শিরোনাম
কৃষি গুচ্ছের ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আজ
কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী আট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই তিনটি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৭ হাজার শিক্ষার্থী (রোল ২৯৫০১-৩৬৫০০), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন ১২ হাজার ৫০০ জন (১০০০১-২২৫০০), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার জন (২২৫০১-২৯৫০০)।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার (৭৮১০৭-৮২১০৬), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ১৫৩ (৮৪১০৭-৮৭২৫৯), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী এন্ড এ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার ( ৮২১০৭-৮৪১০৬), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ৯০০ জন ( ৮৭২৬০-৮৯১৫৯) পরীক্ষা দেবেন।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্র ২৬ হাজার (রোল নম্বর ৩৬৫০১-৬২৫০০), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ২৫ জন (৬২৫০১-৭৪৫২৫) এবং ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার ৫৮১ জন (৭৪৫২৬-৭৮১০৬) শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
মোট ১০টি কেন্দ্রে একযোগে সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মন্তব্য করেছেন, ‘ব্যক্তি পর্যায়ে সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ পোষণ করলেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।’
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাতীয় পরিবেশ অলিম্পিয়াড-২০২২ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ এ কর্মসূচির আয়োজন করেন।
উপাচার্য বলেন, ‘সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি শেখা ও চর্চার জন্য পরিবার সবচেয়ে উত্তম স্কুল। শৈশব থেকেই শিশুদের মধ্যে এ ধরনের অভ্যাস গড়ে তুলতে বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করার জন্য উপাচার্য শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসরীন রফিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা ও সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কে এম আজম চৌধুরী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রচনা, চিত্রাঙ্কন, পোস্টার ও প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
দুদকের পরীক্ষায় পাস করতে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী রুটিনমাফিক পড়তে হবে
দুদকের চাকরিতে রয়েছে বৈচিত্র্য এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। দুর্নীতির প্রতিকার ও প্রতিরোধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকায় দুদকের চাকরি তরুণদের কাছে আরও আকর্ষণীয়। সহকারী পরিচালক, উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক পদের পরীক্ষা পদ্ধতি একই। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের খুব কম সময়ের মধ্যেই পরীক্ষা কার্যক্রম শেষে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরীক্ষার ধাপ সহকারী পরিচালক, উপসহকারী পরিচালক ও কোর্ট পরিদর্শক পদের জন্য পাঁচ ধাপে প্রার্থী বাছাই করা হয়। ধাপগুলো হলো বাছাই পরীক্ষা (প্রিলিমিনারি), লিখিত পরীক্ষা, কম্পিউটার লিখিত, কম্পিউটার ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা। মোট ৪৫০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রিলিতে ১০০ নম্বর, লিখিত পরীক্ষায় ২০০, কম্পিউটার লিখিত ৫০, কম্পিউটার ব্যবহারিক ৫০ ও মৌখিক পরীক্ষায় ৫০ নম্বর। এই পাঁচ ধাপে উত্তীর্ণ হলে পুলিশ ও গোয়েন্দা ভেরিফিকেশনের পর দেওয়া হয় চূড়ান্ত নিয়োগ। প্রতিটি ধাপ পাস করার পর পুলিশ ও গোয়েন্দা ভেরিফিকেশন শেষে দুদকের ওয়েবসাইটে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সাধারণত ১০০ থেকে ৮০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। ১০০টি প্রশ্ন থাকলে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ আর ৮০টি প্রশ্ন থাকলে ১.২৫ নম্বর। সময় ৬০ মিনিট। সর্বশেষ সহকারী পরিচালক, উপসহকারী পরিচালক পদের পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ ছিল। নেগেটিভ মার্কিং থাকতে পারে, আবার না–ও পারে। তাই প্রশ্ন পাওয়ার পর প্রথম কাজ নির্দেশনা দেখা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যেদিন হয়, ওই দিন রাতেই বা পরের দিন ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বাংলা এই অংশ থেকে ২০টি এমসিকিউ থাকে। বিসিএস, ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নের মতো এখানেও একই ধরনের প্রশ্ন থাকে। বাংলার প্রস্তুতি দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। ব্যাকরণ ও সাহিত্য। আগের বছরের প্রশ্ন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাংলা ব্যাকরণ অংশে ধ্বনি, ধ্বনি পরিবর্তন, শব্দ, শব্দভান্ডার, ধাতু, প্রকৃতি-প্রত্যয়, সমাস, বাক্য, বাচ্য, সন্ধি, বানান, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, উপসর্গ, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, বাগ্ধারা ও এক কথায় প্রকাশ—এসব বিষয়ে বেশি প্রশ্ন আসে।
সাহিত্য অংশের জন্য ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যকর্ম, গুরুত্বপূর্ণ লেখকের উক্তি/ কবিতার লাইন, কবি-সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম/ উপাধি, গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্রের সম্পাদক, বাংলা একাডেমি, সংস্কৃত কলেজ, শ্রীরামপুর মিশন, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, শিখা পত্রিকা, মুসলিম সাহিত্য সমাজ, পিএসসির পুরোনো সিলেবাসের ১১ জন সাহিত্যিক, আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ কবি-সাহিত্যিক এবং সাম্প্রতিক বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় আসা কবি–সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম পড়তে পারেন। বাংলা অংশের প্রস্তুতির জন্য সহায়ক বই হিসেবে নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই এবং বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির বই পড়তে পারেন।
ইংরেজি ইংরেজির প্রস্তুতি অনেকটা ব্যাংক ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার মতো। এখানেও ২০টি এমসিকিউ থাকে। বিসিএসের সাহিত্য অংশ থেকে খুব বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা যায়নি। বিগত পরীক্ষাগুলোয় গ্রামার ও ভোকাবুলারিকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
গ্রামার, পার্টস অব স্পিচ, ভয়েস, ন্যারেশন, ডিগ্রি, প্রিপজিশন, সাবজেক্ট অ্যান্ড ভার্ভ এগ্রিমেন্ট, ফ্রেজ অ্যান্ড ইডিয়মস, ক্লোজ ও ট্রান্সফরমেশন বিষয়ে বেশি প্রশ্ন দেখা গেছে। ইংরেজি সমার্থক ও বিপরীত শব্দ, বানান ও বাক্যের অর্থ—এসব বিষয় বেশি করে পড়তে হবে। ইংরেজি অংশে ভালো করতে ইংরেজির শব্দভান্ডার বাড়াতে হবে এবং বেসিক গ্রামারে দক্ষ হতে হবে। পাশাপাশি বিসিএস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়মিত সমাধান করলে প্রস্তুতি ভালো হবে।
গণিত গণিত অংশের জন্য বাস্তব সংখ্যা, বীজগাণিতিক সূত্রাবলি, বহুপদী উৎপাদক, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, নৌকা ও স্রোত, ট্রেন–বেগ-দূরত্ব, ঐকিক নিয়ম, সূচক ও লগারিদম, ধারা, লসাগু ও গসাগু, অনুপাত ও সমানুপাত, বিন্যাস ও সমাবেশ, সেট ও সম্ভাব্যতার ওপর জোর দিতে হবে। জ্যামিতি ও পরিমিতি অংশের জন্য রেখা ও কোন, ত্রিভুজসংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, চতুর্ভুজসংক্রান্ত উপপাদ্য, বৃত্তসংক্রান্ত উপপাদ্য, বিভিন্ন ধরনের ত্রিভুজের ক্ষেত্রফলের সূত্র, রম্বস, সামান্তরিক, বর্গ, আয়ত, আয়তাকার, ঘনবস্তু, সিলিন্ডার ও বহুভুজ ভালোভাবে পড়তে হবে।
সাধারণ জ্ঞান বিসিএসের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির বিষয়গুলো থেকে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসে। তবে এখানে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকেও প্রশ্ন আসে অনেক। বাংলাদেশ অংশের জন্য ১৯৪৭-৭১ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪–এর নির্বাচন, আওয়ামী লীগ গঠন, ১৯৬২–এর শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণ–অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, প্রাচীন বাংলার জনপদ, সংবিধান, এসডিজি, ভিশন-২০৪১, ডেলটা প্ল্যান, আদমশুমারি, উন্নয়ন পরিকল্পনা, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পুরস্কার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা, খেলাধুলা, বাংলাদেশের কৃষি ও বিভিন্ন স্থানের আদিনাম/ বৈশিষ্ট্যমূলক নাম জানা জরুরি।
আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বৈশ্বিক ঘটনাবলি, বিভিন্ন সংগঠন, জাতিসংঘ, ভূরাজনীতি, বিভিন্ন দেশের/ রাজধানীর আদিনাম/ বৈশিষ্ট্যমূলক নাম পড়তে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা, যুদ্ধ-সংঘাত, খেলাধুলা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাংলাদেশ সফর, নোবেল প্রাইজ, গুরুত্বপূর্ণ দেশের রাষ্ট্রপতি/ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর, চলমান মেগা প্রকল্প ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাজেট, সমীক্ষা এবং বিভিন্ন সূচক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। বিসিএস প্রিলির বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির যেকোনো একটি ভালো বই ও সাম্প্রতিক অংশের জন্য দৈনিক পত্রিকা পড়তে হবে।
বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞান অংশের জন্য বিসিএস প্রিলির আগের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। পদার্থের অবস্থা, পদার্থের গঠন, মানবদেহ, অ্যাসিড, ক্ষার, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, চিকিৎসা বিজ্ঞান, শব্দ, আলো, ধাতু ও অধাতু এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া বিষয়গুলো থেকে বেশি প্রশ্ন দেখা গেছে। কম্পিউটারের বিষয়ের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার পেরিফেরালস, কম্পিউটারে ইতিহাস, প্রকারভেদ, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, মাদারবোর্ড, এএলইউ, ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস, প্রিন্টার, স্ক্যানার, অপারেটিং সিস্টেম, নম্বর ব্যবস্থা, লজিক গেট, বুলিয়ান অ্যালজেবরা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও টপোলজি, ই-কমার্স, দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির বড় বড় প্রতিষ্ঠান, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং সাইবার অপরাধ ইত্যাদি।
মূলত প্রতিটি বিষয়ে আপনার নিজের শক্ত অবস্থান/ দুর্বলতা বের করে সুন্দর পরিকল্পনা অনুযায়ী রুটিনমাফিক পড়তে হবে। সফল হতে এর বিকল্প নেই। প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষার আগে দেখা যায় শুধু ওই নিয়োগকেন্দ্রিক বই বের হয়। যেমন শুধু দুদকের জন্য কোনো বই। অযথা এসব বই কিনে অর্থ ও সময় নষ্ট করবেন না। পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির ওপর জোর দিন, শর্টকাটে সফল হওয়ার সুযোগ নেই।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ও সুযোগ-সুবিধা কেমন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবার ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নিয়োগ। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা প্রাথমিকে যোগ দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের আগে জানা দরকার এই চাকরির বেতন ও সুযোগ-সুবিধা কেমন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলে আপনি হবেন সরকারি রাজস্বভুক্ত চাকরিজীবী। শুরুতেই বেতন ১৩তম গ্রেডে (১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা)। মূল বেতন ১১ হাজার টাকা। এলাকাভেদে বাড়িভাড়ায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৬০ শতাংশ। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকার জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ বাড়িভাড়া। অন্যান্য স্থানের জন্য বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ।
সহকারী শিক্ষকদের চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা। টিফিন ভাতা ২০০ টাকা। যাতায়াত ভাতা ৩০০ টাকা। সব মিলিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট বেতন ১৯ হাজার ৫০০ টাকা। চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং সাভার পৌর এলাকায় মোট বেতন ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যান্য স্থানে মোট বেতন ১৭ হাজার ৯৫০ টাকা। এই বেতন থেকে কল্যাণ তহবিলের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা এবং ডাকটিকিটের জন্য ১০ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
প্রতিবছর মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে বেতনবৃদ্ধি হবে। অর্থাৎ ৫৫০ টাকা করে বৃদ্ধি হবে। প্রতিবছর মূল বেতনের সমপরিমাণ দুটি উৎসব ভাতা। অর্থাৎ ১১ হাজার টাকা করে উৎসব ভাতা। প্রতিবছর মূল বেতনের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা অর্থাৎ ২ হাজার ২০০ টাকা। চাকরি তিন বছর পূর্ণ হলে মূল বেতনের সমপরিমাণ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাওয়া যায়। চাকরিজীবনে পাবেন দুটি টাইম স্কেল।
সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে পদোন্নতির সংখ্যা খুবই কম। উপজেলায় পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পদোন্নতি পাওয়া যায়। অনেকে চাকরিজীবনের ২০ থেকে ২২ বছর পার করে পদোন্নতি পান। সহকারী শিক্ষকেরা বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই ইনসট্রাক্টর পদে আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেসব পদে চাকরি করতে পারবেন। এ ছাড়া পিটিআইতে ১৮ মাসের ডিপিএড ট্রেনিংয়ে সেখানে ভালো ফলের ভিত্তিতে সেরা ১০ জনকে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
সন্তানের বয়স পাঁচ বছর হলে শিক্ষা ভাতা (১ জন হলে ৫০০ টাকা, দুজন হলে ১ হাজার টাকা) পাবেন। মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জিপিএফ ফান্ডে জমা রাখতে পারবেন। চাকরি শেষে জিপিএফ ফান্ডের ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৩ শতাংশ হারে মুনাফা আর যদি ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে হয় তাহলে ১২ শতাংশ মুনাফা এবং ৩০ লাখের ওপরে হলে ১১ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।
জিপিএফ ফান্ড থেকে বিনা মুনাফায় ঋণ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। গৃহনির্মাণের ঋণের ব্যবস্থাও আছে। যোগ্যতা সাপেক্ষে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ভাতা পাওয়া যায়। গণিত অলিম্পিয়াড মাস্টার ট্রেনার ট্রেনিং, ট্রেনার অব মাস্টার ট্রেনার ইন ইংলিশের (টিএমটিই) কোহর্ট এবং আইসিটি ট্রেনিংয়ে পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।
অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় সন্তানের জন্য পোষ্য কোটা রয়েছে। যোগ্যতা সাপেক্ষে আপনি এক বছর বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন। খরচ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
চাকরির পাঁচ বছর পূর্ণ হলে আপনি পেনশনের আওতায় পড়বেন। চাকরি শেষে পাবেন ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ল্যামগ্রান্ড, এক বছরের পিআরএল, অর্জিত মূল বেতনের ২৩০ গুণ পেনশন ও আজীবন পারিবারিক পেনশন। ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে পেনশনারদের মাসিক চিকিৎসা ভাতা হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে (১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা)। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি অর্থাৎ ৬২৫ টাকা। প্রধান শিক্ষক পদটি ব্লক পোস্ট। তাই ৪৫ বছর পর্যন্ত বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পিটিআই ইনসট্রাক্টর পদে পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেসব পদে চাকরি করতে পারবেন।
ডুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর
গাজীপুরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বি.আর্ক প্রোগ্রামের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুয়েটের সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ ও প্রকাশনা) মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিয়াউল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) পুরকৌশল বিভাগ, কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর (রোববার) যন্ত্রকৌশল বিভাগ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, স্থাপত্য বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তিবিষয়ক যেকোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য