ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)-এর আত্মপ্রকাশ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:১১
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)-এর আত্মপ্রকাশ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (UTL)-এর বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের কেন্দ্রীয় কনফারেন্স রুমে এ কমিটি ঘোষণা করেন ইউটিএল-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউটিএল-এর কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “জ্ঞান, আত্মমর্যাদা, বিশ্বাস ও স্বাধীনতা-এই চার মূলনীতিকে ধারণ করে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (UTL) আত্মপ্রকাশ করে। জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে এই সংগঠন গঠিত হয়েছে, যার লক্ষ্য শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা, একাডেমিক সততা, গবেষণার উৎকর্ষতা, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণে সহায়তা এবং জাতীয় নীতিনির্ধারণে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে নিরলসভাবে কাজ করা।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক পর্ব—১৯৪৭ সালের আজাদি, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা এবং ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব—থেকে ইউটিএল তার প্রেরণা গ্রহণ করেছে। এই তিন ঐতিহাসিক মাইলফলক বাংলাদেশের আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের যে আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলেছে, ইউটিএল তার ধারাবাহিক রূপায়ণে ভূমিকা রাখতে চায়।”

এ সময় তিনি ইউটিএল-এর মিশন, ভিশন ও সংগঠনের মৌলিক কার্যক্রমও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ও নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, “জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে নৈতিক ও আদর্শিক রূপান্তরের সময় চলছে। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের নীরব পর্যবেক্ষকের ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসে জাতির দিকনির্দেশক ও জনমত নির্মাতা হিসেবে কাজ করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই ইউটিএল একটি সক্রিয়, পেশাদার ও সক্ষম শিক্ষক সংগঠন হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে। যা গত ২৬ জুলাই ইউটিএল-এর আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের যেকোনো পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যিনি ইউটিএল-এর মূলনীতি, ভিশন ও মিশনের সঙ্গে একমত, তিনিই এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের উদ্বোধন ও আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান। যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহ। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুনুর রশিদ। এছাড়া যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. জিল্লাল হোসাইন, এবং ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম।

আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে আছেন লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরে আলম, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুবুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইয়েদ আজহারুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক সুমনা আক্তার সুমি এবং ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক মো. আবির হোসেন।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে ইউটিএল-এর আদর্শ, সংগঠনের কাঠামো ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নৈতিক, গবেষণাভিত্তিক ও প্রগতিশীল একাডেমিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় ইউটিএল-এর সহযোগিতা কামনা করেন।

মন্তব্য

বাকৃবিতে জলবায়ু সহনশীল কৃষির জন্যে বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪২
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
বাকৃবিতে জলবায়ু সহনশীল কৃষির জন্যে বালাই ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জলবায়ু সহনশীল কৃষি বিষয়ক তিন দিনব্যাপী বালাই ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সিড প্যাথলজি সেন্টারে ওই কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয় ।
 
এশিয়ায় প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তুলতে সরকারি অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগ আয়োজিত হয়। এ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক, এফএও’র জাতীয় পরামর্শক অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, এবং উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প প্রধান ও কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং প্রকৃতি-নির্ভর টেকসই সমাধান গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বাকৃবি সবসময় কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। 

তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ২২ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ডিলার ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই কৃষি উৎপাদন, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান ও কীট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
 

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ও আবেদনের তারিখ ঘোষণা

    অনলাইন ডেস্ক
    ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২৭
    অনলাইন ডেস্ক
    ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ও আবেদনের তারিখ ঘোষণা

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হবে। এটি চলবে ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

    সোমবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

    সভায় ‘আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম’-এ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সূচি অনুযায়ী- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর, বিজ্ঞান ইউনিটের ২০ ডিসেম্বর, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ৬ ডিসেম্বর, চারুকলা ইউনিটের (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ২৯ নভেম্বর এবং আইবিএ ইউনিটের ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

    আইবিএ ইউনিট ছাড়া সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আইবিএ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

    চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্য ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রসমূহ হচ্ছে- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়/কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

    সভায় চারুকলা ইউনিট ছাড়া অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নাম্বারের এমসিকিউ এবং ৪০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শুধু চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নাম্বারের এমসিকিউ এবং ৬০ নাম্বারের অঙ্কন পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চারুকলা ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিটের এমিসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নাম্বারের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ এবং মাধ্যমিক/সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর থাকবে ২০ নাম্বার। ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক/সমমান এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ‘বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৮ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫, ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৭.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ এবং ‘চারুকলা ইউনিট’-এর জন্য জিপিএ-দ্বয়ের যোগফল ন্যূনতম ৬.৫ এবং আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০ থাকতে হবে।

    আগামী ২৪ নভেম্বর ২০২৫ সোমবার থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

    মন্তব্য

    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ট্রেজারার ভবন উদ্বোধন

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৫৭
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত ট্রেজারার ভবন উদ্বোধন

    জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত ট্রেজারার ভবন ‘কাজী কুঞ্জ’ এর নামফলক উম্মোচনের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

    সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ (রাশেদ সুখন), রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, পরিবহণ প্রশাসক প্রফেসর ড. আহমেদ শাকিল হাসমী, হলের প্রভোস্টগণ, বিভাগীয় ও দপ্তর প্রধানগণসহ শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    টেজারার ভবন উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহ্ফিল পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফ্তি মো. আব্দুল হাকীম। 

    উল্লেখ্য, দোতলা ভীতের উপর দুইতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত ট্রেজারার ভবনের প্রতিটি ফ্লোর ৪,১০০ বর্গফুট করে মোট ৮,২০০ বর্গফুট বিশিষ্ট একটি ডুপ্লেক্স ভবন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ভবনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

    মন্তব্য

    ‘মধ্যপ্রাচ্যের রেমিট্যান্স বাড়াতে আরবি ভাষা শিক্ষায় গুরুত্ব’ বিষয়ক সেমিনার

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৯:২৬
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ‘মধ্যপ্রাচ্যের রেমিট্যান্স বাড়াতে আরবি ভাষা শিক্ষায় গুরুত্ব’ বিষয়ক সেমিনার

    কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইআইইআর) এবং বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, নৈতিক ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং আরবি ভাষা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তাফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

    সেমিনারে বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার তামজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেক, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া।

    সেমিনারের উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইআইইআর) পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

    এসময় বক্তারা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য শ্রমশক্তির বড় বাজার। কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি আরবি ভাষা শেখার মাধ্যমে সেই বাজারের সুবিধা নিতে পারে বাংলাদেশ। সরকারি উদ্যোগে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা নিলে আগামীতে ওই অঞ্চল থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্বিগুণ হতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলা-ইংরেজির মতো পাঠ্যসূচিতে আরবি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা গেলে এ ভাষায় দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা সহজ হবে।

    সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক ইকোনমিক মিনিস্টার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা, মায়ের ভাষা শুদ্ধভাবে শেখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তবে ভিন্ন ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করার গুরুতর ভুল আমরা অতীতে করেছি, যার ফল আজ স্পষ্ট। ইংরেজি শিক্ষকের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হয়েছে। ৮৫ শতাংশ মুসলমানের এই দেশে নীতি-নির্ধারকরা আরবী ভাষাকে কখনোই অর্থনৈতিক প্রয়োজন, ধর্মীয় প্রয়োজন কিংবা নৈতিক প্রয়োজনের কারণে সার্বজনীন করেননি। তারা আরবী ভাষার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক তৈরি করেননি, কিংবা বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভুক্তও করেননি। আজ বাস্তবতার তাগিদে আমরা নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছি। প্রাথমিকসহ সকল স্তরের শিক্ষায় আরবী ভাষা ও ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি।

    অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আরবি ভাষা শিখার মাধ্যমে আমরা বিভিন্নভাবে অবদান রাখতে পারি। মানবসম্পদ তৈরিতে কীভাবে আরবি ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। পেশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বায়ারেদর সঙ্গে যোাগাযোগ করতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তেমনি মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শ্রমবাজারে আরবি ভাষাকে কাজে লাগাতে পারি। আজকে আমাদের দাবি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সর্বস্তরে আরবি ভাষা চালু করতে হবে। ভাষার দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
     

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য
      সর্বশেষ সংবাদ
        সর্বাধিক পঠিত