The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪

ইবিতে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শাপলা ফোরামের মানববন্ধন

ইবি প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশঈমামের নিয়োগবোর্ড বাতিলকে কেন্দ্র করে ভিসি কার্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনা, শিক্ষকদের কণ্ঠরোধের প্রচেষ্টা, শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাপলা ফোরাম।

সোমবার ( ১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এই মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষকবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনিছুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আরফিন ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার সহ সংগঠনটির অন্যান্য শিক্ষকরা।

এসময় শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগ কেন্দ্র করে আমরা প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপচার্য কক্ষে উপস্থিত হই। এসময় আমরা দুইজন মাত্র শিক্ষক কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারপর কিছু অছাত্র এবং বহিরাগত প্রবেশ করে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানা হুমকিধামকি দেয়। এই ঘটনার পর গত ১১ তারিখ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয় নি প্রশাসন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শাপলা ফোরামের ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আজকে এখানে সমবেত হয়েছি। এখন পর্যন্ত যেসব দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে তার সঠিক তদন্ত হওয়ার পর সঠিক নিয়ম মেনে নিয়োগ চলমান থাকবে।

এছাড়া শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিবে কি না সেই মিটিংয়ে আমাদের উপস্থিত অনেক শিক্ষকবৃন্দ অপমানিত হয়েছেন। সবকিছুতেই যদি উপরের নির্দেশ থাকে তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে চলতে পারে না। এর আগে আমরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য। সেই আল্টিমেটামের টাইম শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই অগ্রগতি হয় নি। অফিসিয়ালি এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ম্যাসেজ বা তথ্য পাই নি। সেই আলোকেই আজকে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে।

তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষক সমিতির মতামতের ভিত্তিতে আমাদের এবার ভর্তি পরীক্ষা এককভাবে নেয়ার কথা উঠেছে। সে বিষয়ে আমরা শাপলা ফোরামের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকবৃন্দ আমার কাছে তার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি হয়তো আগামীকালের মধ্যেই বলতে পারবো।

এসময় স্বতন্ত্রভাবে যদি ভর্তি না নিতে পারেন সেক্ষেত্রে কোনো কর্মসূচিতে যাবে কি না বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতি এই বিষয়ে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আমিও শিক্ষক সমিতির উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। তারপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.