না, সবই সময়মতো ফিরিয়ে দেয়।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন