শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শারমিন মৌসুমি কেকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদুল।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকার হিরন আহমেদ লিটুর স্ত্রী ও ঝালকাঠি জেলার যুব মহিলা লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদুল জানান, জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে বাসায় ঢুকে খাটে শোয়া অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান। পরবর্তীতে মহিলা পুলিশ মরদেহ চেক করে এক অংশে রক্ত জমাট রয়েছে দেখতে পান।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যা করেছেন। মৃত্যুর খবর চাপা রাখতে তারা কাউকে জানাননি। এমনকি যে রুমের ভেতরে কেকার মরদেহটি ছিল, সেই রুমের সামনে স্বামী লিটু একটি রামদা নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি কাউকে রুমে প্রবেশ করতে দেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করবেন বলে জানিয়েছে কেকার স্বজনরা।
এদিকে কেকার মেয়ে দিতান জানান, বিকেল থেকে তার মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে রাতে রুমের দরজা খুলে দেখতে পান তার মা মৃত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে বিষয়টি অবগত করেন। তবে তার মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে তার হার্টে রিং পড়ানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোববার রাতে কেকা নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। এরপর সোমবার রাত পর্যন্ত তিনি কক্ষের দরজা না খোলায় পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে তার মেয়েরা দরজা খুলে দেখতে পান, কেকা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের মোট ৩টি মামলার আসামি ছিলেন শারমিন মৌসুমি কেকা।
নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলার হুমকি সারজিসের
দুর্নীতি ও চাঁদাবাজবিরোধী লংমার্চ শেষে পথসভায় বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের ঘটনায় নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
গতকাল শনিবার রাতে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্কের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে সমাপনী পথসভায় সারজিস আলম এই হুমকি দেন। তার এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও বক্তব্য রাতেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তার এই বক্তব্যে পঞ্চগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গণসহ দেশব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সারজিস আলম বলেন, ‘একবার নয়, দুবার নয়, এবার নিয়ে তিনবার এনসিপির অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎ–বিভ্রাট দেখা দেয়। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে। এনসিপির প্রোগ্রামের সময় এটা হয় কেন? এক দিন হয়ত দুই দিন কিছু বলতাম না। কিন্তু আজ নিয়ে তিন দিনই এটা হইছে। যারা এই কাজ করেছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক দেউলিয়া, তাদের আমরা দেখে নেব। তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব। এরপর দেখব পঞ্চগড়ের নেসকোর দায়িত্বে কে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, আপনারা রাজনৈতিক চাটুকার। আপনারা একেকজন রাজনৈতিক তোষামোদকারী পাচাটা। এজন্য এনসিপির প্রোগ্রামের সময় প্রত্যেকবার এইটা হয়। আমি সারজিস আলম এখানে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, এরপর থেকে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, ওই প্রতিষ্ঠান এখানে থাকবে না। এটা আমার নিজের কমিটমেন্ট।’
এর আগে শনিবার দুপুর থেকে এই লংমার্চ কর্মসূচিতে দেড় থেকে দুই হাজারের মতো মোটরসাইকেল নিয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন। এই লংমার্চ জেলার পাঁচ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে। বিভিন্নস্থানে পথসভার পর রাতে জেলা শহরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই সমাপনী পথসভা আয়োজন করা হয়। এই পথসভাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতিও নেয় এনসিপি। শহরের বিভিন্ন স্থানে ৩০টির মতো মাইক লাগানো হয়।
রাতে পথসভায় সারজিস আলম বক্তব্য শুরু করলে কয়েক মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে তার বক্তব্য চলাকালীন আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। সারজিস আলমের এই বক্তব্যে পঞ্চগড়ের সর্ব মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এমন মন্তব্য করেছেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতা বক্তব্য দেওয়ার সময় সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কাউকে বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করে বক্তব্য দেওয়া কাম্য নয়।
ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে, একজন পলাতক: সেনাসদর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জারি হওয়া ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে চাকরিতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। এর মধ্যে একজন এলপিআরে থাকা কর্মকর্তা। আরেক সেনা কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে সেনাসদর।
আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘গুমের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে তাদের ওয়ারেন্টের কপি হাতে পায়নি সেনাসদর।’
তিনি আরও বলেন, 'তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন অবসরে রয়েছেন, একজন এলপিআরে। বাকি ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে কর্মরত ১৫ জন এবং এলপিআরে থাকা একজন সেনা কষ্ট দিতে আসেন।'
মো. হাকিমুজ্জামান জানান, মেজর জেনারেল কবির আহমেদ গত ৯ অক্টোবর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি সেনা সদরের জয়েনও করেননি। বিভিন্ন বন্দর ও এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে, যাতে কেউ দেশত্যাগ করতে না পারেন।
হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চায় গুম ও খুনের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঠিক বিচার হোক। সেনাবাহিনী চায় ইনসাফ। ন্যায়বিচার বা ইনসাফের প্রশ্নে সেনাবাহিনী আপসহীন। তবে অফিসিয়ালি এখনও চার্জশিটের কপি সেনাবাহিনী হাতে পায়নি। নোটিশ দেওয়ার পরও মেজর জেনারেল কবির নামে একজন সেনা কর্মকর্তা সাড়া দেননি। তার বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে চার্জশিটের কপি পেলে আমরা কার কি অপরাধ তা খতিয়ে দেখব।'
নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় বিএনপি নেতাকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বিজয় হত্যা মামলায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ইসমাঈল তোতাকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার চরএলাহী বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, চর এলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হোসেন মেম্বার, চর এলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়েল মাস্টার, চর এলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা মাস্টার, কোম্পানীগঞ্জ ওলামাদলের সদস্য সচিব মাওলানা আইয়ুব আলী, বিএনপি নেতা মো.ইসমাঈল হোসেন তোতা প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড জামায়াত থেকে বিএনপিতে আসা ফখরুল ইসলাম তার অনুসারী তোতা হত্যা মামলার আসামিদের সেভ করতে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দুরের একটি হত্যার ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিএনপি নেতা ইসমাঈল তোতাকে মামলার আসামি করে। বক্তারা অবিলম্বে ইসমাঈল তোতার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে এই মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।
অভিযোগ নাকচ করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মাকেত সদস্য ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযোগ অনেকেই করতে পারে আমি এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানিনা।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, বাদী অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকে ষড়যন্ত্রমূলক আসামি করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাগড়াছড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই ১৯ দোকান
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আগুন লেগে একটি মার্কেটের ১৯টি দোকান পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক চৌধুরী জানান, উপজেলার জালিয়াপাড়া এলাকার ‘হাজ্বী ইসমাইল মার্কেটে’ শনিবার রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘আগুন লাগার পর মুহূর্তে তা চারোদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে দোকান মালিকরা মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।’
স্থানীয়দের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। তবে গুইমারা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়।
ওসি এনামুল বলেন, ‘একটি টায়ারের দোকান থেকে আগুন লাগে।’
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য