The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

‘এশিয়ার নোবেল’ ম্যাগসাইসাই পেলেন বাংলাদেশের রাখসান্দ

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের করভী রাখসান্দ এশিয়ার নোবেলখ্যাত এবারের র‌্যামন ম্যাগসাসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। করভী রাখসান্দকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে উদীয়মান নেতৃত্বের ক্যাটাগরিতে এ পদক বিজয়ীদের একজন হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া অপর তিনজন হলেন হলেন ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মোট চারজনকে এ পুরস্কারে ভূষিত করার ঘোষণা দেয় র‌্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।

এ পুরস্কার প্রদান করে ফিলিপাইনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট র‌্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত র‌্যামন ম্যাগসাসাইয় অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিস। করভী রাখসান্দ বাংলাদেশ থেকে সম্মানজনক এই পুরস্কার পাওয়া ত্রয়োদশ ব্যক্তি। তার আগে সর্বশেষ ২০২১ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফেরদৌস কাদরী।

তার কঠোর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ভূমিকা শিক্ষার গণতন্ত্রায়নের ভূমিকা রেখেছে। তার সামাজিক রূপান্তরের আহ্বান উৎসাহিত করেছে হাজারও তরুণকে। সামাজিক রূপান্তরের জন্য তার অদম্য মনোভাব, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য কমিটি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ৩৮ বছর বয়সী করভী রাখসান্দ ছয় বন্ধুকে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০০৭ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন তারা।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রথমে খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা নিজস্ব ১১টি গতানুগতিক ও অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দিয়েছে র‌্যামন ম্যাগসাসের বোর্ড অব ট্রাস্টিস।

এছাড়াও আরও ১২ বাংলাদেশি এশিয়ার নোবেলখ্যাত এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্যার ফজলে আবেদ খান, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.