The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর তালিকায় চুয়েট ছাত্র এম এ হান্নান

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষক অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান। তিনি ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন।

নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে ব্যতিক্রমি ও উল্লেখযোগ্য গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত অ্যানালিটিক্স প্রতিষ্ঠান ‘ক্লারিভেট’।

ড. এম এ হান্নান ইউনিভার্সিটি তেনাগা মালয়েশিয়ার (ইউনিটেন) বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক।

এক বিবৃতিতে ইউনিটেন জানায়, এবার মোট ৬৯টি দেশের গবেষকরা এই স্বীকৃতি পান। তাদের মধ্যে একজন এম এ হান্নান অন্যতম। মালয়েশিয়া থেকে কেবল তিনিই এবারের স্বীকৃতি তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১১ বছরে ড. এম এ হান্নানের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এম এ হান্নান ধারাবাহিকভাবে ওয়েব অব সায়েন্স ইনডেক্সে ৭ হাজার ৯১১টি উদ্ধৃতিসহ ২৫৫টি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

ইউনিটেনের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নূর আজুয়ান আবু ওসমান বলেন, ‘এই সাফল্য ইউনিটেনকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উৎকর্ষতায় বৈশ্বিক মঞ্চে এনেছে।’

অধ্যাপক ড. এম এ হান্নানের এ অর্জনের খবর মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামাসহ শীর্ষস্থানীয় সবকয়টি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেছে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ান ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

ড. এম এ হান্নান ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে স্নাতক করেন। এমএসসি ও পিএইচডি করেন ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে।

ড. এম এ হান্নানের ২৮ বছরেরও বেশি শিল্প ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ড. এম এ হান্নানের গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার বিকাশে ব্যবহারমূলক গবেষণায় দক্ষ ও টেকসই ব্যবস্থা অর্জন এবং ভবিষ্যতের জ্বালানির প্রয়োজনে কম কার্বন প্রযুক্তি অর্জন এবং শক্তি ও বিদ্যুৎ খাতে নেট-জিরো লক্ষ্য অর্জনে স্থিতি।

এ ছাড়াও, উচ্চশিক্ষায় উপযুক্ত শেখার পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য একাডেমিক এবং শিল্প গবেষণা প্রযুক্তিকে শিক্ষণ ও শেখার প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করার সঙ্গে জড়িত ড. এম এ হান্নান। আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সম্মেলনের কার্যক্রমে প্রকাশিত ৪০০টিরও বেশি নিবন্ধের লেখক বা সহ-লেখক তিনি।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বহলা গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (মৃত) ও হালিমা হোসেনের ছেলে ড. এম এ হান্নান। তার সহধর্মিণী ড. রওশন আরা বেগম পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন অর্থনীতিবিদ। তিনি মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের কুমামোটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন। একমাত্র মেয়ে নাহলা ইফতেশাম হান্নান সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে ড. এম এ হান্নান বলেন, ‘একজন উচ্চ উদ্ধৃত গবেষকের স্বীকৃতি মহান সম্মানের। এটি অবশ্যই আমাকে ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও অনেক বেশি স্বীকৃতি দেবে, মনোবল বাড়াবে। আশা করি আমার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশকেও গর্বিত করবে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. উদ্যোক্তা ও সফলতার গল্প
  3. বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর তালিকায় চুয়েট ছাত্র এম এ হান্নান

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর তালিকায় চুয়েট ছাত্র এম এ হান্নান

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষক অধ্যাপক ড. এম এ হান্নান। তিনি ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন।

নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে ব্যতিক্রমি ও উল্লেখযোগ্য গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত অ্যানালিটিক্স প্রতিষ্ঠান 'ক্লারিভেট'।

ড. এম এ হান্নান ইউনিভার্সিটি তেনাগা মালয়েশিয়ার (ইউনিটেন) বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক।

এক বিবৃতিতে ইউনিটেন জানায়, এবার মোট ৬৯টি দেশের গবেষকরা এই স্বীকৃতি পান। তাদের মধ্যে একজন এম এ হান্নান অন্যতম। মালয়েশিয়া থেকে কেবল তিনিই এবারের স্বীকৃতি তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১১ বছরে ড. এম এ হান্নানের গবেষণার ওপর ভিত্তি করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এম এ হান্নান ধারাবাহিকভাবে ওয়েব অব সায়েন্স ইনডেক্সে ৭ হাজার ৯১১টি উদ্ধৃতিসহ ২৫৫টি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

ইউনিটেনের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নূর আজুয়ান আবু ওসমান বলেন, 'এই সাফল্য ইউনিটেনকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার উৎকর্ষতায় বৈশ্বিক মঞ্চে এনেছে।'

অধ্যাপক ড. এম এ হান্নানের এ অর্জনের খবর মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বার্নামাসহ শীর্ষস্থানীয় সবকয়টি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করেছে। এ নিয়ে মালয়েশিয়ান ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।

ড. এম এ হান্নান ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশলে স্নাতক করেন। এমএসসি ও পিএইচডি করেন ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) থেকে।

ড. এম এ হান্নানের ২৮ বছরেরও বেশি শিল্প ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।

ড. এম এ হান্নানের গবেষণার আগ্রহের মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার বিকাশে ব্যবহারমূলক গবেষণায় দক্ষ ও টেকসই ব্যবস্থা অর্জন এবং ভবিষ্যতের জ্বালানির প্রয়োজনে কম কার্বন প্রযুক্তি অর্জন এবং শক্তি ও বিদ্যুৎ খাতে নেট-জিরো লক্ষ্য অর্জনে স্থিতি।

এ ছাড়াও, উচ্চশিক্ষায় উপযুক্ত শেখার পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য একাডেমিক এবং শিল্প গবেষণা প্রযুক্তিকে শিক্ষণ ও শেখার প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত করার সঙ্গে জড়িত ড. এম এ হান্নান। আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সম্মেলনের কার্যক্রমে প্রকাশিত ৪০০টিরও বেশি নিবন্ধের লেখক বা সহ-লেখক তিনি।

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বহলা গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (মৃত) ও হালিমা হোসেনের ছেলে ড. এম এ হান্নান। তার সহধর্মিণী ড. রওশন আরা বেগম পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন অর্থনীতিবিদ। তিনি মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের কুমামোটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন। একমাত্র মেয়ে নাহলা ইফতেশাম হান্নান সেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত।

অনুভূতি জানাতে গিয়ে ড. এম এ হান্নান বলেন, 'একজন উচ্চ উদ্ধৃত গবেষকের স্বীকৃতি মহান সম্মানের। এটি অবশ্যই আমাকে ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও অনেক বেশি স্বীকৃতি দেবে, মনোবল বাড়াবে। আশা করি আমার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশকেও গর্বিত করবে।'

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন