সেমিফাইনালের আগে কোহলির চোট, ভারতের কপালে ভাঁজ

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) সিডনিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড ও ভারত। কিন্তু ইংলিশদের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুঃসংবাদ ভারতীয় শিবিরে।
অনুশীলনে চোট পেয়েছেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার। মঙ্গলবার অনুশীলনের চোট পান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। জানা যায়, বুধবার অ্যাডিলেডে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পান পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। তবে শেষ খবর তার চোট গুরুতর নয়।
নেটে হর্ষল প্যাটেলের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিলেন কোহলি। হঠাৎই একটি বল আচমকা লাফিয়ে তার কুঁচকিতে আঘাত হানে। এ সময় কোহলিকে সাময়িকভাবে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। নেটের ধারে ব্যাটের উপর ভর দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। তার পরেই হাত নাড়িয়ে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন তার কিছু হয়নি।
মঙ্গলবার রোহিতকে থ্রো ডাউন দিচ্ছিলেন এই রঘুই। সেই অনুশীলনের সময় রোহিতের হাতে বল লাগে। পুল মারতে গিয়ে ফস্কেছিলেন তিনি। বল এসে লাগে তার কব্জিতে। রোহিতেরও বেশ বড় চোট বলেই মনে করা হয়েছিল। অনুশীলন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
রোহিতের ডান হাতে বরফ বেঁধে দেয়া হয়। তার মুখ দেখে মনে হচ্ছিল বেশ যন্ত্রণা করছে। অনুশীলনের জায়গায় পাশে একটি আইস বক্সের উপর বসেছিলেন তিনি। রোহিতের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন দলের মানসিক শক্তি বৃদ্ধির কোচ প্যাডি আপটন। বেশ কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর রোহিত আবার ব্যাটিং করতে আসেন। কিন্তু তখন তাকে শুধু রক্ষণাত্মক শট খেলতেই দেখা যায়। থ্রো ডাউন দিলেও খুব বেশি জোরে বল ছোড়া হচ্ছিল না রোহিতকে।
পবিপ্রবিতে পর্দা উঠলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের

সাব্বির হোসেন, পবিপ্রবিঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) পর্দা উঠলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২।
১০ ই নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় পবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণমূলক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট- ২০২২ শুভ উদ্বোধন করেন পবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
টুর্ণামেন্টে সর্বমোট ৩২ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম রাউন্ডে ১৬ টি ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ডে ৮ টি,কোয়ার্টার ফাইনালে ৪টি, সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ,ফাইনাল ম্যাচ।
আজ বেলা ১১ টায় উদ্বোধনী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে স্বাগতিক পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনী ম্যাচে ১-০ গোলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬ ই নভেম্বর কাঙ্ক্ষিত ফাইনালের মধ্যে দিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ সমাপ্তি ঘটবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ক্রীড়া সুস্থ এবং মানসিক বিকাশের অন্যতম মাধ্যম।তিনি উপস্থিত সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে খেলোয়াড় সুলভ আচরণ করে টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান এবং পবিপ্রবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আলী,ল এ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর পূর্ণেন্দু বিশ্বাস, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর আবুল বাশার , পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন প্রফেসর আহম্মেদ পারভেজ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সুজন কান্তি মালি, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, পবিপ্রবি ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ইবিতে প্রথমবার রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃজেলার ফুটবল টুর্নামেন্ট

মুনিম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃজেলার ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২২ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে সিরাজগঞ্জ বনাম বগুড়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় টুর্নামেন্টটি। টুর্নামেন্টটি আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় জেলার প্রতিনিধিত্ব কারীরা উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন রিজওয়ান আল হাসিব তুহিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাফফাত হোসেন শিশির, নাটরের শাওন হাসনাত, বগুড়ার বাপ্পা হোসাইন বাপ্পী, জয়পুরহাটের মুরাদ হাসান, সিরাজগঞ্জের রেদওয়ান রনি, পাবনার শাহিনুর রহমান শাহিন ও নওগাঁর শাব্বির আহমেদ ফারাবী।
রাজশাহী জেলা কল্যাণের সভাপতি ও প্রতিনিধিত্ব কারী রিজওয়ান আল হাসিব তুহিন বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিসমূহের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই প্রথম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতৃত্ব ও বন্ধন আরও বৃদ্ধি পাবে। ভবিষ্যতেও রাজশাহী বিভাগীয় জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতিসমূহ এই ধরনের ভালো ভালো উদ্যোগের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করি।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রাটাই যেন ট্রাজিক কোন মহাকাব্যের মঞ্চায়ন

রিয়ান বিন কবিরঃ ফুটবলে চির দুর্ভাগা দলের নাম যদি হয় নেদারল্যান্ড। ক্রিকেটে দুঃখবিলাসের দেবদাস তবে নিউজিল্যান্ড।বারবার শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হতাশার গল্প লিখে ফিরে এসেছে দুই দলই।কখনো সেমিতে,কখনো বা ফাইনালে।৭ বার সেমি ফাইনাল থেকে বিদায়।৩বার ফাইনাল থেকে।
সাদা বলে সর্বশেষ চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই ফাইনালে উঠেছে কিউইরা।প্রতিবারেই বেদনার নীল রঙে হতাশার গল্প লিখেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালে ম্যাককালামের অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে।ভাবা হচ্ছিলো সেমি ফাইনালের জুজু কাটিয়ে এইবার নতুন কোন গতিপথ তৈরী হবে। না এইবারও হলোনা। পুরো টুর্ণামেন্টে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে এসে নিজেরাই গতিপথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় ম্যাককালাম বাহিনী।
২০১৯ সাল। পরের বিশ্বকাপ।দলের ভার এইবার কেন উইলিয়ামসনের উপর।ম্যাককালাম,রস টেইলর,ড্যানিয়েল ভিক্টোরিরা যা পারেন নি সেটা করার প্রত্যয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা। ফাইনালে এইবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।ঘরের শক্র বিভীষণ হয়ে বেন স্টোকসের ব্যাটিং ঘূর্ণিঝড়,সুপার ওভারের মহানাটকীয়তা সবকিছু মিলিয়ে আবারো স্বপ্নভঙ্গ।নিউজিল্যান্ডের কালো জার্সিতে আবারো বেদনার ছাপ।
২০২১ সাল৷ এইবার সীমিত ওভারের বৈশ্বিক টুর্ণামেন্ট। মেলবোর্ন ও লর্ডসের দুঃখ মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভুলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসনরা। আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়ে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্ন।একবছর ঘুরে আরো একটি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার বুকে। শুরু থেকে দারুন ছন্দে ছিলো কিউইরা। অস্ট্রেলিয়া বদ করে শুভ শোচনাও ঠিকঠাক করেছিলো কেন উইলিয়ামসন বাহিনী। তবে সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে আবারো বিশ্বকাপ যাত্রার ট্রাজিক মহাকাব্যের পুনঃমঞ্চায়ন। বদলায়নি কিউই বেদনার দুঃখবিলাসের গল্প।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ যাত্রাটাই যেন ট্রাজিক কোন মহাকাব্যের মঞ্চায়ন

রিয়ান বিন কবিরঃ ফুটবলে চির দুর্ভাগা দলের নাম যদি হয় নেদারল্যান্ড। ক্রিকেটে দুঃখবিলাসের দেবদাস তবে নিউজিল্যান্ড।বারবার শিরোপার খুব কাছে গিয়েও হতাশার গল্প লিখে ফিরে এসেছে দুই দলই।কখনো সেমিতে,কখনো বা ফাইনালে।৭ বার সেমি ফাইনাল থেকে বিদায়।৩বার ফাইনাল থেকে।
সাদা বলে সর্বশেষ চার বিশ্বকাপের তিনটিতেই ফাইনালে উঠেছে কিউইরা।প্রতিবারেই বেদনার নীল রঙে হতাশার গল্প লিখেছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালে ম্যাককালামের অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে।ভাবা হচ্ছিলো সেমি ফাইনালের জুজু কাটিয়ে এইবার নতুন কোন গতিপথ তৈরী হবে। না এইবারও হলোনা। পুরো টুর্ণামেন্টে দুর্দান্ত খেলেও ফাইনালে এসে নিজেরাই গতিপথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় ম্যাককালাম বাহিনী।
২০১৯ সাল। পরের বিশ্বকাপ।দলের ভার এইবার কেন উইলিয়ামসনের উপর।ম্যাককালাম,রস টেইলর,ড্যানিয়েল ভিক্টোরিরা যা পারেন নি সেটা করার প্রত্যয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা। ফাইনালে এইবার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।ঘরের শক্র বিভীষণ হয়ে বেন স্টোকসের ব্যাটিং ঘূর্ণিঝড়,সুপার ওভারের মহানাটকীয়তা সবকিছু মিলিয়ে আবারো স্বপ্নভঙ্গ।নিউজিল্যান্ডের কালো জার্সিতে আবারো বেদনার ছাপ।
২০২১ সাল৷ এইবার সীমিত ওভারের বৈশ্বিক টুর্ণামেন্ট। মেলবোর্ন ও লর্ডসের দুঃখ মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ভুলতে পারেননি কেন উইলিয়ামসনরা। আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শেষ হয়ে যায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্ন।একবছর ঘুরে আরো একটি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার বুকে। শুরু থেকে দারুন ছন্দে ছিলো কিউইরা। অস্ট্রেলিয়া বদ করে শুভ শোচনাও ঠিকঠাক করেছিলো কেন উইলিয়ামসন বাহিনী। তবে সেমি ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে আবারো বিশ্বকাপ যাত্রার ট্রাজিক মহাকাব্যের পুনঃমঞ্চায়ন। বদলায়নি কিউই বেদনার দুঃখবিলাসের গল্প।
মন্তব্য