শিরোনাম
ইবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নেতৃত্বে সানি-আশিক
ইবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের খায়রুজ্জামান খান সানি সভাপতি ও আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আশিকুর রহমান সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন। বিজ্ঞপ্তিতে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
নব মনোনীত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, আমার দায়িত্বের শুরুতে লেখক ফোরামের মৌলিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লেখালেখির সংখ্যা ও মান বৃদ্ধি, ইবি শাখার নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং মানসম্মত ও সৃষ্টিশীল লেখক তৈরিতে জোর দিতে চাই। এমনকি একবিংশ শতাব্দীর সাথে তাল মিলিয়ে একাডেমিকের বাইরে প্রযুক্তিগত বিষয়ে তরুণ লেখকদের দক্ষ করে তোলা এবং সকলের সহযোগিতায় ইবি শাখার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি ঘটাবো বলে বিশ্বাস রাখি।
সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানি বলেন, আমাকে ইবি শাখার সভাপতি মনোনীত করায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পর্ষদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করছি সকলের ঐক্যবদ্ধ, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। তরুণ লেখকদের পরামর্শ দেওয়া, পত্রিকায় লেখা প্রকাশে সহযোগিতা করাসহ লেখালেখি বিষয়ক সভা, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম। এছাড়া ইবি শাখা পরপর চার বারের বর্ষসেরা শাখা নির্বাচিত হয়।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ঢাবি অধ্যাপক শামসুল আলম
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম। রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাঁকে এই নিয়োগ দেন। এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলমের নিয়োগের মেয়াদ হবে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি যেকোনো সময় এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন–ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। তবে বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা পাবেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাঁকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।
অনলাইনে করা যাবে সাত কলেজের সার্টিফিকেট উত্তোলনের আবেদন
বাঙলা কলেজ প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র উত্তোলনের আবেদন করতে আর স্বশরীরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যেতে হবে না। এখন থেকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র তুলতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর দপ্তর থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ‘কলেজের জন্য নির্দেশাবলি’ নামে একটি দিক নির্দেশনা মেইলে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে, সব বিভাগে গুরুত্ব সহকারে জানানোর জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ।
ঢাবি-জাবিতে হত্যার ঘটনায় যা জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘২২ তারিখ (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খোলা হচ্ছে। দেশজুড়ে অন্যান্য ক্যাম্পাসও দ্রুত খোলা হবে। শিক্ষার্থীরা কোনও হামলাকারীর সঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষায় বসতে পারে না। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। প্রশাসনিকভাবে কোনও আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে ক্যাম্পাসে অনেকেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার গুণ্ডাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। হাসিনার অত্যাচারী শাসনামলে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলে যারা তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন, গণতন্ত্র-ন্যায় এবং সত্যের পক্ষে কথা বলেছেন তারা অনেকেই নির্বিচারে মামলার শিকার হয়েছেন। অতীতে যারা হাসিনার স্বৈরতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে লাঠিয়াল হিসেবে গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন করেছেন, সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত তাদের বিচারের আওতায় আনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে যারা নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
যেসব শিক্ষক নির্যাতনে সহযোগিতা করেছেন, তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর হওয়া নির্যাতনকে সমর্থন করেছেন বা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা দেখেছি, ক্লাসরুমে বসে যে শিক্ষক নৈতিকতার পাঠ দিয়েছেন, তিনিই আবার স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন। অন্যায়কে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছেন। নতুন বাংলাদেশে আমরা এমন শিক্ষক চাই, যারা তাদের শিরদাঁড়া উঁচু করে কথা বলবেন এবং শিক্ষকের মহান মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘মবলিঞ্চিং কোনও অবস্থাতেই কোনও সমাধান হতে পারে না। এটা একটা সুস্পষ্ট অপরাধ। যে বা যারাই এর সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করে কেউ যেন পার পেয়ে যেতে না পারে। সব মিলিয়ে আমরা কোনও হামলাকারী বা নির্যাতনকারীর পুনর্বাসন চাই না। ফ্যাসিবাদ-উত্তর বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস হবে জঞ্জালমুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের কোনও পথ যেমন উন্মুক্ত নেই, তেমনই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করছি। পাশাপাশি স্বৈরাচারী হাসিনার ফাসিস্ট রেজিমকে পাকাপোক্ত করতে যেসব সুশীলরা কালচারালি কিংবা পলিটিকালি মদদ যুগিয়েছিল, নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আলাপে তাদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে আটক করে ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে সে গণপিটুনির শিকার হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার বিকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জয় বাংলা ফটক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীমকে মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রক্টরিয়াল বডি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তালা ভেঙ্গে মারধরে ছাত্রলীগ নেতা পিস্তল শামীমের মৃত্যু, ছাত্রদলের ৫ জন শনাক্ত
জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে গণপিটুনিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা ওরফে পিস্তল শামীমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ভিডিও থেকে প্রাথমিকভাবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ এবং রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ।
সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও রাজন হাসান ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এমএন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
নিরাপত্তা কার্যালয়ের ভেতরে চেক শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে পেটাচ্ছেন আরেকজন। এসময় তার হাতে গাছের ডাল দেখা গেছে। এ দিয়েই পিটিয়েছেন তিনি। তাকে রাজু আহমেদ বলে শনাক্ত করা গেছে।
এছাড়া রাজন হাসানের গায়ে হাফ হাতা লাল রংয়ের শার্ট দেখা গেছে। হামিদুল্লাহ সালমানের গায়ে হাফ হাতা শার্ট পরিহিত অবস্থায় ও সোহাগের গায়ে সাদা টি শার্ট ও চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, জিন্স প্যান্ট ও শার্ট পরিহিত অবস্থায় শামীমকে মারধর করছেন সাঈদ হোসেন ভুইয়া।
এসময় তার সাথে থাকা বাকিদের শনাক্তের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
মারধরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে সাঈদ বলেন, কেউই হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে মারধর করে নি। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। আর একজন মানুষ যিনি হেঁটে পুলিশের গাড়িতে গেছে আর কিছুক্ষণের মধ্যে মারা গেছেন এর রহস্য উদঘাটন করা জরুরি।
এ বিষয়ে রাজু আহমেদ বলেন, ’আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে শোনার পর সেখানে গেছিলাম। সেখানে গিয়ে আমি শামীমকে ধমক দিই, তাকে মারধর করিনি।’
রাজন হাসান বলেন, ’আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু মারার জন্য সেখানে যায়নি।যারা তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল তাদের আমি নিষেধ করেছিলাম।’
এবিষয়ে হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ’আমি সন্ধ্যায় হলে ছিলাম। পরে খবর পেয়ে প্রক্টর অফিসে যায় কিন্তু শামীম মোল্লাকে মারধর করিনি।’
এবিষয়ে সোহাগ বলেন, ’আমি টিউশন থেকে ফেরার পথে হইচই দেখে সেখানে গেছিলাম কিন্তু মারধর করিনি।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, আমরা এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, সুষ্ঠ তদন্ত শেষে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো
এর আগে, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ শিক্ষার্থীকে প্রান্তিক গেট এলাকায় দেখতে পেয়ে তাকে গণধোলাই দিতে চান। খবর পেয়ে কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত হলে অন্যরা আরও বেশি উদ্যত হয়। এ অবস্থার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে আসে। সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ প্রায় ৩ ঘন্টা পর প্রক্টর অফিসে আসে। এরইমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী চলে আসে। প্রক্টরিয়াল টিম কয়েকবার চেষ্টা করেও আটকাতে ব্যর্থ হয়।
পরে রাত সোয়া আটটার দিকে পুলিশ আসলে শামীমকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে জানা যায়, শামীম মারা গেছেন। যদিও পুলিশ বিষয়টি রাত বারোটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই রাতে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও গুলিতে তিনি মূল হোতা ছিলেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বহিরাগত ভাড়া করে নেওয়াতেও তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।
এর আগে, মাদকসংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে একাধিকবার গুলি ও হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তিনি। সাভার-আশুলিয়াতে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিল তার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তার কর্মকান্ডের জন্য ৫ আগস্টের পর আশুলিয়া থানায় তার নামে ৪টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য