ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
 
শিরোনাম

চবির ছাত্রী রুকু আত্নহত্যা কারণ পরীক্ষা না দিতে পারা নয়, স্বামীর নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:২
নিজস্ব প্রতিবেদক
চবির ছাত্রী রুকু আত্নহত্যা কারণ পরীক্ষা না দিতে পারা নয়, স্বামীর নির্যাতন

সাইফুল মিয়া, চবিঃ বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষা চলাকালীন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী রোকেয়া খাতুন ওরফে রুকুকে জোর করে গর্ভপাত করানো এবং স্বামী কাউসারের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে। পরীক্ষা না দেওয়া এর পেছনে কোনো কারণ নয়।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এমনটাই অভিযোগ করেছেন রুকুর বড় ভাই আল আমিন সরকার বিপুল।

ফোন আলাপে তিনি বলেন, আমার বোনটা নিষ্পাপ ছিল। সে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাও ছিল। রুকু গর্ভপাত করাতে চায়নি। কাউসার জোর করে তাকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেছে। এরপর কাউসার ঢাকা থেকে রুকুর ক্যাম্পাসে গিয়ে ওকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। যেটার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়েরই বহু শিক্ষার্থী। তাছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলেও এর প্রমাণ মিলবে।

কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় লুটে পড়েন। তিনি বলেন, আমার বোনের লাশটাকে কষ্ট না দেওয়ার জন্য আমরা তখন কিছু বলিনি বা বিচার চাইনি। বোনের লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়াটাই ছিল তখন মূল কাজ। তাই, সত্যটা হয়তো গোপন করেছি। কিন্তু জোর করে গর্ভপাত ও স্বামীর নির্যাতনের কারণেই আমার নিষ্পাপ বোনটা আত্মহত্যা করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার বলেন, রুকুর পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। রুকুর পরিবার যদি এর বিচার চায়, সেক্ষেত্রে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আমরা এর ব্যবস্থা নিব।

ছাত্রী হলের সামনে স্বামী কাউসার কর্তৃক রুকুকে শারিরীক নির্যাতনের বিষয়ে প্রক্টর আরও বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে অভিযোগটি শুনেছি। কিন্তু আমরা এখনো স্পষ্ট প্রমাণ পাইনি। কারো কাছে ওরকম কোনো প্রমাণ থাকলে সে যেন আমাদেরকে দেয়। পাশাপাশি আমরা সিসিটিভি ফুটেজও চেক করতেছি। যদি এরকম কোনো ঘটনা থাকে, তাহলে অবশ্যই তা উঠে আসবে।

উল্লেখ্য, পরীক্ষা চলাকালীন গর্ভপাত করানোর কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তিনটি কোর্সে অংশ নিতে পারেনি।

প্রাসঙ্গিক
    মন্তব্য

    পাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শিপেন চন্দ্র বাঁচতে চায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক
    ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:৮
    নিজস্ব প্রতিবেদক
    পাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী শিপেন চন্দ্র বাঁচতে চায়

    পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী শিপেন চন্দ্র বর্মন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। তিনি ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩৫-৪০ লাখ টাকা।

    ২০১৫ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে চলছে চিকিৎসা। দিনের পর দিন চিকিৎসার খরচ জোগাতে হাঁপিয়ে উঠেছে শিপনের মধ্যবিত্ত পরিবার। এখন অর্থাভাবে থমকে আছে উন্নত চিকিৎসা। কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রয়োজন ৩৫-৪০ লাখ টাকা। টাকা না থাকায় আক্রান্ত শিপেনের করুণ দশা দেখে প্রতিদিন চোখের পানি ফেলছেন অসহায় মা-বাবা। কাঁদছেন এক বছর আগে শিপনের জীবনসঙ্গী হয়ে আসা নববধূ জুঁই রানিও।

    পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের লতিঝাড়ি গ্রামের হরিশ চন্দ্র বর্মনের দুই ছেলে সন্তানের মধ্যে বড় শিপেন চন্দ্র বর্মন। শিপেন চন্দ্র বর্মন ২০০৮ সালে আটোয়ারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর ২০১০ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ।

    শিপেনের বাবা হরিশ চন্দ্র বর্মন বলেন, ২০১৫ সালের শেষের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন প্রায়ই শিপেন অসুস্থ হতো। বেশ কয়েকবার জ্বর হয়। কখনো অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন রকমের পরীক্ষা শেষে শিপেনের কিডনিজনিত রোগ ধরা পড়ে। জানা যায়, দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। সেই থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে শিপেনের চিকিৎসা করা হয়েছে। এখনো রংপুরে তার চিকিৎসা চলছে।

    তিনি আরও বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ছেলেকে ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালে নিয়েছিলাম। সেখানেও কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু আমার তো সেই সামর্থ্য নেই। ছেলের বন্ধুরাসহ গ্রামবাসী বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে, তাদের সহায়তার টাকা দিয়ে চিকিৎসা করেছি। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। যা সম্বল ছিল, ছেলের জন্য শেষ করেছি। এখন আমার যা অবস্থা তাতে দেশেই চিকিৎসা করাতে পারব কি না জানি না। সবার সহযোগিতা ছাড়া ছেলের উন্নত চিকিৎসা ও কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়।

    নিজের অসুস্থ হওয়ার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিপেন চন্দ্র বর্মন। কাঁদতে কাঁদতে জানান, কিডনি রোগে ২০১৫ সাল থেকে ভুগছেন। কখনো কখনো একদিন দু-দিন করে প্রায় মাসখানেক ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকতে হয়। গত সাত বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

    এসময় শিপেন চন্দ্র আরও বলেন, আমরা দুই ভাই। পরিবারে বাবা ছাড়া উপার্জনক্ষম কেউ নেই। কিন্তু বাবা তো এখন অবসরে গেছেন। ছোট ভাইটা কলেজে পড়ে। আমি পরিবারে সবার বড়। আমাকে নিয়ে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন। গরিব হলেও স্বপ্ন দেখতাম, পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হব। দেশ ও জাতির জন্য কিছু করবো। কিন্তু আজ আমার স্বপ্ন নিভে যাচ্ছে। আমি বাঁচতে চাই।

    আমি আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। আমার বাঁচার খুব ইচ্ছে। দেশের কল্যাণে কাজ করতে চাই। একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেলে আমি বাঁচব, আমার সংসার ও পরিবার বাঁচবে। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য যে ৩৫-৪০ লাখ টাকার প্রয়োজন, এই ব্যয়বহুল খরচ আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান, দানশীলসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করছি। দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যদি আমাকে এক টাকা করে দেয়, আমার কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

    রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএম মোবাশ্বের আলম জানান, অসুস্থ শিপেনের দীর্ঘদিন ধরে ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। পাশাপাশি তার থেরাপি চলছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, একইসঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন করা গেলে সুস্থ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ০১৩০৮১০৭০৫৪ (বিকাশ, নগদ, রকেট)।

    এছাড়া ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চাইলে: সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ০২০০০১৪৭৭৯২৯৬। হিসাবের নাম: হরিশ চন্দ্র বর্মন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, আটোয়ারী শাখা, পঞ্চগড়।

    বিস্তারিত জানতে শিপেনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন এই ০১৭৩৮৩৬৬৬০৪ নম্বরে।

    প্রাসঙ্গিক
      মন্তব্য

      গুচ্ছ নিয়ে জবিতে 'লঙ্কাকাণ্ড'

      নিজস্ব প্রতিবেদক
      ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৩১
      নিজস্ব প্রতিবেদক
      গুচ্ছ নিয়ে জবিতে 'লঙ্কাকাণ্ড'

      জবি প্রতিনিধি: ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠেয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) থাকা না থাকা নিয়ে ফের ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে ও মান রক্ষা করতে পর পর দুইটি একাডেমিক কাউন্সিলে নতুন বছরে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের মধ্য দিয়ে তা পুনরায় শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।

      গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রথম থেকেই অবস্থান নিয়ে আসছেন। নিজস্ব স্বকীয়তা হারানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন সংরক্ষণ, গুচ্ছ পদ্ধতির নানা অসংগতি ও হয়রানি বন্ধ না হওয়া সহ সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গুচ্ছ ও গুচ্ছের বাইরে’ এই দুই ভাগে বিভক্ত করে স্বায়ত্তশাসন নীতির মধ্যে বৈষম্য হচ্ছে বলে দাবি জানিয়ে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ববৃহৎ এ শিক্ষক সংগঠনটি স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন সহ সর্বশেষ ৩ এপ্রিল মানববন্ধনও করেছেন।

      জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠ্যক্রমে ছাত্রভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে।’

      শিক্ষকদের দাবির মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ইউজিসির অনুরোধ উপেক্ষা করে ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার লক্ষ্যে কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তবে সেই একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছের পক্ষে মত দেয়ায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। এ নিয়ে তিনি উপাচার্যের নিকট একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন। ঘটনার দুইদিন পর অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভাও অধিকাংশ সদস্যের অনুপস্থিতির অজুহাতে স্থগিত করা হয়েছে। সভার সূচির প্রথমেই ছিলো ভর্তি পরীক্ষা। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই গুচ্ছে থাকা না থাকা নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লঙ্কাকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রশাসনের মাঝেও যেনো তুলকালাম কাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে।

      এদিকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে ওই শিক্ষকের করা হেনস্তার অভিযোগকে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সভায় ওই শিক্ষককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। শিক্ষক সমিতির দাবি, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে এজেন্ডা বহির্ভূত বক্তব্য দিতে থাকেন এবং টেবিল চাপড়িয়ে উত্তেজনাকর ও অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাকে শান্ত হওয়ার জন্য বলেন এবং এক পর্যায়ে কয়েকজন তার হাত ধরে আসনে বসতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে তিনি তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে সভায় উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সেই সভায় কোনো ধরনের লাঞ্ছনার বা হেনস্তার ঘটনা ঘটেনি।

      চলমান নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকেরা বিষয়টিকে উদ্বিগ্নতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। যে বিষয়টি উক্ত সভাতেই নিষ্পত্তি ঘটেছে সেটিকে নিয়ে জল ঘোলা করায় জবিশিস মর্মাহত এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলনে সাতশ সদস্যের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিবার ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় ঐক্যবদ্ধ বলে প্রতিবাদ লিপিতে জানানো হয়।

      এদিকে নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম একাডেমিক কাউন্সিলে (বিশেষ) নিজস্ব পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নিতে ভর্তি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপাচার্যকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব করে কোষাধ্যক্ষ ও অনুষদের ডিনদের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি কমিটিতে অনুষদগুলোর ডিনকে আহ্বায়ক ও পরবর্তী ডিন যিনি হবেন তাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিটভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যানরা ইউনিট ভিত্তিক ভর্তি কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।

      সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক জানান, নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে। ৮ এপ্রিলের সিন্ডিকেট সভা হঠাৎ করেই ডাকা হয়েছিল। ওই দিন সভা হলে অধিকাংশ সিন্ডিকেট সদস্য উপস্থিত থাকতে পারতেন না, তাই সভা পেছানো হয়েছে। সভার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।

      তিনি আরও জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সভার পরে অধ্যাপক ড. আবদুল কাদের একটা অভিযোগ দিয়েছেন। রেজিস্ট্রারকে সেটির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

      প্রাসঙ্গিক
        মন্তব্য

        জাবির এমএইচ হলের ৪৪ ব্যাচের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রি বিতরণ

        নিজস্ব প্রতিবেদক
        ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:২২
        নিজস্ব প্রতিবেদক
        জাবির এমএইচ হলের ৪৪ ব্যাচের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রি বিতরণ

        জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের (এমএইচ) ৪৪ ব্যাচের উদ্যোগে ছিন্নমূল শিশু মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। এ সময় হলের সদ্য প্রয়াত শিক্ষার্থী আরাফাত সিয়াম এর স্মরণে দোয়া করা হয়।

        রবিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ৫টায় মীর মশাররফ হোসেন হলের 'বি' ব্লকে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

        ইফতার মাহফিলে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র আবুল কালাম আজাদ বলেন, পবিত্র রমাজানে আমরা পরিবার থেকে দূরে হলে অবস্থান করছি। এমএইচ হল ছাত্রলীগ পরিবারের ভ্রাতৃত্ববোধের জায়গা থেকে আমাদের এই আয়োজন। পাশাপাশি আমরা হলের ও আশেপাশের পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করি।

        তিনি আরো বলেন, সদ্যপ্রয়াত ছোটভাই আরাফাত সিয়ামের আত্মার মাগফেরাতের জন্য আলাদা করে দোয়া করা হয়েছে।

        শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪৪ ব্যাচের মীর মশাররফ হলের আবাসিক ছাত্র মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'কয়েকদিন আগে আমরা স্নেহভাজন প্রয়াত আরাফাত সিয়ামকে হারিয়েছি। তাকে স্মরণ করে এবং হলের সবার মাঝে ভ্রাতৃত্বের জায়গা থেকেই আজকের এই আয়োজন।

        এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৪৩ ব্যাচের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র মো. বিপ্লব হোসাইন বলেন, এতো সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য হলের ৪৪ ব্যাচের ছোটভাইদের ভালোবাসা জানাই। তাদের উদ্যোগে পথশিশুদের মধ্যে ইফতার বিতরণের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে এমন কাজের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

        আরাফাত সিয়ামের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হয় তা অপূরনীয়। আমি তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।

        এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম প্রীতম, আজিমুশশান নওরোজ প্রনয়, ফারহান সাদিক রিদম, শাহ পরান, মাইদুল ইসলাম সিফাত, শেখ আসিবুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ফরিদ, পিযূষ অধিকারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুক ইমরান, লেলিন মাহবুব, উপ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান খান সহ হল ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

        প্রাসঙ্গিক
          মন্তব্য

          রাবিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে 'প্রচেষ্টার ' ইফতার বিতরণ

          নিজস্ব প্রতিবেদক
          ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ২১:১৮
          নিজস্ব প্রতিবেদক
          রাবিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে 'প্রচেষ্টার ' ইফতার বিতরণ

          রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রচেষ্টা'র উদ্যোগে প্রায় অর্ধশতাধিক অসহায় দুস্থ শিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। আজ রোববার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভদ্রা রোডের সামনে তাদের মাঝে এই ইফতার বিতরণ করা হয়।

          এ বিষয়ে রাবি প্রচেষ্টা'র সভাপতি মারুফ হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অসহায় দুস্থ শিশুরা যেন ইফতারের কষ্ট না পায় সে জন্য আমরা ইফতার বিতরণ করেছি। এসব শিশুদের হাতে ইফতার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল স্তরের বিত্তবান মানুষ অসহায় শিশুদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক।

          ইফতার বিতরণকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাবি প্রচেষ্টা'র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বাপ্পি রহমান, ফাহারিয়া সাথী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাব্বী তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার, শিমুল আলী ও রাকিবুল ইসলাম।

          উল্লেখ্য, অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রচেষ্টা’ ২০২০ সালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করতে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,যুব সমাজে বিভিন্ন সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা (শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহ, মাদক, ইভটিজিং ইত্যাদি) দূরীকরণসহ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে আসছে।

          প্রাসঙ্গিক
            মন্তব্য
            সর্বশেষ সংবাদ
              সর্বাধিক পঠিত