The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

ইবি শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীর বাম কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত দিয়েছে ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।। রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজুল হক রুমন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বদরুল আমিন পিয়াস। এর মধ্যে মিনহাজুল হক রুমন শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর আনুমানিক রাত ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকা দিয়ে মোটর সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ইমন। তখন অভিযুক্ত বদরুল আমিন পিয়াস ভুক্তভোগীর বাইক থামাতে বলে। পরে অভিযুক্তর সাথে কথা বলে ভুক্তভোগী পুনরায় বাইক চালু করেন। এসময় একটু সমানে এগোতেই আরেক অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে জিয়া মোড়ের পেছন থেকে দৌড়ে এসে হামলা করে। এসময় ইমনের বাম কানে প্রচন্ড আঘাত লাগে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গেলে ডিউটিরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলে। পরবর্তীতে ঠিক না হওয়ায় ইমনকে নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম। পরবর্তীতে কুষ্টিয়ায় নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. এম. এ. মান্নানকে দেখালে তিনি কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ও অপারেশন না করা হইলে এই সমস্যা কখনো ঠিক হবে না বলে জানান।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী অভিযুক্তের আইনের আওতায় সর্বোচ্চ বিচার ও তার অপারেশনের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন বলেন, ওখানে আমার কোন দোষ ছিল না। হঠাৎ রুমন ভাই এসে আমাকে মারধর করে। এতে আমার কানের পর্দা ফেটে যায়। আমি আমার অপারেশনের পুরো খরচসহ কর্তৃপক্ষের কাছে দোষীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। পরবর্তী মিটিংয়ে এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা আলোচনা করা হবে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.