ইউজিসির এপিএ ৪র্থ অবস্থানে খুবি

খুবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯৫.৪৭ স্কোর পেয়ে ৮ ধাপ এগিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে ২য় এবং সম্মিলিতভাবে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ; জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা; ই-গভর্ন্যান্স উদ্ভাবন; অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাপ্ত স্কোর ১০০-র মধ্যে ৯৫.৪৭ পেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের অবস্থান ছিল ১২তম, যেটি এখন ৪র্থ স্থানে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিম লিডার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এপিএ নির্ধারিত সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এপিএ মূল্যায়নে অসামান্য এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার ফসল। এজন্য সকলকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও গবেষণায় মৌলিক অবদান রাখার পাশাপাশি একটি আদর্শ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব মাপকাঠিতে অনাগত দিনগুলোতেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে থাকবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ মূল্যায়ন প্রবর্তন করা হয়। ধাপ এগিয়ে ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪র্থ অবস্থানে খুবি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ৯৫.৪৭ স্কোর পেয়ে ৮ ধাপ এগিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে ২য় এবং সম্মিলিতভাবে ৪র্থ অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ; জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা; ই-গভর্ন্যান্স উদ্ভাবন; অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাপ্ত স্কোর ১০০-র মধ্যে ৯৫.৪৭ পেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের অবস্থান ছিল ১২তম, যেটি এখন ৪র্থ স্থানে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ টিম লিডার ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস জানান, উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এপিএ নির্ধারিত সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উপাচার্যের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এপিএ মূল্যায়নে অসামান্য এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সর্বাত্মক সহযোগিতার ফসল। এজন্য সকলকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। শিক্ষা ও গবেষণায় মৌলিক অবদান রাখার পাশাপাশি একটি আদর্শ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব মাপকাঠিতে অনাগত দিনগুলোতেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে থাকবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ মূল্যায়ন প্রবর্তন করা হয়।
‘এশিয়ার নোবেল’ ম্যাগসাইসাই পেলেন বাংলাদেশের রাখসান্দ

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের করভী রাখসান্দ এশিয়ার নোবেলখ্যাত এবারের র্যামন ম্যাগসাসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন। করভী রাখসান্দকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষায় অবদান রাখায় এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে উদীয়মান নেতৃত্বের ক্যাটাগরিতে এ পদক বিজয়ীদের একজন হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার পাওয়া অপর তিনজন হলেন হলেন ভারতের রবি কানন, তিমুরের ইগুনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম কোরোনেল-ফেরারূ।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মোট চারজনকে এ পুরস্কারে ভূষিত করার ঘোষণা দেয় র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন।
এ পুরস্কার প্রদান করে ফিলিপাইনের সপ্তম প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত র্যামন ম্যাগসাসাইয় অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিস। করভী রাখসান্দ বাংলাদেশ থেকে সম্মানজনক এই পুরস্কার পাওয়া ত্রয়োদশ ব্যক্তি। তার আগে সর্বশেষ ২০২১ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ফেরদৌস কাদরী।
তার কঠোর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ভূমিকা শিক্ষার গণতন্ত্রায়নের ভূমিকা রেখেছে। তার সামাজিক রূপান্তরের আহ্বান উৎসাহিত করেছে হাজারও তরুণকে। সামাজিক রূপান্তরের জন্য তার অদম্য মনোভাব, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ও দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য কমিটি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ৩৮ বছর বয়সী করভী রাখসান্দ ছয় বন্ধুকে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০০৭ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন তারা।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রথমে খুব ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা নিজস্ব ১১টি গতানুগতিক ও অনলাইন স্কুলের মাধ্যমে ১০টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে সরকার-স্বীকৃত ইংরেজি ভাষার প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে থাকে। তার এই কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দিয়েছে র্যামন ম্যাগসাসের বোর্ড অব ট্রাস্টিস।
এছাড়াও আরও ১২ বাংলাদেশি এশিয়ার নোবেলখ্যাত এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন স্যার ফজলে আবেদ খান, ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।
রোবোসাব ২০২৩ এ ব্র্যাকইউ ডুবুরি দলের অসামান্য সাফল্য উদযাপন করলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

রোবোসাব ২০২৩ এ ব্র্যাকইউ ডুবুরির অসামান্য সাফল্য উদযাপন করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। এই উপলক্ষ্যে ২৭শে আগস্ট ২০২৩ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্র্যাকইউ ডুবুরির সদস্যদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রোবোটিকস প্রতিযোগিতা রোবোসাব ২০২৩ এ রানার আপ হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত স্বয়ংক্রিয় ডুবোযান ব্র্যাকইউ ডুবুরি।
রোবোনেশন এর পৃষ্টপোষকতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার সেন্টার প্যাসেফিক এর সহ পৃষ্টপোষকতায় এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রান্সডেকে অবস্থিত অফিস অফ নেভাল রিসার্চ এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি মেরিটাইম ইন্ড্রাস্ট্রিকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় সেগুলোর সমাধান করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ৩১ জুলাই থেকে ৬ আগস্টে অনুষ্ঠিত এবছরের প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ৩৪টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগতায় প্রথম হয়েছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টা।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাকইউ ডুবুরি দলকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর এবং ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেট কমিউনিকেশন এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট শামীম উজ জামান এবং ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ড্রাস্টির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকইউ ডুবুরির সদস্যরা রোবোসাব ২০২৩ এ একেবারে শুরু থেকে রানার আপ হওয়া পর্যন্ত তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতাসমূহ তুলে ধরেন। তারা তাদের বক্তব্যে নিজেদের শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ, অধ্যবসায় এবং আত্মউৎসর্গের গল্পগুলো সবার সামনে তুলে ধরেন। ব্র্যাকইউ ডুবুরিকে একটি ধারাবাহিক উন্নয়নশীল প্রজেক্ট হিসেবে উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্র্যাকইউ ডুবরি দলটি ভবিষ্যতে আরো সাফল্য পাবে এবং রোবোটিকসে আরো শ্রেষ্ঠত্ব বয়ে আনবে।
ব্র্যাকইউ ডুবুরির এই অর্জনকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেছেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ও ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে রোবোটিকসে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পথে অন্যতম দিশারী হতে পারে। তিনি ইন্ড্রাস্টি স্টেকহোল্ডারদের এগিয়ে আসতে এবং শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের এসব উদ্যোগকে সহায়তা করার আহবান জানান।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পাঠানো অভিনন্দন বার্তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন এই অর্জনকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশের জন্য ‘বিশাল পাওয়া’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘ব্র্যাকইউ ডুবুরি অনেক অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে অনেক নৌ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রোবট ডুবুরিকে এসব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কাজে লাগালো সেটি দুর্ঘটনা কবলিত যান এবং মানুষকে সনাক্ত করতে পারবে এবং সেগুলোর উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। সেই সাথে এই রোবট ডুবুরিকে কাজে লাগিয়ে আমরা বঙ্গোপসাগরের নিচে থাকা বিপুল সম্পদ আহরণ করতে পারবো।’
এক বার্তায় রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের হার না মানা মনোভাব এবং অসম্ভবকে জয় করার মানসিক শক্তিকে রবি সেলিব্রেট করে। ‘পারবে তুমিও’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা কোনো কাজের পেছনে যে উদ্যম, যে প্রচেষ্টা সেটাকে আরও উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছি। ব্র্যাকইউ ডুবুরি’র এই তরুণেরা সম্মুখীন হয়েছিল অনেক চ্যালেঞ্জের, কিন্তু তারা থেমে থাকে নি। এটাই ‘পারবে তুমিও’র মূলমন্ত্র। ব্র্যাকইউ ডুবুরি’র এই অসাধারণ সাফল্যের অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’
ব্র্যাকইউ ডুবরির এমন অসামান্য সাফল্যে দলটিকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলি এবং তিনি জানান যে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে সবসময় সহায়তা করবে।
ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ড্রাস্টির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজিজুল হাকিম শিক্ষার্থীদের আরো বেশি গবেষণা ও উদ্ভাবনে মনোনিবেশ করার বিষয়ে আহবান জানান কেননা বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে ইতিমধ্যে এই ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সায়েন্স এর চেয়ারপারসন ড. সাদিয়া হামিদ কাজী।
‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে’ জবি শিক্ষার্থী অংকনের রেকর্ড

সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ে নাম লিখিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম অংকন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে "ফাস্টেস্ট টাইম টু সেটআপ এন্ড টপেল ফাইভ ইরেজার " অর্থাৎ পাঁচটি শোয়ানো রাবার দাঁড় করিয়ে আবার একটির উপর আরেকটি ফেলে দিয়ে তিনি এ রেকর্ড করেন।
গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) এ রেকর্ডের বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, ২.৪৭ সেকেন্ডে পাঁচটি রাবার দাঁড় করিয়ে একটির উপরে আরেকটি ফেলে তিনি নতুন রেকর্ড গড়েন। এর আগে একই বিষয়ে মালয়েশিয়ান নাগরিকের ৩.৬৪ সেকেন্ডের রেকর্ড ছিলো। গত ১৭ মে তিনি এ রেকর্ড করলে ২৩ আগস্ট ই-মেইলে তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গিনেস বুক।
এ বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে অংকন বলেন, অনুভূতি শব্দে প্রকাশ করার মতো নয়। আমি খুশি, খুব খুব খুশি। প্রায় তিন বছর থেকে চেষ্টা করছি গিনেস বুকে নাম লেখাতে, অবশেষে পেরেছি। ইচ্ছে আছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গিনেস রেকর্ড হোল্ডার হওয়ার।
উল্লেখ্য, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ছাড়াও অংকন একজন উপন্যাস লেখক। এ পর্যন্ত তার চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম উপন্যাস শূন্য ঠিকানা প্রকাশিত হয় ২০২০ অমর একুশে বইমেলায়, এরপর খোঁপার বাঁধন, দখিনা চিঠি এবং হাওয়া যথাক্রমে ২১,২২ ও ২৩ বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তার আরেকটি উপন্যাসের কাজ চলমান আছে।
এপিএফনেট স্কলারশিপ পেলেন খুবির দুই শিক্ষার্থী

খুবি প্রতিনিধি : এশিয়া-প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ফর সাস্টেইনেবল ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (এপিএফনেট) স্কলারশিপ পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী তানজিরুল ইসলাম এবং তাইয়িবা তাবাসসুম আন্নি। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, তারা চীনের নর্থওয়েস্ট ফরেস্ট অ্যান্ড এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়েছেন। এটি একটি ফুল ফান্ডেড (এয়ার টিকেটসহ) স্কলারশিপ। এর মাধ্যমে তারা ২০২৩-২৪ সেশনে ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স করবেন। ক্লাস শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
অনুভূতি প্রকাশ করে স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণপ্রিয় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন এবং ডিসিপ্লিনের সকল শিক্ষকবৃন্দের প্রতি কৃজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা আমাদের পথপ্রদর্শক এবং থিসিস সুপারভাইজার সহকারী অধ্যাপক জনাব আশফিকুর রহমান স্যারের প্রতি, যার নির্দেশনার ফলে আমরা এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ পেয়েছি। আশাকরি উচ্চশিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে সক্ষম হবো। সকলের কাছে আমাদের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা প্রার্থনা করছি।
মন্তব্য