রাবির সাবেক ছাত্রী লায়লা নাহারের মালেশিয়ায় স্বর্ণপদক অর্জণ
মালয়েশিয়ায় স্বর্ণপদক পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী প্রবাসী বাংলাদেশি গবেষক ড. লায়লা নাহার। গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর মাশরুম ক্র্যাকার্স উদ্ভাবন করায় মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তিনি এ পদক পেয়েছেন। গত ১ থেকে ৩ নভেম্বর মালোয়শিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলানতানে শুরু হয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্মেলনের শেষ দিন ড. লায়লা নাহারসহ ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলানতানের ৮ জনকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলানতানের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রাজলি বিন চী রাজাক, মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি (ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) দাতুক ড. মোহাম্মদ জাবরি বিন ইউসুফ, ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেসন) প্রফেসর ড. আরহাম বিন আব্দুল্লাহ, ডিরেক্টর অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন প্রফেসর ড. আহমাদ জাইদ বিন সোলাইমান, ইউএমকের ডিরেক্টর অব আইসিডি প্রফেসর ড. জুলি বিনতে মোহাম্মাদ।
ড. লায়লা নাহারের উদ্ভাবিত ‘মাশরুম ক্র্যাকার্স’ ১০০ শতাংশ জৈব উপাদানের মাধ্যমে তৈরি। এতে কোনো টেস্টিং সল্ট বা কৃত্রিম রঙ মেশানো হয় না, যার কারণে অনেক স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। মাত্র ৪টি উপাদানে তৈরি বলে প্রস্তুত খরচও অনেক কম। লায়লা নাহার ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ২০১১ সালে তিনি ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে মাইকোলজি অ্যান্ড প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
বর্তমানে তিনি কৃষিভিত্তিক শিল্প অনুষদে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া কেলানতান ২০১৪ সালের জুন থেকে কৃষিপ্রযুক্তি প্রোগ্রামে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে অধ্যাপনা করছেন। এছাড়া হাই ইমপ্যাক্ট জার্নালে তার ৪০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। এ পর্যন্ত একটি ট্রেডমার্ক এবং দুটি কপিরাইট পেয়েছেন।পদক পাওয়ার অনূভূতি জানাতে গিয়ে ড. লায়লা নাহার বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি গবেষকরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। মালয়েশিয়াতেও এর ব্যতিক্রম নয়, তার প্রমাণ দিতে পেরে গর্ববোধ করছি।
উল্লেখ্য, প্রতি দুই বছর পরপর সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পলিটেকনিক, কমিউনিটি কলেজ, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, শিল্প/এজেন্সির বাছাই করা গবেষকদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তাদের এ পদক দেওয়া হয়। এবছর সম্মেলনে অংশ নেন ৪৭৭ জন গবেষক।