শিরোনাম
ইনস্টাগ্রাম আইডি ভেরিফাই করবেন যেভাবে
যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম। বিভিন্ন দেশে ইনস্টাগ্রামের কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। সাইটটি একের পর এক নতুন ফিচারও যুক্ত করছে। এজন্য মেটার এই সাইটটি দিন দিন আরও ব্যবহারকারীদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে।
তাই ছবির গ্রহণযোগ্যতা বা এর বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নিরাপদ করতে এখানেও আছে নীল ব্যাচ। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন বা বিশ্বাসযোগ্য প্রোফাল হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করতে তিনটি সহজ ধাপ অনুসরণ করতে পারেন:
১. লগইন করে প্রোফাইলে গিয়ে ওপরের ডান দিকে থাকা তিন লাইনের বারটিতে চাপ দিন।
২. সেখান থেকে স্ক্রিনের নিচের দিকে সেটিংস অপশনে যান। সেটিংস থেকে স্ক্রল করে নিচের দিকে গেলে রিকোয়েস্ট ভেরিফিকেশন অপশনটি পাবেন।
৩. সেখানে আপনার পূর্ণ নাম লিখুন( ন্যাশনাল আইডি কার্ডে যেভাবে লিখা আছে ) এবং ভেরিফিকেশনের জন্য এনআইডি দিয়ে আবেদন করুন। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা সরকারের দেওয়া কোনো আইডি কার্ড ব্যবহার করতে হবে। এগুলো দিয়ে সাবমিট করলে তা পর্যালোচনা করবে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ।
ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ অবশ্য সতর্ক করে বলেছে, আবেদন করা মানেই পেজ ভেরিফায়েড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। যদি আবেদন গ্রহণ করা বা বাতিল করা হয়, তবে তা নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
স্মার্টফোন বিক্রি করে সাইবার ঝুঁকিতে পড়ছেন না তো?
বর্তমানে আমাদের জীবনের অপরিহার্য একটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ‘স্মার্টফোন’। নিজেদের প্রয়োজনের সঙ্গে এটি ফ্যাশনের যন্ত্রও হয়ে গিয়েছে।
মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিত্য নতুন ফিচার সম্বলিত স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছে। এতে আজকে যে স্মার্টফোন সবচেয়ে আধুনিক—অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেটি পুরনো হয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর আগে হয়তো কয়েক মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যুক্ত ফোন যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন দৃশ্যপট বদলে গেছে। একশোর বেশি মেগাপিক্সেল আর সঙ্গে তিন-চারটি ক্যামেরা যুক্ত স্মার্টফোন খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রযুক্তি প্রিয় মানুষের মাঝে ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে ঘন ঘন স্মার্টফোন পরিবর্তনের প্রবণতা রয়েছে। এতে বেড়েছে পুরনো ফোন বেচাকেনাও। যে কেউ চাইলেই খুব সহজে পুরনো ফোন বিক্রি করতে বা কিনতে পারছেন। কিন্তু এই সহজ কাজটিই কখনো কখনো জীবন জটিল ও কঠিন করে দিতে পারে।
কিছুদিন আগের একটি ঘটনা। এক ব্যক্তির মোবাইলে তার কিছু ব্যক্তিগত ছবি পাঠানো হয়। এরপর তিনি ভাবতে লাগলেন, এত সচেতনতার সঙ্গে মোবাইল ব্যবহার করেন, কিন্তু ব্যক্তিগত ছবি অন্য ব্যক্তি পেলেন কীভাবে? এদিকে ব্ল্যাকমেইলার তাকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে ধরতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে তার পুরনো ফোনটি একটি দোকানে বিক্রি করেছিলেন। সেই ফোনটিই হাত ঘুরে ব্ল্যাকমেইলারের কাছে যায়। আর তিনি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই ফোন থেকে পুরনো ডাটা পুনরুদ্ধার করেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—ফোন থেকে সব কিছু মুছে দিলেও কি তা পুনরায় পাওয়া সম্ভব?
এর উত্তর, সম্ভব তো বটেই। এমনকি ফ্যাক্টরি রিসেট করলেও তা রিকভার করা সম্ভব। সত্যি বলতে আমরা যখন কোনো ফাইল মুছে দিই, তখন তা ফাইল সিষ্টেমের লিষ্ট থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে শূন্য জায়গা দেখালেও ফাইলটি সেই ডিক্সেই থাকে, যা কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে উদ্ধার করা সম্ভব। আর এটিকে বলা হয় ডাটা কারভিং। তাই পুরনো ফোন বিক্রির আগে চাই একটুখানি সতর্ক থাকা।
ডাটা এনক্রিপশন: এন্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ডাটা এনক্রিপশনের একটা সুবিধা আছে। সিষ্টেম সেটিংসে গিয়ে মোবাইলের ডাটাগুলো এনক্রিপ্ট করে নিলে তা ডিক্রিপ্ট করার জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। আর এটি শুধু আপনিই জানবেন। ফলে কেউ যদি আপনার ডাটাগুলো রিকভারও করে ফেলে—তা দেখার জন্য সেই পাসওয়ার্ডটি প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে হ্যাকার বা দুষ্কৃতীর পক্ষে ডিক্রিপ্ট করা সম্ভব হলেও পাসওয়ার্ড না পাওয়া পর্যন্ত তা রিকভার করা অনেক কঠিন হবে।
ডাটা প্রতিস্থাপন: ডিজিটাল ডাটা তখনই রিকভার করা সম্ভব হয় যতক্ষণ পর্যন্ত সেই ডিভাইসে নতুন কোনো ডাটা দ্বারা প্রতিস্থাপন করা না হয়। একবার ডিভাইসে নতুন ডাটা রাইট হয়ে গেলে পুরনো ডাটা ফিরে পাওয়া কঠিন। তাই মোবাইলের ফ্যাক্টরি রিসেট করার পর কিছু পুরনো অপ্রয়োজনীয় ডাটা যেমন গান, নাটক-চলচ্চিত্র বা অন্যকোনো ফাইল কপি করে আবার রিসেট করা যেতে পারে।
এছাড়াও কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাটা মুছে ফেলা যায়। সফটওয়্যারের এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ডাটা ওয়াইপ। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। প্রযুক্তিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই। নিত্য নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনেক পুরনো ডাটা রিকভার করা সম্ভব। তাই একজন সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হিসেবে নিজের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টার বিকল্প নেই।
ফেসবুকে রিচ বাড়ানোর উপায় জেনে নিন
অবসরে সময় কাটানো ফেসবুক এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞাপনদাতা থেকে শুরু করে ক্রিয়েটর সবাই এখন চেষ্টা করছে অর্গানিক উপায়ে কীভাবে আরও বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে নিজেদের কন্টেন্ট পৌঁছানো সম্ভব হবে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ পোস্টের রিচ অর্গানিক উপায়ে তুলনামূলক অনেক কম হচ্ছে। রিচ বাড়ানোর জন্য টাকা দিয়ে প্রমোট করতে হচ্ছে। জেনে নিন ফেসবুকে রিচ বাড়ানোর উপায়।
প্রথমেই জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কেন কম হচ্ছে? ফেসবুক তার ইউজারদের মনোভাব বুঝে তাদের কাছে পোস্ট রেকমেন্ড করে। ধরে নিন আপনার একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে আপনি খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে পোস্ট করেন। আপনার ওই পেজ যারা লাইক করেছেন তাদের কাছে সেই পোস্ট পৌঁছনোর কথা। কিন্তু দেখা গেল যারা লাইক করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আপনার পোস্টগুলো পছন্দ করছেন না, অথবা হয়তো আগে পছন্দ করতেন কিন্তু এখন সেগুলি পছন্দের তালিকায় নেই। ফেসবুক কিন্তু সবই বুঝতে পারে। এবং যারা আপনার পোস্ট পছন্দ করছেন না তাদের কাছে আপনার পেজের পোস্টগুলো রেকমেন্ড করবে না। ফলে কমবে আপনার পোস্ট রিচ।
কোন সময়ে কন্টেন্ট পোস্ট করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার পোস্ট রিচ হয়। আপনি কোনও পোস্ট যদি মাঝরাতে করেন তাহলে তা এমনিতেই বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের কাছে কম পৌঁছবে। পাশাপাশি ফেসবুক-এ সবসময় ট্র্যাফিক সমান থাকে না, ফলে ট্র্যাফিক যখন কম থাকে তখন পোস্ট করলে রিচ কমবে আপনার পেজের কন্টেন্টের। আপনার পোস্ট করা কন্টেন্টে যত ভালো তথ্য থাকে রিচ তত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এরসঙ্গে আরও একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার। আপনি যখনই ফেসবুক-এ লগইন করেন তখন সর্বপ্রথম দেখা হয় আপনার প্রোফাইলের কোনও বন্ধু বা কোনও পেজ থেকে নতুন কিছু পোস্ট করা হয়েছে কিনা। এমন সেগুলি আপনি পছন্দ করবেন কিনা। এরসঙ্গে দেখা হয় ওই কন্টেন্টগুলিতে আপনার কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার করার সম্ভাবনা কতটা। পুরো বিষয়টি করে ফেসবুক-এর এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)।
কীভাবে পেজের রিচ বাড়াবেন? আপনার পোস্টে যেন হিউম্যান টাচ থাকে সে বিষয়ে নজর দিন। অর্থাৎ হিউম্যান ইন্টারেস্ট কন্টেন্টের উপর নজর দিন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ট্যাগ করে পোস্ট করুন।
গতানুগতিক পোস্ট করলেই হবে না। মাঝে মধ্যে ইনফোগ্রাফিক্স বা ভিডিও পোস্ট করুন। ওপেন এন্ডেড প্রশ্ন পোস্ট করুন। যার মাধ্যমে আপনার পেজের ফলোয়ার্স বা আপনার বন্ধুরা কোনও মন্তব্য করতে পারবেন। তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
ক্লিক বেইট কোনও কিছু পোস্ট করা যাবে না। কারণ ফেসবুক এর অ্যালগরিদম এবং এআই অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তারা পুরো বিষয়টি ধরে ফেলবে। তাই ক্লিক বেইট কোনও কন্টেন্ট পোস্ট করা একদম উচিত নয়।
অর্গানিক রিচের ডেটা অ্যানালিসিস করুন নিয়মিত। ফেসবুক এর ইনসাইট বোঝার চেষ্টা করতে হবে। কোনও দিন রিচ বাড়ছে, কোনোদিন কমছে তা যেমন বুঝতে হবে তেমন কেন বাড়ছে বা কমছে তা বুঝতে হবে।
প্রত্যক্ষ করের আওতায় আসছে গুগল, ফেসবুক, নেটফ্লিক্স
যে সব আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানির বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী অফিস নেই এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরাসরি করের আওতায় আসবে।
এছাড়া দেশে ই-কর্মাস ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রসারের কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর আইনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বিলে ফ্রি হুইলিং ‘ই-কর্মাস’ ব্যবসাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে।
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের অংশ হিসেবে এনবিআরের আয়কর শাখা ডিজিটাল অর্থনীতি থেকে কর রাজস্ব সংগ্রহ এবং প্রত্যক্ষ করের জাল প্রসারিত করতে সম্ভাব্য কর যোগ্য-আয়ের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করছে।
বর্তমানে এনবিআর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, অ্যামাজন, নেটফ্লিক্স এবং উদীয়মান মেটাভার্সে রাজত্ব করা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে ভ্যাট ছাড়া অন্য কোনো আয়কর পায় না।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা যখন ব্যাংকগুলো প্রেরণ করবে তখন স্থায়ী অফিস থাকা বিদেশি কোম্পানিগুলো থেকে ২০ শতাংশ উৎসে কর কাটতে হবে।
আয়কর কর্মকর্তারা বলছেন যে তফসিলি ব্যাংকগুলো বর্তমানে বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস থাকা সংস্থাগুলোর আয়ের ওপর উৎসে কর কাটতে পারে না।
তারা বলেন, সরকারি উচ্চপদস্থদের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস থাকা বা না থাকা কোম্পানিগুলোর ওপর আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎসে কর আরোপ করা হতে পারে।
আয়কর কর্মকর্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন এবং নেটফ্লিক্সের মতো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর পদচারণা কর কর্তৃপক্ষকে প্রত্যক্ষ-কর ব্যবস্থা পুনর্বিবেচনা করতে প্ররোচিত করেছে।
এসব কোম্পানি বিশ্বব্যাপী প্রচুর মুনাফা করছে। ২০২১ সালের চূড়ান্ত ত্রৈমাসিকে গুগলের নেট আয় ৩২ শতাংশ বেড়ে ৭৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, ওই বছরের শেষ পর্যন্ত মোট ৭৬ বিলিয়ন ডলার লাভ হয়েছে।
একজন ঊর্ধ্বতন কর কর্মকর্তা বলেন, এসব কোম্পানি বাংলাদেশে যে পরিমাণ আয় করবে তার ওপর ট্যাক্স দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অনাবাসী সংস্থাগুলোর জন্য করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হবে না। কারণ তারা স্থায়ী অফিস ছাড়া ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারবে না। ’
কর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস নেই এমন কোম্পানিগুলোর জন্য কিছু ভিন্ন আর্থিক ব্যবস্থার খোঁজ করছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে করদাতা অনাবাসিক সংস্থাগুলোকে তাদের আয়ের ঘোষণা গ্রহণ করতে হবে কারণ এনবিআর বিদেশি কোম্পানিগুলোর ভার্চ্যুয়াল লেনদেনের ভুল ঘোষণা সনাক্ত করতে সক্ষম নয়।
তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তাদের নিজ দেশে আয় পাঠানোর সময় এভাবে কর কর্তনের মাধ্যমে দ্বৈত-কর পরিহার চুক্তির (ডিটিএএ) কিছু ধারা লঙ্ঘন করা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অপর একজন কর কর্মকর্তা (যিনি ডিটিএএ নিয়ে কাজ করেন) বলেন, এনবিআর বর্তমানে যে এলাকা থেকে কর সংগ্রহ করে তা ডিটিএএর আওতায় পড়ে না।
এর আগে, হাইকোর্ট একটি রায়ের পূর্ণ পাঠে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলো তাদের আয়কর রিটার্ন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) জমা দিতে বাধ্য।
স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে যে অ্যাপগুলো
স্মার্টফোনের ব্যাটারি পুরো চার্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ক্লাস শেষে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে যখন বাসে উঠলেন, তখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা প্রায়। বাসে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য পকেট থেকে স্মার্টফোন বের করেই চমকে উঠলেন তিনি। স্মার্টফোনের ব্যাটারি প্রায় শেষের পথে। কিন্তু তিনি তো আজ বেশি সময় স্মার্টফোনে কথা বলেননি, ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন কেবল। তাহলে ব্যাটারি শেষ হলো কীভাবে? মোস্তাফিজুরের মতো এ সমস্যা আমাদের অনেকেরই হয়। কারণ আর কিছুই নয়, আমাদের স্মার্টফোনে থাকা অ্যাপগুলোই গোপনে শেষ করে দেয় ব্যাটারির চার্জ । এমনকি চালু না থাকলেও ঠিকই ব্যাটারি খরচ করতে থাকে অ্যাপগুলো। স্মার্টফোনে বেশি ব্যাটারি খরচ করা অ্যাপগুলোর পরিচয় জেনে নিন।
স্ন্যাপচ্যাট স্ন্যাপচ্যাট অ্যাপ আমরা অনেকেই ব্যবহার করি। কিন্তু আপনি জানেন কি, ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটি স্মার্টফোনের ব্যাটারি ধীরে ধীরে শেষ করে ফেলে। এমনকি ব্যবহার না করলেও গোপনে কাজ করতে থাকে। আপনার অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে হালনাগাদ নোটিফিকেশন বার্তা জানান দিতেই এমনটি করে অ্যাপটি। শুধু তা-ই নয়, আপনাকে না জানিয়েই নিয়মিত হালনাগাদ হতে থাকে। ফলে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়। এ ছাড়া বার্তা বিনিময় ও ভিডিও দেখানোর জন্য স্মার্টফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ করে অ্যাপটি।
নেটফ্লিক্স এবং ইউটিউব যেকোনো ভিডিও অ্যাপ ব্যবহারের সময় ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ব্যাটারি বেশি খরচ করা অ্যাপগুলোর তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নেটফ্লিক্স। নতুন সিনেমা বা সিরিজের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহের জন্যও সব সময় স্মার্টফোনে চালু থাকে নেটফ্লিক্স অ্যাপ। ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। ইন্টারনেটের গতি বেশি থাকায় অনেকেই ইউটিউবে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও দেখেন। কিন্তু অনলাইন থেকে সরাসরি ভিডিও প্রদর্শন করায় স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে ইউটিউব। তবে ইউটিউব ব্যবহারের সময় কমিয়ে ব্যাটারি বাঁচানো সম্ভব। ইউটিউবের Remind me to take a break ফিচারটি ব্যবহার করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি বাঁচানোর সুযোগ মিলে থাকে।
ফেসবুক বার্তা বিনিময়ের পাশাপাশি আমরা প্রায় সবাই ফেসবুকে ভিডিও দেখে থাকি। এতে তুলনামূলক বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। তবে ফেসবুক অ্যাপের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটি আপনার অজান্তেই স্মার্টফোনে চালু থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পাশাপাশি নিজেদের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন অন্যান্য অ্যাপের সঙ্গেও যুক্ত থাকে। ফলে দ্রুত ব্যাটারি খরচ হয়। তবে ফেসবুক লাইট অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যাটারি খরচ কিছুটা কমানো যায়।
মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ অন্য মেসেজিং অ্যাপ থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ করে। কারণ, ফেসবুকের মতো মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপও গোপনে সব সময় স্মার্টফোনে চালু থাকে। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন অ্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে।
ভিপিএন অ্যাপ অনলাইনে বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেকেই ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অ্যাপ ব্যবহার করেন। ভিপিএন অ্যাপও গোপনে সব সময় চালু থাকে। ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়।
গেম স্মার্টফোনে গেম খেললে ব্যাটারি খরচ বেশি হয়, এ তথ্য সবারই জানা। মূলত গেম খেলার সময় স্মার্টফোনের স্পিকার, গ্রাফিকস, টাচস্ক্রিন বেশি ব্যবহারের কারণেই ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন গেম অনলাইন থেকে বিভিন্ন তথ্যও সংগ্রহ করতে থাকে। ফলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়
টিকটক টিকটকে ভিডিও দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করেন অনেকেই। ভিডিও দেখার পাশাপাশি ভিডিও ধারণের সুযোগ থাকায় অ্যাপটি অনেক বেশি ব্যাটারি খরচ করে। শুধু তা-ই নয়, ব্যবহারকারীদের অবস্থান ও আগ্রহ অনুযায়ী ভিডিও দেখাতে স্মার্টফোনে চালু থাকে অ্যাপটি।
ব্যাটারি বুস্টার অনেকেই ব্যাটারির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যাটারি বুস্টার অ্যাপ ব্যবহার করেন। অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর স্মার্টফোনে থাকা অন্য অ্যাপগুলোকে গোপনে চালু হতে বাধা দেয়। কিন্তু এ কাজ করার জন্য নিজেই সব সময় চালু থেকে ব্যাটারি খরচ করতে থাকে।
মাইক্রোসফট আউটলুক দৈনন্দিন জীবনে খুব দরকারি অ্যাপ হলেও ব্যাটারি খরচ করা অ্যাপের তালিকায় মাইক্রোসফট আউটলুকও রয়েছে। অনলাইনে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করায় অ্যাপটি ব্যাটারির খরচ বেশি করে।
কেনাকাটার অ্যাপ অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য বিভিন্ন শপিং অ্যাপে ঢুঁ মারেন অনেকেই। অ্যাপগুলো ক্রেতাদের সামনে বিভিন্ন অফার ও ছাড়ের তথ্য তুলে ধরতে সব সময় অনলাইনে যুক্ত থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে, ফলে ব্যাটারির খরচ তুলনামূলক বেশি হয়।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য