২ বছর পর বেরোবি ছাত্রলীগের ২০৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা

বেরোবি প্রতিনিধি: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রায় ২ বছর পর পেলো বেরোবি ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী পোমেল বড়ুয়া এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান শামীম।
বুধবার (১৫ মে ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এছাড়াও কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতিঃ মোঃ ফজলে রাব্বী, বিধান বর্মন, মোঃ রেজওয়ান-উল-আনাম তন্ময়, মোঃ তানভীর আহমেদ, শাকিরুল ইসলাম মুরাদ, শামীম আহমেদ, রকিবুল হাসান রুপম, মোঃ রেজাউল করিম শাকিল, আবদুল্লাহ আল-নোমান খান, লুবনা হক মিমি, আব্দুস সালাম, মোঃ সামিউল রেজা রিমন, আরিফুল ইসলাম, মোঃ ইমরান কবির, দীপ্ত সরকার, মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন সবুজ, মেহেদী হাসান নিপু, মোঃ মামুন রহম, জাকারিয়া, জাহিরুল ইসলাম জাহির, মোঃ ইসরাকুল ইসলাম সোহান, মোঃ শফিউল ইসলাম শফিক, আল-আমিন বিশাল, শেখ সবুজ মিয়া, নাঈমুল ইসলাম, আখতার হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ ফজলে রাব্বি (জিইএস), মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম মুবিন, তরুন কুমার রায়, আব্দুর রহমান জিসান, মোঃ রাব্বি হক, হাসিবুল ইসলাম তুষার, মবিন মিয়া, মোঃ আবির শাহরিয়ার অনিক, আল আমিন চৌধুরী ইভান, মোঃ শানবীর হাসান, ওয়ালিউর রহমান আকিব, মোঃ রেজাউল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সালেকিন ইসলাম, মোঃ শাহীন আলম, মোঃ রোকন মিয়া, আল আমিন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জিম।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: আসিফ উর রহমান হিমেল, মোমিনুল হক, মোঃ সাকিব-আল-হাসান, এমরান চৌধুরী আকাশ, কাওসার আহমেদ শাওন, মাসুদুল হাসান মাসুদ, শহিদ হাসান, রেজোয়ানুল ইসলাম নিলয়, মোঃ আরমান সালমান, মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, মোঃ মোস্তাফিজার আলী পিয়াস।
সাংগঠনিক সম্পাদক: ফরহাদ হোসেন এলিট, ধনঞ্জয় কুমার দাস টগর, নেসার উদ্দিন, মিনহাজুল ইসলাম মানিক, সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী, মোঃ রেজাউল ইসলাম রিফাত, পিপাস আলী, সেজান আহমেদ আরিফ, সাগর শেখ। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ মোঃ সাখাওয়াত, রেজাউল করিম লেমন।
প্রচার সম্পাদক: মোঃ ছাব্বির আহমেদ, উপ-প্রচার সম্পাদক: মোশারফ হোসেন, সজিবুল হক জনি দপ্তর সম্পাদকঃ মোঃ বাবুল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক: মোঃ তানজিল জামান, মো: জুয়েল হক, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক: প্রিয়দর্শী চাকমা উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদকঃ সেঁজুতি দাস মুমু, মোঃ হারুন অর রশিদ, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক: ওবায়দুর রহমান কনক, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকঃ মোঃ বরাতুজ্জামান বরাত, মোঃ রিসান, ক্রীড়া সম্পাদক: সিয়াম আরাফাত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক: মানিক চন্দ্র সেন, মমিন মিয়া, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক: পাপ্পু তালুকদার, উপ-সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদকঃ সাইদুর রহমান আশরাফুল, মো: রিফাত হাসান সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ আনিছুর রহমান, উপ-সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: এনামুল হক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ পুতুল চন্দ্র, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: মথি ত্রিপুরা, মেহেদী হাসান সাগর।
প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদকঃ মাধব রায়, উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক: আরমান আরাফাত অর্ণব, আমিরুল ইসলাম খান, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: শেখ মোঃ ইমরান হোসেন, উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদকঃ জি এম রাব্বি, শাহীন ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ আতিক শাহরিয়ার, উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ, পরিতোষ রায়, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক: মুশফিকা ইফফাত চৌধুরী অর্থী, উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক: নুসরাত জাহান শ্রাবণী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদকঃ শাহান মাসবীহ্, উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক: আলমগীর সরকার, মোঃ হুজাইফা, আইন বিষয়ক সম্পাদক: মো: কফি আনান মান্না, উপ- আইন বিষয়ক সম্পাদক: এ কে এম মেহেরাজ হাসানাত অনিক, আবু সাইদ খন্দকার শিমুল, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ আরাফাত রহমান আবীর, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: পঙ্কজ কুমার সিংহ রায়, মো: মামুনার রশিদ, স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকঃ হাসান আলী, উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ মাহবুবুল হক কানন, মো: শোয়াইবুল ইসলাম সাঞ্জু।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক: সিয়াম আল নাহিদ, উপ-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদকঃ সাজ্জাদুল আহমেদ সোমেল, মুশফিকুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: ধীমান রায়, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: রাজন আহমেদ, মাহমুদুল হাসান আবির, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ অমিত হাসান, উপ-গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ পিয়াল হাসান, ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক: আবু সালেহ মোঃ নাহিদ, উপ-ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক: মিলন কুমার রায়, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ আল-আমিন হোসেন শান্ত, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকঃ মৃত্যুঞ্জয় রায়, মোঃ মোশফিকুর রহমান, গনযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: আল জাকারিয়া, উপ-গনযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মমিনুর ইসলাম, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: রানা সরকার রবিন, উপ-মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল আলীম ইমন, নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ শাকিল মিয়া উপ-নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদকঃ মাসুদ রানা জয়, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক: জুয়েল রানা উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক: রবীন্দ্রনাথ রায়, ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ রুবেল খান উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ আরিফ হোসেন
কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ তাজিম আহমেদ, উপ-কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ তৌফিক হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক: কাজল কুমার রায়, উপ-মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোজাম্মেল হক,অটিজম বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ আহসান হাসান হাবীব সৌরভ, মাহমুদুর রহমান হৃদয়, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক: হামিদুল হিমাদ্রী, উপ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ আমিন হোসেন, মোঃ রবিউল ইসলাম, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক: জ্যোতি সরকার, উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক: মিজানুর রহমান, মোঃ নাদিমুল ইসলাম পিয়াল, কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ মনিরুজ্জামান মাসুম, উপ-কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকঃ সাজেদুল ইসলাম রনি, জান্নাতুল ইসলাম শাকিল, ছাত্রী ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: সাদিয়া সিদ্দিক নির্যাস, উপ-ছাত্রী ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: ইসরাত জাহান বর্ষা।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) সম্পাদকঃ মেহেদী হাসান লিংকন, উপ-টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) বিষয়ক সম্পাদকঃ মাহমুদ আল ফায়সাল, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সম্পাদক: আরিফুজ্জামান ইমন, উপ-উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন বিষয়ক সম্পাদকঃ মোঃ মুসান নাবিন আহমেদ নাবিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল রায়হান, উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পাদকঃ হাসিবুল হাসান সোহাগ, মোঃ মেহেরাজ হোসাইন, মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: গাজীউর রহমান উপ-মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক: মোঃ মেহেদী হাসান (ইইই)।
সহ-সম্পাদক: প্রত্যয় কুমার সাহা, মোঃ মনোয়ার হোসেন, মোঃ সারোয়ার হোসাইন সেলিম, সুরমা আফরোজ মিলি, মোঃ সাদ ইবনে ওয়াইশ, মোঃ আল আমিন মিয়া, গালিব হাসান, মীম নূর রশিদ মোহাম্মদ লিরিক, মনিন্দ্র নাথ রায়, তানজিম হাসান লিপু, হাসিব ইবনে হারুন, এস এম সিয়াম, সালেকুর রহমান, জ্যাকসন চাকমা, মুহাদ্দীত লোহানী মাথিন, আল মাহমুদ লিটন, তৌহিদ মোরসালিন, দেবাশীষ রায়, আব্দুল হাদী, সাজ্জাদ হোসেন শাকিল।
সদস্য: এ এস এম শফিকুল আজম, শাদমান সাকিব আহমেদ, আল মাহমুদ লিটন, মোঃ সাঈদ হাসান নাফি, রহিম বাদশা, মোঃ আরিফুর ইসলাম, জুলকার নাঈম, মোঃ পারভেজ হাসান, আরমান আরাফাত, মোঃ মহিউদ্দীন বাবু, মোঃ হাসানুর রহমান, মো: আরিফ ফয়সাল।
পূর্নাঙ্গ কমিটির বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহাফুজ বলেন, দেশ রত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নেতৃত্বে আমাদের পূর্নাঙ্গ ঘোষিত কমিটি সদস্যদের নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সব সময় শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে পাশে থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে স্বপ্নের সারথি হিসেবে কাজ করবে বেরোবি ছাত্রলীগ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়া। সেটাও আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি যেন আমাদের জন্য একটি উৎসব হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ভাই এর প্রতি।
দীর্ঘ একযুগ পর হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় একযুগ পর কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। এতে সভাপতি হিসেবে আলমগীর হোসেন আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এম.এম. মাসুদ রানা মিঠু'র নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১০ সালে হাবিপ্রবি তে কমিটি অনুমোদন করেছিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যা ২০২১ সালে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনবার কমিটি গঠণের জন্য কর্মীসভা করে আগ্রহী নেতৃবৃন্দের সিভি জমা নিলেও কমিটি গঠন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে কমিটি নিয়ে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের অচলাবস্থা ভাঙতে গত ১১ মার্চ আরেক দফায় কর্মীসভা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। সেই সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটি করার ঘোষণা দেন। তারপর থেকে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ গত ১৪ মে রাত বারোটায় সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫৯ জনের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ।কমিটিতে সহসভাপতি পদে ৩৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৭ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জনকে রাখা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিঠু বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ ২০১০ সালে ছাত্রলীগের কমিটি ছিল। এরপর ২০২১ সালে তা বিলুপ্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৩ বছর প্রতীক্ষার পর অবশেষে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এজন্য ছাত্রলীগের সম্মানিত কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে সুসংগঠিত হয়ে কাজ করতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা নয়, ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করতে চাই।"
এছাড়াও কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে রয়েছেন মোরশেদুল আলম রনি, সৈয়দ মুরসালিন হোসেন বাপ্পী, শেখ শাহ্ আসাদুল্লাহ সালেহীন সৌরভ, ধনেশ চন্দ্র পাল, বীজন কুমার দেবনাথ, দিপু রায়, মেহেদী হাসান অনিক, মো. আসাদুল হাবিব আশিক, অনন্য আকবর অন্তু, রিয়াদ খান, উত্তম কুমার পাল, শুভ সত্যজিৎ রায়, মোস্তফা জামাল, সাকিব ইসলাম খান, মশিউর রহমান মোমিন, রাব্বি শেখ, মুরাদ সরকার মিকাত, মো. আতিকুর রহমান বাপ্পী, মাহফুজ আহমেদ জনি, কিশোর কুমার, আল বারাকা বণিক, মো. আসিফ সালেহীন বিশাল, সায়েম আবরার, শেখ ইশতিয়াক আহমেদ, শেখ সৈয়দা ইসরাত, হুসাইনুর মিঠুন, ফারজানা তানজিম, মো. ইমরান হোসেন, খাদেমুল ইসলাম মৃদুল, শাহ্ পরাণ, আব্দুল্লাহ আল মামুন শুভ, মো. নাসিফ হাসান, ইফতেখার জাহান নিশাত, আমিরুল এহসান নিশাত, রাশিদুল ইসলাম রাহাত, চন্দন বর্মন, ওমর ফারুক ফাহিম, শুভ্র নিয়োগী ও মো. রাফসান জনি।
এছাড়াও রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক - লিরা রহমান, সাব্বির মাহমুদ শুভ, শেখ সারোয়ার হোসেন সুমন, ধনঞ্জয় ভৌমিক জয়, রাসেল আলভী, মনোয়ার হোসেন লাম, ও মো: আবুল বাশার।
সাংগঠনিক সম্পাদক -বখতিয়ার ফাহিম, মেহেদী হাসান হৃদয়, এম তাফসীরুল-ই-আব্বাসী মৃধা, মোঃ আল আমিন, জেবা তাসনিম জেরিন, আনিসুজ্জামান বিপ্লব, মো. রাব্বুল হাসান, ফরহাদ আহমেদ মুন্না, রাকিব জামান, হাবিবুন মুসতারি ইভা ও মো. মনিরুজ্জামান।
রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, চার নেতা বহিষ্কার

রাবি প্রতিনিধি: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে গত তিন চারদিন ধরে বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছিল, তাদের বহিস্কার করেছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হলে ছাত্রলীগে অন্যায়কারীর জায়গা নাই। অন্যায়কারীর কোন দল বা পরিচয় থাকতে পারে না। অন্যায়কারীর পরিচয় শুধুই অন্যায়কারী। ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করার পূর্বে ভাবতে বাধ্য হবে। এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সংগ্রামী সভাপতি হোসেন সাদ্দাম ভাই, বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আংশিক কমিটির ২২ মাস পর ইবি ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন

ইবি প্রতিনিধি: আট বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ১৯৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতকে সভাপতি ও নাসিম আহমেদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। আংশিক কমিটি গঠনের এক বছর দশ মাস পর এসে পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি গঠন করলো ইবি শাখা ছাত্রলীগ। আংশিক কমিটি ঘোষণার এক বছরের মাথায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হলেও গত এক বছরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব হয়নি। এর আগে, ২০১৬ সালে সর্বশেষ ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূ্র্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছিলো ইবি শাখা ছাত্রলীগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ১৭৫ জনকে নতুন করে স্থান দেয়া হয়েছে । বিষয়টি রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিশ্চিত করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আমরা ইবি শাখা ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অন্তরের অন্তস্থল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সাদ্দাম ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ইনান ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আগামী দিন গুলোতে ইবি শাখা ছাত্রলীগ কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আরো সুন্দর ও স্পৃহা নিয়ে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করছি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, সাংগঠনিক একটি পরিচয় পাওয়া প্রতিটি কর্মীর জন্য একটি গর্বের বিষয়। সকল ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে দীর্ঘ ৮ বছর পরে যে ইবি শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা একটি পরিচয় পেয়েছে, এতে কর্মীদের চেয়ে আমরাই বেশি খুশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে কুক্ষিগত করে রেখেছে ছাত্রলীগ; সভাপতি ছাত্রদল

রাবি প্রতিনিধি: ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রলীগ দখল করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে হলগুলোকে কুক্ষিগত করেছে। সেখানে ছাত্রদল এবং অন্যান্য দলের শিক্ষার্থীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকাল ১০টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি'র কার্যালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আরো বলেন, ছাত্রলীগ 'কোটা সংস্কার আন্দোলন' ও 'নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে' হেলমেট বাহিনী হয়ে কিভাবে হাতুড়ি পেটা করেছে তা সবাই দেখেছে। ক্যাম্পাসে আপনাদেরকে তারা অবাধে ক্লাস করতে দেয় না, হলে থাকতে দিচ্ছে না, পরীক্ষা থাকলে সেখানে বাঁধা দেওয়া হয়। তারপরও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থেমে থাকেনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বীর ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের স্বার্থ একটি তা হলো আপনারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছেন। যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে সেদিন আপনারা বীর পুরুষ হিসাবে সম্মান পাবেন। খুব দ্রুতই সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য আমরা শাখা, হল ও অন্যান্য কমিটির অনুমোদন দিবো এবং তদারকি করব।
সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমদ রাহী বলেন, আপনারা আমাকে বীজ বপনের দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা বপন করেছি। আমি জানি কোন গাছের ফল ভালো। সুতরাং প্রতিটি বিভাগ ও হল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক পাতায়-পাতায় যেন ছাত্রদল স্থান পায় সে জন্য কারা কাজ করে যেতে পারবে তা আমি ভালো বলতে পারব। আমরা খুব শীঘ্রই রাবি ক্যাম্পাসটাকে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত করতে চাই। আমরা একটি শক্তিশালী কমিটির অনুমোদন দিয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত সব আন্দোলন এই ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গত কয়েক বছর ধরে শাখা ছাত্রলীগ যেভাবে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে তা আপনারা সবাই জানেন। তারা ২১ সালে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে মারধর করে শিবির ট্যাগ দিয়েছে। তারা হলের খাবার চুরি করেছে। বুয়েটে আবরার হত্যা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হিন্দু শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে। সারা দেশে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তাদের দ্বারা। যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের এই কাজকে সমর্থন করছে তাদের নাম ইতিহাসে ঘৃনাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধের রাজনীতি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চায়। আমরা আশা করছি রাবি শাখা ছাত্রদল আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুমসহ শাখার সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য