শিরোনাম
ইবিতে বইমেলা শেষে তারুণ্যের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
নিয়ামতুল্লাহ, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৭ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শেষে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন তারুণ্য। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা শেষে রাত ৯টা থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় সংগঠনটির সদস্যরা।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি মুরসালীন আহমেদ সানি ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সংগঠনটির ১৫ জন সদস্য বইমেলা প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্নতায় অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন, তারুণ্যের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান একটি। এর আগেও ক্যাম্পাসের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে একাধিকবার সংগঠনের উদ্যোগে পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কার করেছে আমাদের সদস্যরা। এবারের বইমেলা শুরুর পূর্বে মেলা চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখতে বিভিন্ন গরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাস্টবিনের ব্যাবস্থা করি আমরা। তবুও মেলা শেষে দেখা গেছে পুরো মেলা চত্ত্বর যেন বড়সর একটা ডাস্টবিনে পরিনত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
তিনি আরোও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি পরিচ্ছন্ন পরিবেশই হলো পরিচ্ছন্ন মনের পূর্বশর্ত। আসুন আমরা আরেকটু সচেতন হই। একটু কষ্ট হলেও যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলি। নিজেরা পরিচ্ছন্ন থাকি, আমাদের সুন্দর এই ক্যাম্পাসটিকে পরিচ্ছন্ন রাখি।
উল্লেখ্য, তারুণ্য একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন, যা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত। 'অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত তারুণ্য' প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যর শক্তিকে কাজে লাগানো, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাবসম্পন্ন করে গড়ে তোলা, নেতৃত্ব দক্ষতা তৈরি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ গঠনে বইপাঠ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, বনায়ন, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা সহ নানাবিধ সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে তারুণ্য।
একুশের প্রথম প্রহরে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটি'র শ্রদ্ধা
মোস্তাক মোর্শেদ, ইবি: একুশের প্রথম প্রহরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বাসী সাংবাদিক সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) রিপোর্টার্স ইউনিটি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোস্তাফিজ রহমান রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক তাসনিমুল হাসান প্রান্তর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অংশ নেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি তারিক সাইমুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন আদনান, দপ্তর সম্পাদক শাহরিয়ার রিমন, কোষাধ্যক্ষ শাহীন আলম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাথিয়া ঐশী, ক্রীড়া সম্পাদক খলিলুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য যায়িদ বিন ফিরোজ, মোস্তাক মোর্শেদ ইমন ও মংক্যচিং মারমাসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
এর আগে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, সহায়ক কর্মচারী সমিতি, ইবি শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ, ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, ছাত্র সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কাউট গঠনের নির্দেশ প্রদান
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল বা রোভার গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি গাজীপুরের মৌচাকে জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩২তম এশিয়া-প্যাসিফিক ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলা ও উপজেলায় স্কাউট ভবন করার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর ওই প্রতিশ্রুতির পর গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারই ধারাবহিকতায় আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনাঃ
>> দেশের সব জেলা ও উপজেলায় স্কাউট ভবন, প্রশিক্ষণ ভবন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
>> দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুটি করে স্কাউট দল বা রোভার গঠন করতে হবে।
>> ছেলেদের পাশাপাশি গার্লস স্কাউট বা মাদ্রাসায় স্কাউট যেন গঠন করা হয় সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।
>> প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন স্কাউট প্রশিক্ষণ পায়।
যবিপ্রবির ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. সাইবুর মোল্যা
যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডিনস কমিটির নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা। আহ্বায়ক হিসেবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোঃ গালিবের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যাকে আগামী ছয় মাসের জন্য নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ মাস্টার অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রী অর্জন করেন।পেশাগত জীবনে প্রথমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার পদে কাজ করেন। বর্তমানে যবিপ্রবির পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি(ইএসটি) বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আমি ডিনস কমিটির আহ্বায়ক হয়েছি। ডিনস কমিটির সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। পূর্বের দায়িত্ব (যেমন- হল প্রভোস্ট, প্রক্টর, গবেষণা সেলের ডিরেক্টর, বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাজগুলো) থেকে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পাদনা করতে পারব ইনশাআল্লাহ। ডিনস কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সম্পর্কিত সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আশা করছি । সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও গতিশীল করার জন্য নিজ অবস্থান থেকে সার্বিক চেষ্টা করবো।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
'সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখি, পরিবেশ বাঁচাই’ এই স্লোগানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষর্থীরা। সমুদ্র সৈকতে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন তার। সপ্তাহব্যাপী বিভাগীয় শিক্ষা-সফরের অংশ হিসেবে ভ্রমণে এসে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট অংশে এই অভিযান পরিচালনা করেন আরবি বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
সৈকতে দর্শনার্থীদের মধ্যে পরিবেশ দূষণের ক্ষতি ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে পথসভা করেন শিক্ষার্থীরা। সভা শেষে সৈকতে পড়ে থাকা ও সাগর থেকে ভেসে আসা পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতলসহ পরিবেশ দূষণকারী বিভিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত বর্জ্য সংগ্রহ স্থানে রাখেন। এই কর্মসূচি পরিচালনায় তত্ত্বাবধান করেন বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, আমরা শিক্ষা সফরকে শুধুমাত্র ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যম মনে না করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার চিন্তা করি এবং আমরা ঢাকা থেকে শিক্ষা উপকরণ নিয়ে যাই। আমাদের শিক্ষা উপকরণসহ যাবতীয় কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে ট্যালেন্ট স্টেশনারি ও বিডি বুকস।
এ বিষয়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন বলেন, পড়ে থাকা পলিথিনের ব্যাগ আর প্লাস্টিকের বোতল কুড়ানোর মধ্য দিয়েই সৈকতকে বাঁচানো সম্ভব না। সবার সচেতনতা জরুরি। আমরা সে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। এছাড়া বান্দরবানে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছি। আন্তরিকভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করায় আমার প্রিয় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই।
সফরে তারা বান্দরবান পার্বত্য জেলার সদর থানাধীন বান্দরবান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ জন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও স্বাস্থ্যসম্মত বিস্কুট বিতরণ করেন।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য