ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সহ ৫ দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে জামায়াতের স্মারকলিপি

জেলা প্রতিনিধি
১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৮:৫০
জেলা প্রতিনিধি
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সহ ৫ দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে জামায়াতের স্মারকলিপি

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা।

রোববার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শহরের খুলনারোড মোড়স্থ আসিফ চত্ত্বর এলাকা ও শহীদ আব্দুর রাজ্জাকা পার্ক থেকে পৃথক বিক্ষোভ মিছিলে শতশত নেতাকর্মী জেলা প্রশাসক জনাব মোস্তাক আহমেদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক,  সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমীর ডা.মাহামুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওমর ফারুক, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এড.আব্দুস সুবহান মুকুল, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান,দেবহাটা সেক্রেটারী ইমদাদুল হক প্রমুখ।

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্দোলনের ৫ দফা গণদাবি জানিয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, বিগত সরকার স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপের মাধ্যমে সংবিধান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করে ধ্বংস করেছে। হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা—কর্মীর উপর জুলুম—নির্যাতন, মামলা—হামলা, গুম ও খুনের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক কণ্ঠরোধের চেষ্টা চালানো হয়েছে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল এসব অবৈধ কার্যক্রমে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে জুলাই—আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র—জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এ কারণে জনগণ তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল।

জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে ১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা ২. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা ৩. অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    তিন মন্ত্রণালয়ের সচিব বদলি

    অনলাইন ডেস্ক
    ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৭
    অনলাইন ডেস্ক
    তিন মন্ত্রণালয়ের সচিব বদলি

    তিন মন্ত্রণালয়ের ৩ সচিবকে বদলি করা হয়েছে। আজ রোববার এ-সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক, সংযুক্ত) সিদ্দিক জোবায়েরকে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে (এনএপিডি) সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক) পদে পদায়ন করা হয়েছে।

    পৃথক আরও দুটি বিবৃতিতে বলা হয়, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পরিকল্পনার ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সিরাজুন নূর চৌধুরীকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।

    জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      এনসিপিকে কেনো শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি, জানালেন সিইসি

      অনলাইন ডেস্ক
      ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৫
      অনলাইন ডেস্ক
      এনসিপিকে কেনো শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি, জানালেন সিইসি

      জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের দলের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চাইলেও নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রতীক তালিকায় তা না থাকায় প্রতীকটি দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

      সিইসি বলেন, ‘কোনো দল যদি নিবন্ধন পায় আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীক আছে, সেখান থেকে একটা নিতে হয়। এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি।’

      তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন চাইলে প্রতীকের সংখ্যা কমাতে পারে, বাড়াতে পারে। তবে শাপলা প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন।’

      এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘বিধান হলো যে তালিকাভুক্ত প্রতীক আছে, ওখান থেকে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে থাকা প্রতীক কমিশন কাউকে দেয়নি। তবে কমিশন চাইলে প্রতীক বাড়াতে ও কমাতে পারে। আগে ১১৫টি প্রতীক ছিল না, এখন আছে।’

      রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি। কিন্তু তাদের চাওয়া শাপলা প্রতীক ইসির সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় নেই। তাই বিধিমালায় থাকা একটি প্রতীক পছন্দ করে ৭ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে এনসিপিকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। তবে দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ই চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গত মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি ই–মেইলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠিয়েছে দলটি।

      চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি অংশ নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও। সভায় নির্বাচন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সেনাবাহিনীকে নিয়ে দেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চায়: জামায়াত আমির

        অনলাইন ডেস্ক
        ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:১৩
        অনলাইন ডেস্ক
        সেনাবাহিনীকে নিয়ে দেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চায়: জামায়াত আমির

        গুম ও খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

        জামায়াত আমির বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

        সেই সঙ্গে এও বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ গর্বিত থাকতে চায়।

        রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। যা তার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়।

        জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির তার পোস্টে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছিলেন অন্ধ সহযোগী। ফলে গুম এবং খুনের একটি ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা একটি জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।

        ‘তবে সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে’, যোগ করেন তিনি।

        সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

        বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আশা করি, কারও ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। পরিণতিতে দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          সশস্ত্র বাহিনীর আর কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই

          অনলাইন ডেস্ক
          ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ০:১
          অনলাইন ডেস্ক
          সশস্ত্র বাহিনীর আর কারও বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই

          আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটরের তথ্য উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কোনো পরিকল্পনা নেই।

          আজ শনিবার বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি যে, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’

          শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে শফিকুল আলম বলেন, ‘এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মনগড়া গুজব।’

          জনগণকে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ভেতরে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।’

          শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যেই এসব অসৎ গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

          প্রেস সচিব স্পষ্ট করে জানান, সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) বিলুপ্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

          তিনি বলেন, ‘সংস্থাটির সীমান্তবর্তী ও বহিঃদেশীয় গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদার করতে সরকার সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বিবেচনা করছে।’

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত