শিরোনাম
ইবিতে 'বাংলাদেশে কর রাজস্ব এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি' শীর্ষক পিএইচডি সেমিনার
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগে 'বাংলাদেশে কর রাজস্ব এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি' শীর্ষক পিএইচডি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারের প্রথম দিনে ভূমিকা, পর্যালোচনা ও গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে অর্থনীতি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এডভান্স স্টাডি কমিটি ও অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পিএইচডি সেমিনারে ড. আরিফুল ইসলামের উপস্থাপনায় অর্থনীতি বিভাগ অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্করের সভাপতিত্বে পর্যালোক হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল ওয়াদুদ উপস্থিত ছিলেন। পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূইয়া এবং সহ-তত্ত্বাবধায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহেদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে গবেষণা উপস্থাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির। এছাড়া, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ-সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গবেষক মো. হুমায়ুন কবির জানান, ট্যাক্স ইকোনোমিক গ্রোথকে কীভাবে প্রভাবিত করে এটাই এই সেমিনারে দেখানো চেষ্টা করা হয়েছে। ট্যাক্সের সাথে কোন কোন ভ্যারিয়েবল গুলো জড়িত, এটা কী ধরনের প্রভাব ফেলে, নির্দিষ্ট শতাংশ ট্যাক্স বাড়ালে এটা জিডিপিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, প্রতিবছর যে পরিমাণ ট্যাক্স পাওয়ার কথা সেটা পাওয়া যাচ্ছে না, এর কী কী কারন থাকতে পারে এ বিষয়গুলো নিয়ে আজকের সেমিনারে আলোচনা করা হয়েছে। সেমিনারে অনেক শিক্ষক ছিল, এক্সপার্ট প্যানেল ছিল যাদের পরামর্শ পরবর্তী কাজে অন্তর্ভুক্ত করব।
ইবিতে খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতার প্রেস ব্রিফিং
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা খেলাফতে ছাত্র মজলিসের সাংগঠনিক অবস্থা, কার্যক্রম, নেতৃত্ব ও সামগ্রিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদ ও মাহদী হাসান শিকদার। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং করেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ইবি শাখা সভাপতি সাদেক আহমেদ সহ সভাপতি নোমান হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ খান,
অর্থ সম্পাদক ইকরাম হুসাইন, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যাম্পাস সম্পাদক জিহাদ মোল্লা, ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইকরামুল হক, পাঠাগার সম্পাদক রাকিব হুসাইন প্রমুখ।
বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদের সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদ বলেন, স্বাধীনতার পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ইবি শাখার সাংগঠনিক সামগ্রিক কার্যক্রম দেখা, সামনে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন তাদের ব্যাপারে কেমন কর্মসূচি নেওয়া যেতে পারে তা পর্যালোচনা, আসন্ন ইকসু গঠনের পরিকল্পনা সহ সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করতে ক্যাম্পাসে আসলাম।
কেন শিক্ষার্থীরা ছাত্র মজলিস গ্রহণ করবে জানতে চাইলে প্রশ্নোত্তরে তিনি জানান, মূলত ইসলামী ছাত্র মজলিস ছাত্রদের সংগঠন। শিক্ষার্থীদের অধিকার, একাডেমিক বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু মুসলিম না অমুসলিম শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সোচ্চার। নৈতিকতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাবতীয় অধিকার আদায়ে পাশে থাকবে ছাত্র মজলিস।
আসন্ন ইকসু নির্বাচনে আলাদা প্যানেল দিবে বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা পরিকল্পনা করতেছি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক প্যানেল ঘোষণা করতে। আপাতত জোটের বিষয়ে ভাবছি না। তবে কেন্দ্রে পর্যালোচনা চলছে যদি প্রয়োজন মনে হয় তাহলে জোটের কথা আসবে।
সংগঠনটির আর্থিক খাতগুলো বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমাদের নির্দিষ্ট কোনো খাত নাই। সংগঠনের সদস্যরাই আর্থিক খাত। সদস্য নির্দিষ্ট পরিমাণ এয়ানত দেয়। পাশাপাশি শুভাকাঙ্ক্ষীরা সহযোগিতা করেন।
ইসলাম নিয়ে কাজ করা অন্য সংগঠনের সঙ্গে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে বলেন, ইসলামপন্থী সংগঠনগুলো লক্ষ উদ্দেশ্যের দিক থেকে আমরা এক। কর্মপদ্ধতি বা সাংগঠনিক ভাবে গঠনতন্ত্র ভিন্ন হতে পারে। বৃহৎ স্বার্থে আমরা এক হবো।
রাবির পোষ্য কোটা পুনর্বহাল : ছুটির দিনেও বিক্ষোভ করলেন শিক্ষার্থীরা
পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার ছুটির দিন জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থান শেষে বিক্ষোভ সমাবেশের সমাপ্ত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তাঁরা, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা মেধা, মেধা মেধা’, ‘২৪-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘চব্বিশের অভ্যুত্থান যে বিষয়কে কেন্দ্র করে হয়েছিল, সেটা ছিল অযৌক্তিক পোষ্য কোটা। জুলাই বিপ্লবের ছয় মাস পরে আমরা পোষ্য কোটা বাতিল করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আবার এই পোষ্য কোটা ফিরিয়ে এনেছে। এই মৃত পোষ্য কোটা কোনোভাবেই ফেরত আসতে দেওয়া যাবে না।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসুকে ঘিরে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, দলমত-নির্বিশেষে সকল প্রার্থীর মধ্যে যে ঐক্যের আবহ তৈরি হয়েছিল, তা ভন্ডুল করার উদ্দেশ্যে প্রশাসন পোষ্য কোটা আবার ফিরিয়ে এনেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই পোষ্য কোটা আর ফিরতে পারবে না।’
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওরাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাত ১২টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ স্থগিত করেন এবং পরবর্তী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিক্ষোভ করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শর্তসাপেক্ষে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল করা হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানেরা ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেলেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
শর্তগুলোর মধ্যে কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঔরসজাত বা গর্ভজাত সন্তান কোটার সুবিধা পাবে, ভর্তির প্রাথমিক আবেদনের জন্য বিজ্ঞাপিত যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হবে, মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসনসংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়টি বিবেচিত হবে, প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করে মেধা তালিকা করা হবে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্ধারিত শর্তাবলিসহ অবশ্যই ন্যূনতম পাস নম্বর থাকতে হবে, কোনো বিভাগে দুজনের অধিক ভর্তির সুযোগ থাকবে না, কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানকে তাঁর কর্মরত বিভাগে ভর্তি করানো যাবে না, ‘অটো মাইগ্রেশন’ ছাড়া শিক্ষার্থীর বিভাগ পরিবর্তনের অন্য কোনো সুযোগ থাকবে না, ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম প্রমাণিত হলে ছাত্রত্ব বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সুবিধার আওতায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী কোনোভাবেই আবাসিক হলে সিটের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবে না।
অবৈধ বাস-লেগুনা স্ট্যান্ড ও ফুটপাত উচ্ছেদে বিতর্ক কাম্য নয়: জবি শিক্ষক সমিতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ও রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে অবৈধ বাস-লেগুনা স্ট্যান্ড এবং ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। যারই পরিপ্রেক্ষিতে জবি শিক্ষক সমিতির প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যেই গত ৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ট্রাফিক বিভাগ, বাস মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কার্যকর সমাধান আসেনি।
চলতি মাসের শুরুতে এক ছাত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ৭ সেপ্টেম্বর ডিসি ট্রাফিকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানে বাস মালিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিষয়টি কেবল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, বরং আশপাশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। এ উদ্দেশ্যে ১০ সেপ্টেম্বর এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়, যেখানে ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষক সমিতির মতে, সাময়িক অসুবিধা থাকলেও অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ শিক্ষার্থীদের জীবনরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, যানজট নিরসন, বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ হ্রাস এবং অবৈধ লেনদেন ও মাদক ব্যবসা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া অটো রিকশার গতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ এবং বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই চলমান এইসব বিতর্ক সমীচীন নয়।অযাচিত প্রশ্ন তুলে এ উদ্যোগকে বিতর্কিত করা কারও জন্যই কাম্য নয়। বৃহত্তর স্বার্থে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।"
শহীদ সাজিদের স্মৃতিচারণে জবি শিক্ষার্থীদের টুর্নামেন্ট ও ঐক্য সফরের আয়োজন
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বীর শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের আত্মত্যাগ এবং স্বৈরাচারের মূল উৎপাটনে তার অমূল্য অবদানকে স্মরণ করে "শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্পোর্টস টুর্নামেন্ট এবং ঐক্য সফর ২০২৫" আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাদারহুড। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি এই আয়োজন করেন।
মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্টে, মুন্সিগঞ্জ ১২ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) এ আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল শহীদ সাজিদের স্মৃতিকে অম্লান রাখা এবং তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করা। বক্তারা শহীদ সাজিদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, "জীবন দিয়ে হলেও আমরা এই সংগ্রামে কাজ করে যাবো, যাতে আগামী প্রজন্ম স্বাধীন ও সমান অধিকারভুক্ত সমাজে বাঁচতে পারে।"
এই আয়োজনের মূল বক্তব্য ছিল "ঐক্যই শক্তি ঐক্যই মুক্তি"।
উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য চেয়ার সিটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়াও উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রেফেল ড্র এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও বৈষম্যহীন, শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস বিনির্মানে শিক্ষার্থীদের মতামত ও অতিথিদের দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মোস্তাফিজুর রহমান রুমি বলেন, "শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ আমাদের গর্ব, আমাদের সাহস এবং দৃঢ়তার প্রতীক। তাঁর আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় চির অম্লান হয়ে থাকবে। তার স্মৃতিই আমাদের পথ প্রদর্শক, আমাদের সংগ্রামের অনুপ্রেরণা।"
তিনি আরও বলেন, "আজ আমরা তাঁর স্মৃতিতে এই আয়োজন করছি। শহীদ সাজিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ। তিনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়েছেন, যেন একটি বৈষম্যহীন, শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।"
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাফর মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান মোল্লা সহ প্রায় ৩৫০ এর অধিক নেতা কর্মী।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য