The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ছে না

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি আবেদন ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে। এদিন বেলা ১২টায় এই প্রক্রিয়ায় আবেদন শুরুর উদ্বোধন করা হয়। যা ২৫ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে।

গুচ্ছের টেকনিক্যাল সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ জুন) পর্যন্ত ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ তিনটি ইউনিটে সর্বমোট ১ লাখ ৩০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এতে ‘ক’ ইউনিটভুক্ত বিজ্ঞান অনুষদের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে ‘সি’ ইউনিটভুক্ত বাণিজ্য অনুষদে।

এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচিও হাতে নিয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় তাদের অবস্থা খারাপ। বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। সব কিছু বন্যায় তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে অসংখ্য ভর্তিচ্ছু রয়েছে। বন্যার কারণে তাদের বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যেখানে বেঁচে থাকতে প্রতিদিন লড়াই করতে হচ্ছে সেখানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করার মতো অবকাশ তাদের নেই। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটি কেউ জানে না। বন্যার পানি নেমে গেলেও সবকিছু স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে। এই অবস্থায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অন্তত এক মাস পেছানো দরকার।.

এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল সাব-কমিটির প্রধান এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের সময় বাড়বে না। আবেদনের সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। গতকাল এই ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

এদিকে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, পরীক্ষার তো এখনো এক মাসের বেশি সময় বাকি। এই ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। এই ব্যাপারে আপনি গুচ্ছ কমিটির গুচ্ছভুক্ত পদ্ধতির সভাপতি (দায়িত্বে) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-এর সঙ্গে কথা বলুন।

এ ব্যাপারে শাবিপ্রবি উপাচার্য জানান, এটা তো সম্মিলিত সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।

প্রসঙ্গত গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়; জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর; বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়; শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়;

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.