The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

চবির ছাত্রী রুকু আত্নহত্যা কারণ পরীক্ষা না দিতে পারা নয়, স্বামীর নির্যাতন

সাইফুল মিয়া, চবিঃ বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষা চলাকালীন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী রোকেয়া খাতুন ওরফে রুকুকে জোর করে গর্ভপাত করানো এবং স্বামী কাউসারের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। পরীক্ষা না দেওয়া এর পেছনে কোনো কারণ নয়।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এমনটাই অভিযোগ করেছেন রুকুর বড় ভাই আল আমিন সরকার বিপুল।

ফোন আলাপে তিনি বলেন, আমার বোনটা নিষ্পাপ ছিল। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাও ছিল। রুকু গর্ভপাত করাতে চায়নি। কাউসার জোর করে তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছে। এরপর কাউসার ঢাকা থেকে রুকুর ক্যাম্পাসে গিয়ে ওকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। যেটার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়েরই বহু শিক্ষার্থী। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেও এর প্রমাণ মিলবে।

কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় লুটে পড়েন। তিনি বলেন, আমার বোনের লাশটাকে কষ্ট না দেওয়ার জন্য আমরা তখন কিছু বলিনি বা বিচার চাইনি। বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়াটাই ছিল তখন মূল কাজ। তাই, সত্যটা হয়তো গোপন করেছি। কিন্তু জোর করে গর্ভপাত ও স্বামীর নির্যাতনের কারণেই আমার নিষ্পাপ বোনটা আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, রুকুর পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। রুকুর পরিবার যদি এর বিচার চায়, সেক্ষেত্রে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আমরা এর ব্যবস্থা নিব।

ছাত্রী হলের সামনে স্বামী কাউসার কর্তৃক রুকুকে শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ে প্রক্টর আরও বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে অভিযোগটি শুনেছি। কিন্তু আমরা এখনো স্পষ্ট প্রমাণ পাইনি। কারো কাছে ওরকম কোনো প্রমাণ থাকলে সে যেন আমাদেরকে দেয়। পাশাপাশি আমরা সিসিটিভি ফুটেজও চেক করতেছি। যদি এরকম কোনো ঘটনা থাকে, তাহলে অবশ্যই তা উঠে আসবে।

উল্লেখ্য, পরীক্ষা চলাকালীন গর্ভপাত করানোর কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তিনটি কোর্সে অংশ নিতে পারেনি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.