বিশেষ প্রতিবেদক: আতিকুর রহমান আতিক ২০১২ সাল থেকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকার শহরের অদূরে অবস্থিত সাভার উপজেলা রাজনৈতিক কারনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। বিরোধী দলের নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচী অর্থাৎ ২০১৩ থেকে ১০১৫ সালে বি এন পি জামায়াত জোটের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন মোকাবেলা ও হেফাজতে ইসলামের রাজনৈতিক কর্মসূচী মোকাবেলায় সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মত।
সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিটা ইউনিয়ান ও কলেজ ছাত্রলীগ অত্যন্ত সুসংগঠিত। প্রতিটি ইউনিটে নির্দিষ্ট সমায়ের ব্যাবধানে কমিটি করে ও শিক্ষার্থী বান্ধব কর্মসূচী পালন করে স্থানীয় রাজনীতির সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও করেনা কালীন সমায়ে সাভার উপজেলার প্রতিটি অস্বচ্ছ্ল ছাত্রলীগ নেতা কর্মী ও সাধারন শিক্ষার্থীর পরিবারের পাশে দাড়িয়েছিল আতিকুর রহমান আতিক।
সর্বশেষ ২ রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত ইতিহাসের সর্ব বৃহৎ ছাত্র সমাবেশে ৮-১০ হাজার ছাত্র জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচীতে অংশ নেয় সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ। একটি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে এমন ছাত্র জমায়েত প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বমহলের নেতা কর্মীদের মাঝে।
ছাত্র সমাবেশের কিছুদিন পর সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকে নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম কিছু নেতি বাচক সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত এই সংবাদের বিপক্ষে সরব সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সহ স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা। তারা মনে করছেন, জামাত বি এন পির বিপক্ষে আতিকের অতীত ও বর্তমানের শক্তিশালী অবস্থান ও সাভারে শিক্ষার্থী ও তরুন সমাজে তার বিপুল জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে একটি মহল এমন নেতিবাচক নিউজ করাচ্ছে।
সংগঠনের দীর্ঘদিনের পরিক্ষীত সহযোদ্ধা ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের জবাবে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান সুইডেন প্রবাসী রবিউল আউয়াল রুবেল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ভাবে জবাব দিয়েছেন।
মানুষ সাদা চোখে যা দেখে তা সংবাদ নয় বরং গঠিত বিষয়বস্তু নিয়ে আমি কি ভাবি সেটাই সংবাদ- রুপার্ট মারডক।
আমি সাংবাদিকতা বিভাগের কোন সাবেক ছাত্র নই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে আমার এক বন্ধু কিশোরগঞ্জের মহসিন ভূঁইয়া, আমরা একই সাথে থাকতাম। সে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস নিয়ে পড়াশোনা করত। তার সাথে থাকার সুবাদে ইন্টারন্যাশনাল নিউজ পড়তে শুরু করলাম। বিশেষ করে ফক্স নিউজ, দা টাইমস, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এছাড়াও ব্রিটিশ অনেক ট্যাবলয়েড। কিন্তু সংবাদপত্রের চেয়ে, এই সংবাদকে কে নিয়ন্ত্রণ করে তার ওপর আমি মনোনিবেশ করলাম। খুজে পেলাম একজনের নাম: রুপার্ট মারডক মিডিয়া মোঘল।
সংবাদপত্র কি রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে কিনা? সে প্রশ্নের জবাবে এই তো ২০২১ সালেই তিনি বলেছিলেন, অবশ্যই হ্যাঁ সংবাদপত্র রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এরপরে খানিকটা রুপার্ট মারডক দ্বারা প্রভাবিত হয়েই বাংলাদেশের এক অখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি একটি ডিপ্লোমা নিয়েছিলাম সাংবাদিকতার উপর।
কিন্তু সেই পেশায় আমি জীবনেও কোনদিন যাই নাই। কেননা আমি ইতিহাসের মানুষ, সাহিত্যের মানুষ, রাজনীতির মানুষ, বিজ্ঞান নিয়ে ঘাটাঘাটি করার মানুষ।
কিন্তু সম্প্রতি একটি বিষয় আমার গোচরে এসেছে। কিভাবে একটি নিউজ ছাত্রলীগের ক্ষমতার পালাবদলকে টিকিয়ে রাখছে।
বিষয়টি একটু খোলাসা করি:
ছাত্রলীগের নাম শুনলে এমনিতেই মিডিয়াগুলো ২০ হস্ত চাপাতি বের করে ,জবাই করার জন্য। পাইছি এইবার গরম মসলা।
আতিকের বাবা ১৯৯৯ সালে সাভারে আসে। গার্মেন্টসে চাকরি করে দুইটা বাড়ি করে নিজ অর্থায়নে। এরপর তার ছেলে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে কথিত শত কোটি টাকার মালিক বনে যায়। এই হলো মোটা দাগে মূল কথা!
মিডিয়া সদম্ভে প্রচার করেছে বাড়ি কিংবা জায়গা গুলোর কাগজপত্র দলিল দস্তা- বেজ। এগুলো তো জায়গা জমির দলিল কিংবা খতিয়ান। দুর্নীতির খতিয়ান নয়?
ডিস ব্যবসা, বালু ব্যবসা ছাত্রলীগের জন্য অবৈধ নাকি?
মিডিয়ার কথা এক সেকেন্ড ধরে নিচ্ছি আতিক সবকিছু দুর্নীতি কিংবা জোরপূর্বক দখল করেছে? তাহলে তো তার নামে মামলা হওয়ার কথা কমপক্ষে ১০০ টি। এখানে তার নামে কোন অভিযোগ পর্যন্ত দেখাতে পারেননি?
আতিকের লোক সাভারের ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে, আবার সেই ছেলে মাস্ক মুখে দিয়ে আতিকের নাম বলবে বিষয়গুলো একটু হাস্যকর হয়ে গেল না?
আজকে যার কথায় নিউজ করলেন কমিটি ঠেকিয়ে দেওয়ার জন্য? তার বাবার ছাতুর কলের উৎস কোথা থেকে? সে কিভাবে এতগুলো গাড়ি ব্যবহার করে, একবার খোঁজ নিয়েছেন? নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইতে খাইতে চোখের নিচে নীলা ফালিয়ে ফেলেছে? সে যে নেশাগ্রস্ত এটা তার বাহ্যিক অবয়বই প্রমাণ করে। এটা সেন্ট্রাল ছাত্রলীগ দেখেও না দেখার ভান করে কেননা তার ক্ষমতায় উৎস অবৈধ টাকা। সেটা সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই এর প্রতিটি ছাত্রজনতাই জানে।
পূর্বে তারা এক নেতার রাজনীতি করতো এখন আবার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব ভাইয়ের কাছে ধরনা দিছে পিঠ বাঁচানোর জন্য। মূলত টার্গেট আতিকুর রহমান আতিক নয়। তাদের টার্গেট মনজুর আলম রাজিব। সামনে নির্বাচন, আতিককে মাইনাস করে মনজুরুল আলম রাজীব ভাইয়ের হাতকে দুর্বল করে দেওয়াই মূলত মেইন উদ্দেশ্য। এছাড়াও ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কমিটিকে বিলম্বিত করাও তাদের উদ্দেশ্য।
আর হ্যাঁ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এর মুখের কথায় দুর্নীতি দমন কমিশন চলে না। হয়তো এই প্রজন্ম জানেই না টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ১/১১ এর প্রধান কুশিলবদের অন্যতম। সোজা কথা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার অন্যতম কারিগর ছিল এই লোক। আর তার কথায় আতিককে জবেহ করা হবে। বিষয়টি এত সহজ হবে না।
আমরা সাংবাদিকতা নিয়ে একটু হলেও পড়াশোনা করি যদিও এ বিষয়ে আমার অজ্ঞতাই বেশি। তারপরও হলপ করে বলতে পারি এরা রুপার্ট মারডক জানেনা, এরা হাইডেগার জানে না, এরা নোয়ম চমস্কি পড়েনা, এরা এন্টনিউ গ্রামসি পড়ে না, এরা এড-ওয়ার্ড সাইদ জানে না, গায়ত্রী চক্রবর্ত্তী স্পীভাক জানে না।
সোজা কথা ব্রাদার সাবোল্টারন হিস্টরি না জানলে সাংবাদিকতার কাউন্টার এন্টাগনিজম আপনি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না। এদের কাজই হলো আন্দাজে একটা রিপোর্ট করে ছাত্রলীগের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া। এটা ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ। বৈশাখের ঝড়ে কুনো ব্যাঙ ডাকবেই, তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নাই।