আল-মামুন, পিসিআইইউঃ ‘বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা ইস্যু থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু বা যে বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক সম্পর্ক কাজে আসছে না, সেসব ইস্যু মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। এখানে সাংবাদিকদেরই মূলত কূটনৈতিকের ভূমিকা পালন করতে হবে’ এমনটাই বলেছেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার শীল।
সোমবার (২১ নভেম্বর) ভারতের এস.আর.এম সিকিম ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক বিদ্যায়াতনিক সেশনে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক আলোচনায় দুটো রাষ্ট্র যখন কোনো ইস্যু নিয়ে সমঝোতায় আসতে পারে না, তখন মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাটরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাট বলতে মূলত সাংবাদিকরাই। বৈশ্বিক শান্তি রক্ষায় মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রতিটি প্রান্তে প্রতিবেশী দেশ বা সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহের সুসম্পর্কের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভবিষ্যত সাংবাদিকতা বিনির্মাণেও মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসি আলাদা ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।’
মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে জনগুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অমিমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধান করা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসি আমাদের সমাজেও প্রয়োগ করা যায়। সমাজ কিংবা দেশের অমিমাংসিত বিষয়গুলো এর মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। ভবিষ্যতে সাংবাদিকতার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে এই মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসি একটি বড় ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভাব হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অমিমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানে এটিই হতে পারে সবচেয়ে ফলপ্রসূ পথ।’
‘মিডিয়া ব্রোকার ডিপ্লোম্যাসি: হোয়াট ক্যান ডিপ্লোমেটস লার্ন ফ্রম জার্নালিস্ট’ শীর্ষক দুই ঘণ্টাব্যাপী এই সেশনে পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও এস.আর.এম সিকিম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে শিক্ষার্থীর নানা প্রশ্নের উত্তর দেন প্রশান্ত কুমার শীল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অধ্যয়নের মাধ্যমে কূটনৈতিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়ন যোগাযোগের গবেষণা বিষয়ে বিভিন্ন মডেল উপস্থাপন করেন তিনি।
উক্ত ভার্চুয়াল সেশন শেষে তিনি জানান, একটি অধিবেশন পরিচালনার অর্থ দৃষ্টিভঙ্গি, ধারণা এবং চিন্তার বিনিময়। আমি মনে করি একটি অধিবেশন আমাদের সমাধানের পথ দেখাতে পারে।
আমি বর্তমান বিষয়গুলির সাথে এটির মূল ধারণাটি ভাগ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা এতে উপকৃত হবে এবং সাংবাদিকরা কূটনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই ধারণা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করবে বলে আশাবাদী শিক্ষক প্রশান্ত কুমার শীল।