কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ওয়েবসাইট নতুন রূপে প্রকাশ করেছে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)। তবে প্রকাশিত ওয়েবসাইটে তথ্য ও ছবির ভুল থাকায় বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভুলে ভরা ওয়েবসাইট প্রকাশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে নির্দেশ করে।
ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার ছবির জায়গায় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ছবি দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বিভ্রান্তিকর ছবি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের পদবীতে তথ্যের অসংগতি লক্ষ্য করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুল্লাহ খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্থানের সাথে এমন কিছু ছবি দেখলাম যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছরের জীবনে আগে কখনোই দেখিনি। একজন সহকারী অধ্যাপককে অধ্যাপক হিসেবে ওয়েবসাইটে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছি। এইরকম ভুল প্রশাসনের গাফিলতি কতটুকু তা নির্দেশ করে।
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শামসের তাবরিজ চৌধুরী বলেন, আমরা অত্যন্ত উত্তেজিত ছিলাম কুবির নতুন ওয়েবসাইট নিয়ে। কিন্তু এত টাকা ব্যায় করে একটি ভুলে ভরা ওয়েবসাইট আমাদেরকে হতাশ করেছে। আমরা এধরণের অসঙ্গতি আশা করিনি । আমি আশা করবো দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা ওয়েবসাইটের সমস্ত ত্রুটি গুলো দূর করে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি ওয়েবসাইট আমাদেরকে উপহার দিবেন।
এদিকে ওয়েবসাইটের তথ্যে ভুল রেখেই কেনো উদ্বোধন করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়েবসাইট কমিটির আহবায়ক লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড.মোঃ.রশিদুল ইসলাম শেখ জানান, “ইনফরমেশন সব এখনো আপলোড হয়নি, আমাদের ইনফরমেশন আমাদেরই ঠিক করতে হবে, এখন ট্রায়াল চলতেছে এবং এটা ঠিক করতে কিছু সময় লাগবে।”
শিক্ষার্থীদের মন্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা শিক্ষার্থীদের কোনো ব্যাপার না, টেকনিক্যাল জ্ঞান যাদের নেই তারা অনেক কিছু বলতে পারে। কে কিভাবে দেখতেছে এটা আমাদের ইস্যু নয়।”
ওয়েবসাইটের তথ্যে ভুল রেখেই কেনো উদ্বোধন করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, “ওয়েবসাইটটি এখনো পূর্নাঙ্গ হয়নি, এটা মূলত ট্রায়ালের উদ্বোধন হয়েছে। তথ্যগুলো ভুল না থাকলে ভালো হতো। তবে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ভুলগুলো ঠিক করা হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায় নি।