শিরোনাম
কাল পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে ২টি চাঁদ
ডেস্ক রিপোর্ট: পৃথিবী থেকে আকাশে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেখা যাবে দুটি চাঁদ। মূলত মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে প্রভাবিত হয়ে ২ মাসের চাঁদের মত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে একটি গ্রহাণু। একে বলা হচ্ছে ‘মিনি মুন’। যা ২৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যাবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, পৃথিবীর আকাশে ‘মিনি মুন’ ২৯ সেপ্টেম্বর দৃশ্যমান হবে। তবে ‘মিনি মুন’ এতই ছোট এবং আবছা যে খালি চোখে একে দেখা যাবে না। এটি দেখার জন্য পেশাদার সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে। দূরবীন বা হোম টেলিস্কোপেও চোখে ধরা দেবে না এই চাঁদ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আকারে ছোট নতুন চাঁদটি অর্জুন গ্রহাণু বেল্টের অন্তর্গত। আর অর্জুন গ্রহাণু বেল্ট পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরত্বে অবস্থিত। ফলে অনেক দূর থেকে পৃথিবীকে অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। এরপর আবার অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে ফিরে যাবে। ফিরে যাওয়ার আগে মাত্র দুই মাস চাঁদের মতো পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে।
নতুন এই ক্ষুদ্র চাঁদকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিনি-মুন ইভেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের মতে, স্বল্প সময়ের জন্য এ ধরনের গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীকে আবর্তন করতে পারে। যে কোনো গ্রহাণুকে মিনি-মুন হওয়ার জন্য পৃথিবীর প্রায় ২৮ লাখ মাইলের কাছাকাছি আসতে হবে। এ অবস্থায় বস্তুটি অস্থায়ীভাবে পৃথিবীর আকর্ষণে আবদ্ধ হয়ে যায়।
পৃথিবীর আকাশে দ্বিতীয় চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্লোস মার্কোস বলেন, অর্জুন গ্রহাণু বেল্টে থাকা গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন ২৮ লাখ মাইল দূরত্বে আসতে পারে। এ অবস্থায় ভূকেন্দ্রিক শক্তি দুর্বল হয়ে গ্রহাণুটি পৃথিবীর একটি অস্থায়ী চাঁদে পরিণত হতে পারে। যদিও গ্রহাণুটি পৃথিবীর চারপাশে একটি সম্পূর্ণ কক্ষপথ অনুসরণ করবে না। অনেকটা জানালায় উঁকি দেওয়ার মতো করে চলে যাবে গ্রহাণুটি।
সূত্র: স্পেস ডটকম, ফোর্বস ডটকম
বাংলাদেশে যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে পারে না: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, বাংলাদেশ যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে পারে না। ভারত ছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি উন্নত হবে না।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদান তাদের মনে রাখা উচিত।
মানিক সাহা বলেন,‘বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। আমরা ভেবেছিলাম যে, বাংলাদেশে (বাংলাদেশ-ভারত) ফ্লাইট পরিষেবা এখনই শুরু হবে, কিন্তু সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি, এটা (ফ্লাইট চালু) নিশ্চিতভাবেই একদিন ঘটবে। কারণ, ভারত ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থার উন্নতি হবে না।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, তাদের বোঝা উচিত, আমাদের সেনাবাহিনী যে ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের জনগণ যে সহায়তা দিয়েছে তা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
মানিক সাহা আরও বলেন, আমি তাদের (বাংলাদেশিদের) বারবার বলব, মনে রাখবেন—ত্রিপুরার জনগণ কীভাবে আপনার স্বাধীনতার জন্য সাহায্য করেছিল। আমরা সম্ভাব্য সব উপায়ে সাহায্য দিয়েছি। বাংলাদেশে যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে পারে না।
৪০০ বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত
বাংলাদেশি নাগরিকদের আগস্ট মাসে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, আগস্ট মাসে বাংলাদেশের নাগরিকদের ৪৩৪টি পিআরসি (প্রিভিয়াস রেফারেল চেক) আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। পিআরসি নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ভিসা দেওয়ার আগে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে মোট কয়টি ভিসা দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
ভারত বাংলাদেশকে ১৫টি ক্যাটাগরিতে ভিসা দেয়, যার মধ্যে ‘জরুরি পরিষেবাও’ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক আসে ভারতে। একজন কর্মকর্তার মতে, গত বছর বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রায় ১৬ লাখ ভিসা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্রগুলো গত দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীদের এবং জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে সীমিতসংখ্যক ভিসা প্রক্রিয়া করছে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিভাগে করা ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন পর্যালোচনা করেছে।
গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো শুধু শিক্ষার্থীদের এবং জরুরি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যেতে ইচ্ছুক রোগীদের সীমিতসংখ্যক ভিসা পরিষেবা প্রদান করছে।
ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক এবং সুদানের মতো দেশগুলোকে প্রিয়ার রেফারেন্স ক্যাটাগরির (পিআরসি) অধীনে রাখা হয়েছে।
চীন এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ভিসা রয়েছে, যেগুলো অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষার পর প্রদান করা হয়। তবে চীনা নাগরিকদের বিজনেস (ব্যাবসায়িক) ভিসা পিআরসি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে না, শুধু কর্মসংস্থান ও কনফারেন্স ভিসার ক্ষেত্রে এই যাচাই প্রয়োজন হয়। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল সুবিধা প্রদান করে ভারত। যা ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবসা, পর্যটন, সম্মেলন ও চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য।
এদিকে গত ৫ আগস্ট থেকে কঠোর সতর্কতায় রয়েছে বিএসএফ এবং বৈধ নথি বা ভিসা ছাড়া কাউকে দেশটিতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে কঠোর নির্দেশনা পেয়েছে।
সূত্র : দ্য হিন্দু
ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর ড্রোন ইউনিট প্রধান নিহত
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এরই মধ্যে একাধিক হিজবুল্লাহ নেতাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। হামলায় হিজবুল্লার ড্রোন ইউনিটের প্রধানের নিহতের খবর পাওয়া গেল।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর ড্রোন ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ সুরুর নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সেনাবাহিনী দুই পক্ষই এ খবর নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের যুদ্ধবিমান মোহাম্মদ সুরুরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং এতে তিনি নিহত হন। সুরুর হিজবুল্লাহর বিমান ইউনিটের কমান্ডার বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। এর পর হিজবুল্লাহও এক বিবৃতিতে সুরুর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।
হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জনবহুল এলাকায় গোষ্ঠীটির কমান্ডারদের লক্ষ্য করে এ সপ্তাহে চতুর্থবারের মতো হামলার ঘটনা ঘটল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় দুজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, একটি বহুতল আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সোমবার থেকে লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে পালটাপালটি হামলা চলছে। এতে লেবাননে সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। দু'পক্ষের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে পাকিস্তানি টিকটকার
সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক নগ্ন ও অশালীন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় পাকিস্তানি টিকটক তারকা হারিম শাহ গত বছর আলোচনায় আসেন। হারিমের আসল নাম নাকি ফিজা হুসেন। তবে ইনস্টাগ্রামে নিজের হারিম বিলাল শাহ লিখেছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে ৪ লাখ এবং টিকটকে ৬৩ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তার।
পাকিস্তানে অবশ্য থাকেন না হারিম। আর বর্তমান ঠিকানা মরক্কো বলেই জানা গিয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে তিনি যুক্তরাজ্যের লিবারেল ডেমোক্রাটদের পক্ষে প্রচারণা শুরু করে দেশটির রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলার সময় এমনটা জানিয়েছেন তিনি। খবর দ্য ডেইলি পাকিস্তানের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হারিম শাহ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।
হারিম শাহ বলেন, আমি যুক্তরাজ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক দলের জন্য কাজ শুরু করেছি। তারা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে তাদের দলের একটি অংশ করে নিয়েছে এবং এ জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি সবসময় দলটির প্রত্যাশ্যা পূরণের চেষ্টা করব এবং এ দেশে বসবাস করে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের চেষ্টা করব।
এছাড়া এ টিকটক তারকার কিছু বন্ধুও ব্রিটেনে দলটির জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হারিম শাহ বলেন, যুক্তরাজ্যে আমি মেধার ভিত্তিতে এলএলবিতে ভর্তি হয়েছি। আমি পাকিস্তানে স্নাতক শেষ করেছি এবং কুরআনে হাফেজ।
এ ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেছেন―যুক্তরাজ্য সরকার তার এলএলবি পড়ার জন্য সব ফি, আবাসন, জিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত খরচ বহন করেছে।
সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত


মন্তব্য