স্থায়ী ক্যাম্পাস ইস্যুতে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যথ্য হওয়াই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
রোববার (১ জানুয়ারি) ইউজিসিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন সংক্রান্ত এক জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সাথে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয় দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে তাদের ব্যাপারে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে অগ্রগতি হয়নি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেগুলো হলো—প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ইউজিসির বেঁধে দেওয়া সময়ের (২০২২ সালের ডিসেম্বর) মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে অগ্রগতি দেখিয়েছে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সময় দেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে তালিকাভুক্ত ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দিয়েছিল ইউজিসি। এর মধ্যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে কোনো কোনোটির ইন্ট্রোরিয়ার, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ এবং আসবাবপত্র কেনা বাকি রয়েছে। এমন নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হতে আরও তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় সময় দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে লিখিতভাবে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হতে হবে। আইন অমান্য করা এমন ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে সব ধরনের কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে যাদের বিদ্যুৎ সংযোগসহ ইউটিলিটি সমস্যা রয়েছে তাদের তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন নির্মাণাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলো দ্রুত যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে তাদের ছয় মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।