The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪

ইবিতে র‌্যাগিং বিরোধী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিয়ামতুল্লাহ, ইবিঃ ‘র‌্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ি, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‌্যাগিং বিরোধী এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের তৃতীয়তলার সভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ্যান্টি র‌্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া। বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিয়া মোঃ রাসিদুজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আসাদুজ্জামান, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, ফাইন আটর্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম আক্তারুল ইসলাম, ল এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আক্তার প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম আলী হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক ড. মোঃ নওয়াব আলী ও তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক(ইন-চার্জ) ড. আমানুর আমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এ্যান্টি র‌্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটির সদস্য-সচিব উপ-রেজিস্ট্রার(প্রশাসন) মোঃ আব্দুল হান্নান।

এর আগে গত রোববার (২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ্যান্টি র‌্যাগিং বিষয়ক এক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃুত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে এসে শেষ হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার, সকলকে র‌্যাগিং প্রতিরোধের মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকেরই একটি শ্লোগানটি হবে আমি মানবিকতা বিবর্জিত কাজ করব না এবং আমার দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং কোনভাবেই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটবে না। তাহলেই সকল ধরনের র‌্যাগিং প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। বক্তারা বলেন, র‌্যাগিংয়ের ফলে শারীরিক-মানসিকতার পাশাপাশি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাচ্ছে যা আমাদের মর্যাদা ও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। তাই মানবিক ও বসবাসযোগ্য দেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে হলে মানবিকবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.