শিরোনাম
এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১৬ অক্টোবর।
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫ এর ফলাফল আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
ফলাফল পাওয়া যাবে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর ব্যবহার করে ‘Result Corner’-এ প্রবেশ করে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবে। একইভাবে পরীক্ষার্থীরাও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট বা উল্লিখিত ঠিকানায় প্রবেশ করে ফলাফল জানতে পারবেন।
এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে ‘16222’ নম্বরে নির্ধারিত ফরম্যাটে বার্তা পাঠাতে হবে। তবে শিক্ষাবোর্ডসমূহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিস থেকে ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে (https://rescrutinu.eduboardresult.gov.bd) গ্রহণ করা হবে। আবেদন পদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ২৬ জুন এবং শেষ হয় ১৯ আগস্ট। কিছু বিষয় স্থগিত হওয়ায় পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের কিছুটা পর শেষ হয়। নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। ফলে ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রায় সোয়া ১২ লাখ পরীক্ষার্থী।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা (২০২৫) শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত পরীক্ষার রুটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত রুটিনে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ-নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি-পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে।
জানা গেছে, অনলাইনে ফরম পূরণ চলবে ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এবং সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর।
প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইকরণের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর। ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এতে বলা হয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতে ১০০ করে, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০ নম্বর করে মোট ৪০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা।
গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করে। নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের ২ ধরনের বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শেষ হলো ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দেশের আট বিভাগীয় শহরের মোট ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে নেওয়া হয়েছে পরীক্ষা।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় ছিল ২০ মিনিট। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা ২০ মিনিট এবং অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা বাড়তি ১০ মিনিট সময় পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তত্ত্বাবধানে সাড়ে তিন লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা।
পিএসসির তথ্যমতে, ৪৭তম বিসিএসে ক্যাডার-ননক্যাডার মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৬৮৮ পদের বিপরীতে মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭। আর নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ২০১।
আজ পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের সময়সীমা ছিল। এরপর গেট বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র চার সেটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে এক নম্বর যোগ হবে, আর ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক পাঁচ নম্বর। দুই ঘণ্টার পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থীর কক্ষ ত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
পরীক্ষাকেন্দ্রে বই, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিতে দেওয়া হয়নি। প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি করা হয়।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষার সুযোগ পান। তাদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি সময় প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিট।
ইংরেজি ভার্সনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্রের কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।
৪৭তম বিসিএস: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় সফলতার জন্য শেষ মুহূর্তের কিছু সঠিক প্রস্তুতি ও কৌশল আপনাকে এগিয়ে রাখতে পারে। আর মাত্র ১০ দিন পর ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা!
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই পরীক্ষার আগের এই সময়টুকু কাজে লাগাতে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে; যেমন— নিয়ম করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শরীর ও মন ভালো রাখা, যেসব বিষয়ে দুর্বলতা আছে তার গুরুত্ব অনুযায়ী রিভিশন করা এবং মূল পরীক্ষার অনুকরণে নিয়মিত মডেল টেস্ট দেওয়া।
কারণ, বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যেমন দরকার, তেমনি শেষ সময়ে স্পেশাল প্রস্তুতিও খুব জরুরি। বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ধাপ—প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এই শেষ সময়ের গোছানো পড়াশোনার ওপর আপনার সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করবে।
- শেষ সময়ের প্রস্তুতি বিষয়ক কিছু পরামর্শ:
➝ এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে একেবারে নতুন কোনো টপিক নিয়ে বেশি সময় ব্যয় না করাই ভালো। এখন সময় বেঁধে টার্গেট করে যা কিছু পড়েছেন তা রিভিশন করতে হবে।
➝ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হবে সম্পূর্ণ ‘টাইম-বাউন্ড’। ক্যালেন্ডারের ঘর ও ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক করতে হবে প্রতি বিষয়ের রিভিশনে কত সময় বরাদ্দ করতে চাচ্ছেন! এ সময়ে পরিকল্পনা ছাড়া আগালে প্রস্তুতি কার্যকরী হবে না।
➝ 'অপরচুনিটি কস্ট' হিসাব করে পড়ুন। কিছু টপিকে আপনার দুর্বলতা থাকবে— এটা মেনে নিন। এবার মনে করুন, আপনার হাতে সময় আছে দুই ঘণ্টা, এই সময়ে আপনি দুই নিয়মের গণিত রিভাইজ করলে দুই মার্কস কাভার করার প্রবল সম্ভাবনা আছে। আবার ২০০টি vocabulary শিখতেও আপনার ২ ঘণ্টা লাগবে, কিন্তু আপনি নিশ্চিত না— এই শব্দগুলো থেকে একটিও কমন পড়বে কিনা। সেক্ষেত্রে, আপনার উচিত আগে গণিতের দুইটি নিয়ম শিখে নেয়া।
➝ যে বিষয়গুলো আপনার কাছে সহজ মনে হয় বা ভালো দক্ষতা আছে, সেগুলোকে সেফ জোনে রাখার মতো করে পড়ে ফেলুন। বিশেষত, নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত সাবজেক্টে সর্বাধিক নম্বর নিশ্চিত করার চেষ্টা রাখুন।
➝ সকল বিষয়ের প্রশ্ন ব্যাংক সমাধান করুন। সঠিক উত্তর ব্যাখ্যাসহ বুঝে পড়লে মনে থাকবে।
➝ ৬০ দিনে ১৩৫ নম্বরের “গুরুত্বপূর্ণ টপিকের” প্রস্তুতি রুটিনসহ চলমান রুটিনগুলো পরীক্ষা দিন। এছাড়া, ২০ দিনে বিষয়ভিত্তিক রিভিশনের জন্য স্পেশাল রুটিনও দেওয়া হয়েছে, যা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে অপরিহার্য।
➝ যত বেশি সম্ভব মডেল টেস্ট দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন অন্তত একটি করে ফুল মডেল টেস্টে অংশ নিন। Live MCQ অ্যাপে “৪৭তম বিসিএস বিষয়ভিত্তিক রিভিশন ও ফাইনাল মডেল টেস্ট রুটিন [রাউন্ড – ৩]"-এর মডেল টেস্টগুলো অবশ্যই দিতে হবে। এছাড়া আর্কাইভ থেকে OMR দিয়ে মডেলটেস্টসহ সকল পরীক্ষা দিতে পারবেন।
➝ বই ও নিজের করা নোটখাতা হাইলাইট করে রাখুন। কয়েকটা টপিক পড়ার পর রিভিশনের সময় শুধু হাইলাইট করা অংশে চোখ বুলিয়ে নিতে পারবেন। এতে বারবার রিভিশন দেওয়া সহজ হবে।
➝ নিজের প্রস্তুতি যাচাই করার দারুণ কার্যকরী একটা উপায় হলো শুধু সঠিক উত্তর মার্ক করার অভ্যাস করা। অর্থাৎ, শুধু যে প্রশ্নগুলো আপনি নিশ্চিতভাবে জেনে উত্তর দিতে পারবেন, শুধু সেগুলোই দাগাবেন। এভাবে প্রাকটিস করে আপনি যদি ১৩০টি সঠিক উত্তর মার্ক করতে পারেন, তাহলে ধরা যায় আপনি পরিপূর্ণ প্রস্তুতির পথে আছেন। সেক্ষেত্রে অজানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিংয়ে কতটা নম্বর পাচ্ছেন বা হারাচ্ছেন– তার ওপরই রেজাল্ট নির্ভর করবে।
- বিষয়ভিত্তিক রিভিশন কীভাবে করবেন?
শেষ এই এক মাসে কে কিভাবে রিভিশন করবেন— এটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যক্তিগত সুবিধা, দক্ষতা ও দুর্বলতার ওপর নির্ভর করে। তবে মোটাদাগে কিছু প্রমাণিত কার্যকর টিপস ফলো করতে পারেন। যেমন, শুরুতেই সাবজেক্ট ধরে ধরে রিভিশন করে তারপর সম্পূর্ণ সিলেবাসের ওপর মডেল টেস্ট দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সহজ বিষয় বা নিজের যেটা স্ট্রং জোন— সেটা আগে শুরু করা উচিৎ। কারণ এই বিষয় বা টপিকের মার্কস মিস করা যাবে না।
➝ এভাবে অল্প দিনের মধ্যে কয়েকটি সাবজেক্ট শেষ করা গেলে তা আপনার মনোবল বাড়াবে। তবে একটানা একই বিষয় পড়তে একঘেয়ে লাগলে প্রতি সাবজেক্টের কয়েকটি করে টপিক পড়ে পরীক্ষা দিতে পারেন। সেসব বিষয়ের সিলেবাস তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত সেসব বিষয় দিয়ে শুরু করতে পারেন, যেমন- বিজ্ঞান। এই বিষয় থেকে অল্প পড়ে বেশি মার্ক সিকিওর করা যায়। আর এই বিষয়ের প্রশ্ন সাধারণত হুবহু কমন আসে। বিগত বছরের পরীক্ষায় এসেছে সেসব প্রশ্ন বেশি বেশি অনুশীলন করুন।
বিজ্ঞানের মতোই ‘কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি’ এবং 'ভূগোল ও নৈতিকতা' বিষয়ে রিভিশন শেষ করলে কম সময়ে বেশি নম্বর কাভার হবে। এসব বিষয়ের সিলেবাসও তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত। বিভিন্ন বিসিএস ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় এসব বিষয়ের ওপর যেসব প্রশ্ন এসেছে তা পড়ে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
- ➝ বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়; একইসঙ্গে এটি অনেকের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং বটে। কিন্তু ভালো প্রস্তুতি নিলে এই বিষয়ে ৪৫ মার্ক পর্যন্ত কমন পাওয়া সম্ভব। এই পর্যায়ে নতুন বই বা ম্যাগাজিন কেনার প্রয়োজন নেই। সাম্প্রতিক তথ্যের জন্য Live MCQ-এর সাম্প্রতিক সমাচার ও নিউজ পিকার পড়লেই হবে।
মানসিক দক্ষতা বিষয়টি তুলনামূলক সহজ ও মজার। একটু মাথা খাটিয়ে বুঝে বুঝে পড়লে এই বিষয়ে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। এজন্য Live MCQ-এর মানসিক দক্ষতা রুটিনের ক্লাস, পিডিএফ ও পরীক্ষা আপনাদের কাজে আসবে। বিগত সালের প্রশ্ন ভালোভাবে স্টাডি করলে এই বিষয়ে ভালো নম্বর আসবেই। সুনির্দিষ্ট কিছু প্যাটের্নের প্রশ্ন আছে এই সেগমেন্টে। তাই শর্টকাট টেকনিক ও সূত্রগুলো ভালোভাবে ঝালাই করে নিন।
- ➝ ম্যাথে যারা দুর্বল, তারা নতুন করে কঠিন টপিক ধরবেন না। বরং নিয়মিত প্রশ্ন অনুশীলনের মাধ্যমে সহজ ও মাঝারি স্তরের অংকগুলো বারবার প্র্যাকটিস করুন। ৯ম-১০ম শ্রেণির গণিতও বইয়ের অংকগুলো ভালো করে রিভিশন দিতেই হবে। প্রতিদিন অন্তত ১-১.৫ ঘণ্টা সময় দিন গণিতে। স্টাডি ম্যাটেরিয়াল থেকে পড়ে পরীক্ষা দিন। শর্টকাটের জন্য ভালো কোনো বই ফলো করতে পারেন। এতে দ্রুত উত্তর খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
বাংলা ও ইংরেজি— এ দুই বিষয়ে নম্বর বেশি থাকায় রিভিশনে সময়টা একটু বেশি দিতে হবে। সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশ মিলিয়ে অন্তত ৩ ঘণ্টা এই দুই বিষয়ের জন্য রাখতে পারেন। তবে বাংলা সাহিত্যের চেয়ে ইংরেজি সাহিত্যে কম সময়ে বেশি নম্বর নিশ্চিত করা যায়। শুধু জব সল্যুশন পড়েই ইংরেজি সাহিত্যের ১৫ নম্বরের মধ্যে অন্তত ৯-১০ নম্বর কমন পাবেন।
- পড়াশোনার পাশাপাশি প্রয়োজন অন্যান্য প্রস্তুতি
বিসিএস শুধু পড়াশোনা করে অর্জিত জ্ঞানের পরীক্ষা নয়। এটা একটা লাইফ-স্টাইল। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক ধৈর্যেরও পরীক্ষা দিতে হয়। একটি বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে অনেকক্ষেত্রে কয়েক বছরও কেটে যায়। কয়েক দফায় তারিখ বদলের কারণে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির জন্যও আপনাদের অনেক অপেক্ষা করতে হলো। এই শেষ সময়ে পৌঁছে আপনাদের দীর্ঘ সময়ের পরিশ্রম যাতে সামান্য অবহেলা বা অসতর্কতার কারণে ব্যর্থ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- মানসিক প্রস্তুতি: অন্যদের তুলনায় আপনার প্রস্তুতি ভালো হয়নি ভেবে ভয় পাচ্ছেন? এ সময়ে এমন ভাবনা মনে আসা স্বাভাবিক। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে বেশিরভাগ প্রার্থীরই এমন হতাশা গ্রাস করে। পড়তে পড়তে মনে হতে পারে ভুলে যাচ্ছেন, অসুবিধা নেই। ভালোভাবে বারবার রিভিশন করলে পরীক্ষার হলে অপশন দেখলে ঠিকই উত্তর মনে পড়বে বা আইডিয়া করে সঠিক অপশন দাগাতে পারবেন। তাছাড়া মনে রাখবেন—বিসিএসের ভালো প্রস্তুতি থাকলে আরও অনেক নন-ক্যাডার ও সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যায়। তাই অযথা এত চাপ নেওয়ার কোনো কারণ নেই। পজেটিভ থাকুন, মনোবল নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান।
- শারীরিক যত্ন: চোখ, মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিবেন না। একটানা না পড়ে, ছোট ছোট ব্রেক নিয়ে পড়ুন। পড়ার সময় বসার ধরন ঠিক রাখুন। ঋতু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে বাড়তি সতর্ক থাকুন। ছোটখাট অসুখে যদি সপ্তাহখানেক সময়ও চলে যায়— তা-ও রিভিশনের জন্য বড় ক্ষতি। ঘুম কমালে দিনভর ক্লান্তি আসবে। তাই অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সামান্য হলেও বাইরে হাঁটাহাঁটি বা বিনোদনের জন্য কিছুটা সময় রাখুন।
সূত্র: Live MCQ
ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পস্বচ্ছতা বজায় রেখে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা হলো ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই সরকার চালাবে। কাজেই এন্ট্রি পয়েন্টে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয় তাহলে গোটা সিস্টেমে সেটার প্রভাব থেকে যাবে।’
‘সমস্যা ও সংকট যেগুলো আছে দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে সরকার চালাবে তাদের জন্যও এটা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের আর্থিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
তিনি আরও জানান, কমিশন এরইমধ্যে পাঁচ বছরের রোডম্যাপ দিয়েছে এবং প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর মধ্যেই পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
কমিশন সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে। পিএসসিতে যেন আর কখনো অনিয়ম ফিরে না আসে, এটি যেন সবার আস্থার জায়গা হয় সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের মান এমনভাবে উন্নীত করা হচ্ছে যাতে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি দিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া এবং পিএসসি সদস্য মো. সুজায়েত উল্যা, মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমান, অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া।রীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য