তাফহিম, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার টেকনাফে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিয়েছে এক শিক্ষার্থী। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন নিলুফা ইয়াছমিন নামে ওই শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় নিলুফার বাবা পেঠান আলী (৬০) মারা যান। এরপর শুরু হয় মেয়ের কান্না। কোনোক্রমেই কান্না থামছিল না। বাবার মৃত্যুতে নিলুফা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে সহপাঠী ও স্বজনরা অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দিতে উৎসাহিত করে।
স্থানীয় হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘বাবার লাশ ঘরে রেখে মেয়েটি সকালে কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে নিলুফার বাবা রঙ্গিখালী মাদ্রাসায় ক্যাম্পাসে রাস্তায় স্ট্রোক করে আকস্মিকভাবে মারা গেছেন। তিনি রাতে ক্যাম্পাসে সুপারি বাগান দেখভাল করতেন।
নিলুফার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসাইন জানান, বাবার মৃত্যুর পর সে পরীক্ষা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছিল। যেহেতু বোর্ড পরীক্ষা তাই তাকে সান্ত্বনা দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। তবে সে দেড় ঘণ্টা লিখে চলে আসে বাড়িতে।
এই পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত ছিদ্দিক আহমদ ও কলেজের প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘বেলা ১১টায় পরীক্ষায় অংশ নেয় নিলুফা ইয়াছমিন। তবে সে সাড়ে ১২টায় হল থেকে খাতা জমা দিয়ে বের হয়ে যান। তার বাবার মৃত্যুর সংবাদ আমরা শিক্ষকরা জানতে পেরে তাকে মানসিক সাহস জোগাতে সহযোগিতা করেছি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জেনেছি। পরীক্ষা কেন্দ্রে শোকাহত ওই শিক্ষার্থীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে হলের দায়িত্বরতদের বলেছি।