শিরোনাম
বিএসভিইআরের ২৯তম আন্তর্জাতিক বার্ষিক সম্মেলন শুরু শনিবার
বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন রিসার্চ (বিএসভিইআর) এর ২৯তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন আগামী শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শুরু হবে। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে প্রাণীস্বাস্থ্যের টেকসই উন্নতি এবং উৎপাদন’। দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশ বিদেশের ৫০০জন বিজ্ঞানী, গবেষক, মাঠ পর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান ও উদ্যোক্তা এতে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে রয়েছেন দুইজন বিজ্ঞানী। পাশাপাশি এবারই প্রথম স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এই সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।
বিএসভিইআরের বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএসভিইআরের সাধারণ সম্পাদক ও বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে একটি সিম্পোজিয়াম সেশন, একটি প্লেনারি সেশন এবং আটটি ওপেন পেপার সেশন রয়েছে। একটি বার্ষিক বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ এবং দুটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা সহ মোট ৭০টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং ৮৪টি পোস্টার পেপার উপস্থাপন করা হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের একটি ইভেন্ট পরিচালনা করবেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (এফএও) বাংলাদেশের ইমার্জেন্সি সেন্টার ফর ট্রান্সবাউন্ডারি অ্যানিমাল রোগ বিষয়ক কান্ট্রি টিম লিডার ড. এরিক ব্রাম।
সংবাদ সম্মেলনে ড. আরিফ আরও জানান, বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বাকৃবির প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। এবছর প্যাথলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন। পাশাপাশি সার্জারি ও অবস্ট্রিটিক্স বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং বাকৃবির প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেনকে ভেটেরিনারি গবেষণা এবং শিক্ষায় অসামান্য অবদান এবং নেতৃত্বের জন্য আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে। এছাড়া সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের মধ্যে থেকে মৌখিক ও পোস্টার উভয় ক্যাটাগরিতে তিনজন করে সেরা উপস্থাপকের পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি ও বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারির সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসভিইআরের ২৯তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা এবং কালচারাল উপকমিটির সভাপতি ও মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. মিনারা খাতুন।
এসময় অধ্যাপক ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির ভিশনকে সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারে জোর দিতেই এবছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রাণিসম্পদ শিল্পে উদ্ভাবন ও উন্নতির জন্য অনেক সুয়োগ নিয়ে আসবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস এবং রোবোটিক্সের মতো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রাণিস্বাস্থ্য, আচরণ এবং কর্মদক্ষতার উপর ব্যাপক উন্নতি হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে জড়িত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিজ পণ্যের আরও দক্ষ ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি বলেন, বিএসভিইআরের সম্মেলন বার্ষিক বৈজ্ঞানিক মিলনমেলা। এবারের সম্মেলনে ন্যানো টেকনোলজি, ভ্যাকসিন, এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, ফুড সিকিউরিটি, হার্বাল প্রোডাকটিভিটির বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাবে। আধুনিক এই প্রযুক্তির সাহায্যে স্বল্প খরচেই সেবাগুলো উপভোগ করতে পারবেন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র কৃষকেরা।
জাবিতে রেকর্ড সংখ্যক গ্রাজুয়েটদের বর্ণিল ষষ্ঠ সমাবর্তন আগামীকাল
আসিফুল ইসলাম রিফাত,জাবি প্রতিনিধিঃ রাত পোহালেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তন। সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস । গ্রাজুয়েটদের পদচারণা, কস্টিউম সংগ্রহ, ছবি তোলা ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।
দীর্ঘ আট বছর পর শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হতে যাওয়া এবারের সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বেলা আড়াইটায় শুরু হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন রেকর্ডসংখ্যক ১৫ হাজার ২১৯ জন গ্রাজুয়েট ও গবেষক। যার মধ্যে নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ১১ হাজার ৪৪৪ জন, এমফিল ডিগ্রির জন্য ৩৪ জন, পিএইচডি সম্পন্নকারী ২৮০ জন এবং উইকেন্ড প্রোগ্রামের ৩ হাজার ৪৬১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবরক্ষণ অফিসসূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ সমাবর্তনে বাজেট ধরা হয়েছে মোট ১২ কোটি টাকা। যার মাঝে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অর্থায়ন করবে ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বাকি টাকা সমাবর্তনের রেজিস্ট্রেশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে জোগান দেয়া হবে।
এবারের সমাবর্তনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সব বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরধারী গ্রাজুয়েটদের মধ্যে মোট ১৬ জনকে স্বর্ণপদক সম্মাননা তুলে দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খান। যার মাঝে স্নাতক পর্যায়ে ৮ জনকে ‘আসাদুল কবীর স্বর্ণপদক’, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭ জনকে ‘শরফুদ্দিন স্বর্ণপদক’ এবং স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে দর্শন বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফলপ্রাপ্ত একজনকে ‘মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ ট্রাস্টফান্ড স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে।
এদিকে সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সমাবর্তনের ব্যানার টানানো হয়েছে। বিভিন্ন অনুষদের প্রবেশপথ নতুন করে রঙ-আলপনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শহীদ মিনারসংলগ্ন প্রধান সড়ক এবং ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোর পাশে গাছের বেদি মেরামত ও ফুলগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষার এই উৎসবকে ঘিরে তারা মেতেছেন উৎসবের আমেজে। গ্রাজুয়েট - নন গ্রাজুয়েট সকলে সমাবর্তনের গাউন ও টুপি পরিধান করে দলবেঁধে তুলছেন বিভিন্ন পোজের ছবি। আনন্দে মেতে কেউ কেউ আকাশে ঝাপ দিয়ে ছবি তুলছেন আবার কেউবা সবুজ ঘাসে শুয়ে-বসে তুলছেন। কেউ আবার মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তোলার বিকল্প হিসেবে ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এই উৎসবে শামিল হতে অনেক শিক্ষার্থীরা আবার নিজেদের পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আসিফ বলেন, সমাবর্তন আমাদের জন্য অনেক আবেগের বিষয়।ক্যাম্পাসের সিনিয়র -জুনিয়র সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।আমার ভীষণ ভালো লাগছে!
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সায়েম বলেন,পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে এক উৎসবের আমেজ। অনেকদিন পর সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো অনুভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এর আগে মোট পাঁচটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সময়ে পঞ্চম সমাবর্তনে রেকর্ডসংখ্যক ৯ হাজার গ্রাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী ছিলো। যার মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
বাকৃবিতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) গণতান্ত্রিক পরিবেশের নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল জব্বারের মোড়ে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবদারু রোডে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতীর মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থী ইফতীর মৃত্যুকে প্রশাসনিক গাফিলতিকে দায়ী করে ছাত্র ইউনিয়ন।
ছাত্র ইউনিয়নের দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, ময়মনসিংহ মেডিকেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তার অধীনে মেডিকেলে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের আলাদা চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এম্বুল্যান্স সুবিধা বাড়ানো এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক নিয়োগের উদাসীনতা নিরসন করা, হেলথ কেয়ারে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করা, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন অবকাঠামোর আশেপাশে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভন্তরীণ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূনভাবে নিষিদ্ধ করা।
এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সভাপতি হাবিব আহমেদ লিমন এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফ রায়হান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের সুবিধা বৃদ্ধি এবং অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যাবৃদ্ধি আবশ্যক । অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তার জন্য ড্রাইভার নিয়োগের প্রশাসনিক গাফিলতির বলি হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ছাত্র ইউনিয়ন এই প্রশাসনিক গাফিলতির প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানায়।
গত বুধবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পোস্টার স্থাপনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঢাবি সিনেটে গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাবিতে প্যানেল পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
সোহানুর রহমান, রবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে গঠিত 'গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ প্যানেল'-এর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ডীন কমপ্লেক্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম ও রূপালী ব্যাংকের রাজশাহী সাহেব বাজার শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সোয়াইবুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচিতি করান এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল ভোটারকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান।
সভায় আতাউর রহমান বলেন, এবছর ঢাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিকরাসহ অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করছে। আমরা আশা রাখি, এই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ প্যানেল নির্বাচিত হবে এবং এই নির্বাচনের প্রভাব আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সোহরাব আলী, গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী 'দৈনিক আজকের বাংলা'র সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ (বাবলু), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো আনসার উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো সাইফুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপুল কুমার বিশ্বাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো ইলিয়াছ হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মীর হাসান মো. জাহিদ, উপমহাব্যবস্থাপক সৈয়দ মো. তৌহিদুল হক, অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী সার্কেলের মহাব্যবস্থাপক মো. শামসুল হক, সার্কেল ডিজিএম বাবলু মহুরী, অঞ্চল প্রধান মো. আব্দুল মজিদ, রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. ফকরুল হাসান, উপমহাব্যবস্থাপক মো. নিজাম উদ্দিন ও মো. গোলাম নবী, জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, অগ্রণী ব্যাংকের রাবি শাখার এজিএমসহ অগ্রণী, সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাবি সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের ২৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচন ঢাকার কেন্দ্রসমূহে আগামী ১৮ মার্চ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি টেকসই উন্নয়নের পথে বড়ো চ্যালেঞ্জ: রাবি উপাচার্য
সোহানুর রহমান, রাবিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি টেকসই উন্নয়নের পথে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। সম্প্রীতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক আমাদের সেই বার্তায় দেয়। বিভিন্ন গবেষণা দেখা যাচ্ছে, দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ভূমিকম্প সহনশীল স্থাপনা নির্মাণ ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি প্রশমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কৌশল জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশে ভূমিকম্প পরিস্থিতি ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিককালে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ অন্য কয়েকটি অঞ্চলের স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প আমাদের সতর্ক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এরকম বাস্তবতায় এই সেমিনার আমাদের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস ও প্রশমনে টেকসই কৌশল নির্ধারণে দিক নির্দেশ করবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওইস্টার্ন ইনকরপোরেশনের কর্ণধার বিশিষ্ট প্রকৌশল ভূতত্ত্ববিদ মীর ফজলুল করিম ‘আন্ডারইস্টান্ডিং অব আর্থকোয়েক সিনারিও অব বাংলাদেশ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এন্ড বিল্ডিং সেফার সিটিজ’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। পরে উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য