গোলাম রাব্বানী, সাবেক জিএস, ডাকসুঃ বছরের পর বছর ধরে আমাদের দেশের মূল রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনসমূহ গড়ে বছরে শতাধিক সভা, সমাবেশ, আলোচনা সভা করে আসছেন। দুই একটি ব্যতিরেকে প্রায় সব সেইম মডেল, সেইম স্ট্রাকচার, সেইম সাবজেক্ট ম্যাটার। ২০-৪০% নিজেদের সুনাম, ৬০-৮০% প্রতিপক্ষের সমালোচনা, গীবত, কুৎসা রটনা।
স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাভিত্তিক ও দেশব্যাপী জাতীয় জীবনে গণমানুষের নানাবিধ সমস্যা, সম্ভাব্য সমাধান, একান্ত প্রয়োজন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুক্ত আলোচনা, মত বিনিময়, পয়েন্ট নোট ডাউন, ফলোআপ কিছুই নেই।
লাখো লাখো মানুষের সমাবেশ করছেন। ছবির ফ্রেমে কানায় কানায় পূর্ণ। দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীর বাইরে সাধারণ মানুষ কয়জন? কতজন সেখানে এই ভেবে গিয়েছেন যে, আজকে নেতাদের কাছে দেশ ও দশের কল্যাণে দিক নির্দেশনা মিলবে, অমুক তমুক সমস্যার সমাধান পাবো, নতুন আশার বাণী শুনবো, উন্নয়ন পরিকল্পনা জানবো।
নিজদের রাজনৈতিক সক্রিয়তার জানান দিচ্ছেন বেশ ভাল, কিন্তু সেই সভা সমাবেশ থেকে দেশ, জাতি, সমাজ ইতিবাচক কল্যাণকর কিছু কি পাচ্ছে, আদৌ পেয়েছে? ভেবে দেখেছেন?
মেধা-মনন, ইতিবাচকতা, সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতার অভাবে দিন দিন রাজনৈতিক দল ও নেতা-কর্মীরা যে ‘মাস পিপল’ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্রেফ নিজেদের ভেতর একটা নির্দিষ্ট আদর্শিক বলয় ও গন্ডীতে আড়ষ্ট হচ্ছেন, এটা কি তারা অনুধাবন করতে পারছেন? আলোচনা সভা কমান, কর্ম সভা বাড়ান। [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]