রিয়ান বিন কবিরঃ ফুটবলে চির দুর্ভাগা দলের নাম যদি হয় নেদারল্যান্ড। ক্রিকেটে দুঃখবিলাসের দেবদাস তবে নিউজিল্যান্ড।বারবার শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হতাশার গল্প লিখে ফিরে এসেছে দুই দলই।কখনো সেমিতে,কখনো বা ফাইনালে।৭ বার সেমি ফাইনাল থেকে বিদায়।৩বার ফাইনাল থেকে।
সাদা বলে সর্বশেষ চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই ফাইনালে উঠেছে কিউইরা।প্রতিবারেই বেদনার নীল রঙে হতাশার গল্প লিখেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালে ম্যাককালামের অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে।ভাবা হচ্ছিলো সেমি ফাইনালের জুজু কাটিয়ে এইবার নতুন কোন গতিপথ তৈরী হবে। না এইবারও হলোনা। পুরো টুর্ণামেন্টে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে এসে নিজেরাই গতিপথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় ম্যাককালাম বাহিনী।
২০১৯ সাল। পরের বিশ্বকাপ।দলের ভার এইবার কেন উইলিয়ামসনের উপর।ম্যাককালাম,রস টেইলর,ড্যানিয়েল ভিক্টোরিরা যা পারেন নি সেটা করার প্রত্যয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা। ফাইনালে এইবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।ঘরের শক্র বিভীষণ হয়ে বেন স্টোকসের ব্যাটিং ঘূর্ণিঝড়,সুপার ওভারের মহানাটকীয়তা সবকিছু মিলিয়ে আবারো স্বপ্নভঙ্গ।নিউজিল্যান্ডের কালো জার্সিতে আবারো বেদনার ছাপ।
২০২১ সাল৷ এইবার সীমিত ওভারের বৈশ্বিক টুর্ণামেন্ট। মেলবোর্ন ও লর্ডসের দুঃখ মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভুলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসনরা। আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়ে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্ন।একবছর ঘুরে আরো একটি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার বুকে। শুরু থেকে দারুন ছন্দে ছিলো কিউইরা। অস্ট্রেলিয়া বদ করে শুভ শোচনাও ঠিকঠাক করেছিলো কেন উইলিয়ামসন বাহিনী। তবে সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে আবারো বিশ্বকাপ যাত্রার ট্রাজিক মহাকাব্যের পুনঃমঞ্চায়ন। বদলায়নি কিউই বেদনার দুঃখবিলাসের গল্প।