The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

কর্মচারী নিয়োগ: মাউশির ‘অনিয়ম’ তদন্তে দুদকের অভিযান

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার এবং রনজিৎ কুমার কর্মকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম মাউশি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সততা উদঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন এবং সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

দুদক জানায়, নিয়োগ বিধি ১৯৯১ অনুযায়ী তাদের নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য পদক্ষেপ নিলেও পরে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয় মাউশি। ‘প্রদর্শক’ শ্রেণির ক্যাটাগরির দশম গ্রেডের পদগুলোকে তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে নিজেরা (মাউশি) নিয়োগ দেয়। কিন্তু পদোন্নতির বেলায় পিএসসির মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণি বা দশম গ্রেড দেখিয়ে ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে আত্মীকরণ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, আমাদের কাজ নিয়োগ দেওয়া, আর পিএসসি’র দায়িত্ব প্রমোশন দেওয়া। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

এ সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, নথির নোটশিটে দশম গ্রেডের পদগুলোকে দ্বিতীয় শ্রেণি উল্লেখ করা হলেও মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে তা তৃতীয় শ্রেণি দেখিয়ে অনুমোদন নেওয়া হয় এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে নিয়োগবিধি এবং কমিটির কার্যবিবরণীসহ আরও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর অনুরোধ করা হয়।

দুদক আরও জানায়, পরে সরবরাহকৃত কাগজপত্র যাচাইপূর্বক বিস্তারিত অনুসন্ধানের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। এছাড়া শেরপুরের জেলা কারাগারের সহকারী কারারক্ষীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জামিনপ্রাপ্ত বন্দিদের নিকট থেকে ঘুস দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগ চালিয়েছে দুদকের আরেকটি এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলের উপসহকারী পরিচালক লতিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম সরেজমিনে শেরপুর কারাদপ্তর পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলে। তিনি দুদক টিমকে জানান, অভিযোগকারী এরই মধ্যে তার টাকা বুঝে পেয়েছেন। তার দুজন স্ত্রী দাবিদার থাকায় এ অর্থ পরিশোধে বিলম্ব হয়। কারাদপ্তরের একটি অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছে দুদক টিম।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.