ঢাকা, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫ ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
 
শিরোনাম

মাত্র ১২% মানুষ বিএনপি কে, ১০% মানুষ জামায়াত কে ভোট দিতে চায়: ভিপি নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১১ আগস্ট, ২০২৫ ২৩:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
মাত্র ১২% মানুষ বিএনপি কে, ১০% মানুষ জামায়াত কে ভোট দিতে চায়: ভিপি নুর

"মাত্র ১২% মানুষ বিএনপিকে, ১০% মানুষ জামায়াত কে ভোট দিতে চায়" বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।


এসময় তিনি একটি গবেষণা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মাত্র ১২% মানুষ বিএনপিকে, ১০% মানুষ জামায়াত কে, ১৪% মানুষ বলতে চায় না কাকে ভোট দিবে, বাকি ৪৮% মানুষ এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি তারা কাকে ভোট দিবে। তিনি বলেন, তার মানে এটা পরিষ্কার ১৪% মানুষ বিএনপি, জামায়াত কাউকে ভোট দিতে চায় না, আর ৪৮% মানুষের সিদ্ধান্ত আমরা জানি না। এই সম্ভাবনাময় পরিস্থিতিতে যারা ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করবেন তারা যদি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারেন, তাদের মাঝে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা করে নিতে পারেন, তাহলে আগামীতে মানুষ আপনাদের গ্রহণ করবে।


তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত, মজলুম ছিল, আজকে তারা জালেম হয়ে উঠছে। বিভিন্ন এলাকায় দখল বাজি, চাঁদাবাজি, মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন এমনকি অন্য দলের লোকেরা এলাকায় থাকতে হলে তাদের কাছে থেকে মাশেয়ারা নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এটা করেছিল। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এটা করেছিল। সীমান্ত দিয়ে কাপড় ছাড়া পালিয়েছে। আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী জুতা পড়ার সময় পান নাই। দেশের প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিবসহ পালিয়েছে। 


তিনি আরো বলেন, এই উদাহরণগুলো থাকার পরেও যদি কেউ শিক্ষা না নেয়, তাহলে তাদের জন্যও ভবিষ্যতে নিষ্ঠুর পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই আমরা সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বলতে চাই, এদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা পরিবর্তনের পক্ষে। কাজেই দশটা হোন্ডা, বিশটা গন্ডা, শোডাউন দিয়ে, মিছিল করে, মিটিং করে, হুমকি দিয়ে, প্রশাসন দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে, কেউ মন্ত্রী হবেন এমপি হবেন, সরকার গঠন করবেন সেই ইতিহাস ভুলে যান। 


এছাড়াও আয়োজিত এই গণসমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় ও রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্র, যুব ও গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    ৪২ দলের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক, যেসব আলোচনা হলো

    অনলাইন ডেস্ক
    ১১ আগস্ট, ২০২৫ ১৩:৩১
    অনলাইন ডেস্ক
    ৪২ দলের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক, যেসব আলোচনা হলো
    ছবি : সংগৃহীত

    দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৭ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার দলগুলোকে এক কাতারে আনতে চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নির্বাচনেও মিত্রদের ঐক্যবদ্ধভাবে পাশে চান তিনি। 


    ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর মিত্র ৪২টি দলের সঙ্গে ২ দিন পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করে বিএনপি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন বর্জন করা আরও ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করার কথা রয়েছে তারেক রহমানের।


    জানা যায়, শুক্র ও শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৪২ দলের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 


    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতাও এতে অংশ নেন। 


    তখন নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আসছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।


    বৈঠকে অংশ নেওয়া কয়েকজন নেতা অভিন্ন তথ্য দিয়ে যুগান্তরকে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া এক ধাপ এগিয়েছে। এ জন্য বিগত সময়ে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছেন তিনি। ৩১ দফা নিয়ে সবাইকে জনগণের কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন। 


    বৈঠকে মিত্রদলগুলোর নেতারাও যুগপৎ আন্দোলনের মতো আগামী নির্বাচনে বিএনপির পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা যোগ্য নেতাদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার কথাও বলেন কয়েকজন মিত্র নেতা। আগামী নির্বাচনে আসন ও সরকার গঠনে যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়নের প্রত্যাশার কথাও জানান তারা। 


    সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ পর্যায়ে দেশের ৬৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টি দল রয়েছে, যারা বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন বর্জন করেছিল। এছাড়া ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠন হওয়া এনসিপিসহ আরও ৪টি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনানুষ্ঠানিকভাবে হতে পারে। 


    এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ৪২ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      ঢাবিতে হল রাজনীতির পক্ষে ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন

      অনলাইন ডেস্ক
      ১১ আগস্ট, ২০২৫ ৬:১৩
      অনলাইন ডেস্ক
      ঢাবিতে হল রাজনীতির পক্ষে ছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন

      ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগেুলোর সঙ্গে ক্যাম্পাস রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণে আলোচনা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


      রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। বৈঠকে ঢাবির অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন হলভিত্তিক রাজনীতি বজায় রাখার পক্ষে মত দেয়।


      বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ছাড়া বাকি সব সংগঠন এ প্রস্তাব সমর্থন করে। এই আলোচনায় অংশ নেয় ১৬টি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন, যদিও আমন্ত্রিত ছিল ২৩টি।


      এদিকে বৈঠকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপস্থিতির প্রতিবাদে সভা ত্যাগ করে পাঁচটি সংগঠন। এর মধ্যে তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), মাহির শাহরিয়ার রেজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের ছাত্র সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট শুরুতেই ওয়াকআউট করে। পরে বক্তব্য দেওয়ার পর বৈঠক ত্যাগ করে মেঘমল্লার বসুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের আরেকটি অংশ এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।


      ঢাবি প্রশাসন জানায়, আলোচনার লক্ষ্য হল থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা তৈরি করা এবং ডাকসু নির্বাচনে সব সংগঠনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।


      বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, গেস্টরুম, গণরুম ও অপ-রাজনীতির সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি ঐতিহাসিক রূপরেখা প্রণয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


      উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অতীতের গণরুম, জোরপূর্বক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নেওয়া ইত্যাদি কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা ও ট্রমা রয়েছে। তাই সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকে রাজনীতির রূপ কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই কোনো অবস্থাতেই সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি না হোক।’


      তিনি আসন্ন ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কোনো দমনমূলক ব্যবস্থায় ফেরত না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।


      এ বিষয়ে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, প্রথম বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল মতামত শোনা, এবং এ সংলাপ চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও অনলাইনে মতামত নেব।’


      ছাত্রশিবির সাংবাদিদের জানায়, ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে রাজনীতি হবে, না চাইলে হবে না।’


      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        দেশ গড়তে বিএনপিই প্রথম আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে: তারেক রহমান

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ১০ আগস্ট, ২০২৫ ২০:৫
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        দেশ গড়তে বিএনপিই প্রথম আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে: তারেক রহমান

        দেশ গড়তে বিএনপিই প্রথম আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 


        রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রায় ১৬ বছর পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


        এসময় সংস্কার প্রস্তাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আড়াই বছর আগে স্বৈরাচার সরকারের আমলেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম। সেই ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বর্তমানে সংস্কারের জন্য যেসব আলোচনায় আসছে, অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি আড়াই বছর আগেই জাতির সামনে ঘোষণা করেছিল। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি এই দেশকে যদি এগিয়ে নিতে হয় তাহলে কতগুলো ব্যাপারে রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে। আর সেই জন্য অন্য কেউ চিন্তা করার আগেই বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলাম।’


        তিনি আরো বলেন, ‘মানুষ এখন বিশ্বাস করে একমাত্র বিএনপির পক্ষেই সম্ভব এই দেশকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলা। দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলো যদি মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে প্রথমে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তাহলে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারব না। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের। তাই সকলের প্রতি তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।


        উল্লেখ্য রাজশাহী মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেখানে মিজানুর রহমান মিনু সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই কমিটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিল। এর পর আর কোনো সম্মেলন ও কাউন্সিল করার সুযোগ পায়নি দলটি।


        /মুজাহিদুল ইসলাম 



        প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        আগামী নির্বাচনে অধিকাংশ জনগণের সমর্থন বিএনপি পাবে: তারেক রহমান

        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৯:৪৮
        ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
        আগামী নির্বাচনে অধিকাংশ জনগণের সমর্থন বিএনপি পাবে: তারেক রহমান

        ‘আগামী নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন ধানের শীষ তথা বিএনপি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এরপরে দেশ গড়তে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’


        রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে প্রায় ১৬ বছর পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। আগামী নির্বাচনে আমরা সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমাদেরকে দেশকে গড়তে হবে। স্বৈরাচার তাদের নিজেদের স্বার্থে শিক্ষা, বিচার, আইনশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে আমাদের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে।’


        সংস্কার প্রস্তাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আড়াই বছর আগে স্বৈরাচার সরকারের আমলেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের সামনে ৩১ দফা উপস্থাপন করেছিলাম। সেই ৩১ দফার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। বর্তমানে সংস্কারের জন্য যেসব আলোচনায় আসছে, অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি আড়াই বছর আগেই জাতির সামনে ঘোষণা করেছিল। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি এই দেশকে যদি এগিয়ে নিতে হয় তাহলে কতগুলো ব্যাপারে রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে। আর সেই জন্য অন্য কেউ চিন্তা করার আগেই বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলাম।’


        উল্লেখ্য রাজশাহী মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেখানে মিজানুর রহমান মিনু সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে এই কমিটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিল। এর পর আর কোনো সম্মেলন ও কাউন্সিল করার সুযোগ পায়নি দলটি।


        /মুজাহিদুল ইসলাম 


        মন্তব্য
        সর্বশেষ সংবাদ
          সর্বাধিক পঠিত