ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম

মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
১৩ অক্টোবর, ২০২৫ ৭:৪১
অনলাইন ডেস্ক
মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ

মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

রবিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েমসহ ছাত্রনেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপরতা চালায়। ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শাহনেওয়াজ হোস্টেলের সামনে ফুটপাতের দোকান বসানো নিয়ে ঢাবি ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের এসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ঢাবির শাহনেওয়াজ হলের সামনে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে আসলে কী হয়েছে। যদি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে তা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    জাবিপ্রবির প্রো-ভিসির বাসায় চুরি, নেপথ্যে কি ?

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    ১২ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৪
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
    জাবিপ্রবির প্রো-ভিসির বাসায় চুরি, নেপথ্যে কি ?

    জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জাবিপ্রবির) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের বাসভবন শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

    শনিবার (১১ই অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বাসার পরিচন্নতাকর্মী কক্ষ পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে গেলে এই অবস্থা দেখতে পায়। সরিজমিনে গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যনুসারে, বারান্দা দিয়ে গ্রিল কেটে বাসায় প্রবেশ করে দুষ্কৃতকারী ভিতরে দিয়ে দরজার ছিটকেনি লাগিয়ে দেয়। বাসা থেকে কোনো মূল্যবান সম্পদ বা অর্থদ্রব্য চুরির আলামত না পেলেও সবকিছু তছনছ অবস্থায় পাওয়া গেছে। লকারের ভিতরে ড্রয়ার ভেঙ্গে ল্যাপটপ বের করে আনলেও সেটা অক্ষতই পাওয়া গেছে। ব্রিটকেস ভেঙ্গে ও টেবিলে রাখা নথিপত্র তচনচ অবস্থায় পাওয়া যায়। এতে ধারণা করা হচ্ছে, চুরির উদ্দেশ্য নয়; বরং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই এ ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান বলেন, ‘দুপুরে ফোন আসলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। দরজার বাহিরে থেকে চিটকেনি লাগানো ছিলো। সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে সেটা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। চোর বারান্দার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে। দামি জিনিসপত্র ও ডিভাইস না নিলেও টেবিল ও ব্রিটকেসে থাকা ডকুমেন্টসগুলে এলেমেলো অবস্থায় দেখতে পাই। আমরা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করি। তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সর্বোচ্চ প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। কোন নথিপত্র হারিয়ে গেছে কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে আজ প্রতিবেদন জমা দিবো, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিবে। বাড়ির মালিককে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নিরাপত্তাকর্মী রাখার জন্য বারংবার বলে ও চিঠি দিয়েও সাড়া পাইনি।’

    উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, ‘গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ছুটিতে ঢাকায় যাই। আজ ১১অক্টোবর বিকেলে আসার কথা তাই দুপুরে পরিচন্নতাকর্মী পরিষ্কারের উদ্যেশে কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে এমন অবস্থা দেখতে পায়। এখন পর্যন্ত কোন জিনিসপত্র হারাতে দেখিনি তবে টেবিল ও ব্রিটকেসে থাকা নথিপত্র এলেমেলো অবস্থায় দেখতে পাই। চোরের খারাপ উদ্যেশ্য ছিলো, এমনকি আমার প্রাণনাশের হুমকিও থাকতে পারে। আমি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ শিক্ষকরা এসেছেন। আজ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিবো। কারা কোন উদ্যেশে এসব করছে বুঝতে পারছি না।’

    এদিকে বাড়ির মালিক শাহীনুর রহমানের বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন। সাংবাদিকদের প্রথমে বক্তব্য দিতে তীব্র আপত্তির পর জানান, ‘বাহিরে আমগাছ দিয়ে হয়তো উঠেছে ৷ ছোট জায়গা, ওখানে ৮/১০বছরের বাচ্চা ঢুকতে পারে ক্যাশ টাকা চুরির জন্য। অন্যকেউ না, বাচ্চা বুঝবে কি করে কোথায় কি আছে, ল্যাপটপ সম্পর্কে তার ধারণাই নাই সম্ভবত। কোন নথিপত্র নেয়ার জন্য চোর এসেছে বলে আমার মনে হয় না।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বাড়িতে কোন নিরাপত্তাকর্মী কিংবা কেয়ারটেকার নেই।’

    বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ঘটনাটিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও রহস্যঘন আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘উচ্চপর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করা জরুরি। রাতেই স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছে।’

    জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুস সাকিব দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন ‘আমরা তাৎক্ষনিক সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি ৷ প্রো-ভিসি স্যারের কি হারানো গিয়েছে সেটা আমাদের ইনফর্ম করবেন, এরপর তদন্ত কার্যক্রম চলবে। এরমধ্যেও আমরা আমাদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      পাবিপ্রবি পরীক্ষায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রী ফলাফলে কৃতকার্য

      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      ১১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৪:৪৯
      ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
      পাবিপ্রবি পরীক্ষায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রী ফলাফলে কৃতকার্য

      পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে একটি ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় দুইজন ছাত্রী নকলসহ ধরা পড়েন এবং ঐ পরীক্ষাটিসহ সবগুলো পরীক্ষা থেকে ঐ দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু গত বুধবার ঐ ব্যাচের প্রকাশিত ফলাফলে ঐ ছাত্রীকে কৃতকার্য দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগটিতে নানান সমালোচনা শুরু হয়েছে।

      খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১—২২ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গত এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ পরীক্ষায় জিই-২২০৯ কোর্সে জয়ন্ত রাণী বিশ্বাস এবং মুসফিকা বিনতে হাকিম নামের দুই ছাত্রী নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েন। পরবর্তীতে ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের (ডিবি বোর্ড) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐ দুই ছাত্রীকে পুরা সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করার নির্দশনা দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐ দুই ছাত্রী ২০২২-২৩ শিক্ষার্ষের সাথে ক্লাস করাও শুরু করেন।

      কিন্তু গত বুধবারে (৮ অক্টোবর) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১—২২ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায় ঐ দুই ছাত্রী নকলে ধরা পড়া কোর্সসহ সবগুলো কোর্সে কৃতকার্য হয়েছেন। জিই-২২০৯ কোর্সে জয়ন্ত রাণী বিশ্বাস ‘বি+’ এবং মুসফিকা বিনতে হাকিম ‘এ’ পেয়েছেন।

      বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থী যদি কোন কোর্সে নকলসহ ধরা পড়েন তাহলে ঐ কোর্সের খাতা, নকলের প্রমাণাদিসহ সব কিছু ঐ দিনই বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে দিয়ে আসবেন এবং ঐ খাতা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরেই সংরক্ষিত থাকবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঐ দুই ছাত্রীর দুটি খাতা ঐদিনই বিভাগ থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে এবং ঐ দুটি খাতা এখনো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরেই সংরক্ষিত আছে।

      প্রশ্ন উঠেছে, ঐ খাতা যদি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরেই থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক কীভাবে ঐ দুই ছাত্রীর খাতা দেখেছেন এবং কীভাবে ওরা পাশ করেছে।

      এ বিষয়ে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক খন্দকার আরিফুজ্জামানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে ঐ ছাত্রীকে অকৃতকার্য দেখিয়েই ফলাফল পাঠিয়েছি। এরপর কী হয়েছে সেটা আমি বলতে পারবোনা। শেষে রেজাল্টের যে ভেরিফিকেশন হয় সে সময় আমি শিক্ষার্থীদের সাথে ভ্রমণে থাকার কারণে সেটা দেখতে পারিনি।’

      তবে এটিকে বিভাগের শিক্ষকদের ভুল বলে স্বীকার করেছেন পরীক্ষা কমিটি এবং বিভাগটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা যেসকল শিক্ষকরা ফলাফল তৈরীর দায়িত্বে ছিলাম তাদেরই ভুল হয়েছে। আমাদের ব্যস্ততার কারণে এই ভুলটি হয়ে গেছে। তবে এই ভুলটি আমাদের চোখে পড়ার পর আমরা ফলাফলটি স্থগিত করেছি। আমরা এই দুই ছাত্রীকে অকৃতকার্য দেখিয়ে নতুন ফলাফল প্রকাশ করবো।’

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        সেই রথীন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দুদকের

        অনলাইন ডেস্ক
        ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৪৩
        অনলাইন ডেস্ক
        সেই রথীন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দুদকের

        সেই রথীন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশদুর্নীতি দমন কমিশন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক রথীন্দ্রনাথ দত্ত ও তার স্ত্রী চন্দনা দাশকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে তাদের বিদেশগমন নিষেধে আদালতে আবেদন করেছে সংস্থাটি।

        বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

        তিনি জানান, রথীন্দ্রনাথ দত্ত জালিয়াতির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন নামে একাধিক পাসপোর্ট সংগ্রহসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থের মাধ্যমে তিনি দেশে-বিদেশে নিজের নামে ও নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে বেনামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।

        তবে অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে রথীন্দ্রনাথ দত্ত ও তার স্ত্রীর কাছে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ ধারা এবং দুদক বিধিমালা, ২০০৭-এর ১৭ বিধি অনুযায়ী ফরম-৫ মোতাবেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও দায়-দেনার বিবরণী চাওয়া হয়েছে।

        এ ছাড়া রথীন্দ্রনাথ দত্তের লিয়েন গ্রহণ এবং তার নামে থাকা পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশগমন সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে তা সন্দেহজনক বলে দুদক মনে করছে। এজন্য রাষ্ট্রীয় স্বার্থে তার বিদেশগমন নিষিদ্ধ করতে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          উপাধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে শিক্ষার্থীর সাথে ধস্তাধস্তির অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:৩৬
          ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
          উপাধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে শিক্ষার্থীর সাথে ধস্তাধস্তির অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

          রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষের কক্ষে কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসের একজন শিক্ষার্থীকে ডেকে সেই শিক্ষার্থীর সাথে ছাত্রদলের ধস্তাধস্তির অভিযোগে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে। বুধবার (৮ অক্টোবর) কলেজ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহবায়ক ও তার অনুসারীদের আচরণে কলেজজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

          কলেজ হোস্টেলের এফ ব্লকের শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী রুহুল জানান, তার নামে অফিশিয়ালভাবে হোস্টেলের সিট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও তাকে বারবার সিট ছাড়ার জন্য ছাত্রদল থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গত ৮ অক্টোবর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ তুলে উপাধ্যক্ষের কক্ষে ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. যহুর আলী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. সেরাজ উদ্দিন, ছাত্রদল সভাপতি আবিরসহ অনেকে।

          রুহুলের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিল বাবদ টাকা চাওয়ার বিষয়টিকে ‘চাঁদাবাজি’ বানিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। উপাধ্যক্ষের রুমে প্রবেশ করেই ছাত্রদল সভাপতি আবির ও তার সহযোগীরা তাকে মারতে তেড়ে আসে। স্যাররা উপস্থিত না থাকলে হয়তো আজ আমি মার খেতাম বলেন রুহুল।

          রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইব্রাহিম আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার কক্ষে এমন ঘটনা ঘটবে, কল্পনাও করিনি। আমরা শিক্ষকরা বসে থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের কর্মীরা এক শিক্ষার্থীকে মারতে উদ্যত হয়। আমরা তাকে রক্ষা করেছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

          তবে কলেজ শাখার ছাত্রদলের আহবায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির ভিন্ন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী চাঁদা দাবি করেছিল তাই তাকে ডাকা হয়। সেখানে সে উচ্চস্বরে কথা বললে আমরা প্রতিবাদ করি কিন্তু মারামারি হয়নি।

          শিক্ষকদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতার নেতৃত্বে উপাধ্যক্ষের রুমে এভাবে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া কলেজের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

          একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এমন দুঃসাহস দেখানো আমাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। এটা স্পষ্টভাবে প্রশাসনিক শৃঙ্খলার অবমাননা।

          ঘটনার পর কলেজ প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, শুধুমাত্র তদন্ত নয়, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন শিক্ষাঙ্গনের মর্যাদা নষ্ট করতে না পারে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত