মোস্তাক মোর্শেদ ইমন, ইবিঃ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাচামরার লড়াইয়ে বুধবার মাঝ রাতে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে কিন্তু ম্যাচ ড্র হলেই যেন মেলাতে হবে অনেক সমীকরণ। সেই সমীকরণের সুযোগ না দিয়ে পোল্যান্ডকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে আর্জেন্টিনা। তবে এই উচ্ছাস ছড়িয়েছে গোটা পৃথিবীর আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সাথেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মনেও।
রাত ১ টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রায় ১ ঘণ্টা আগে থেকেই ইবির ক্রিকেট ফিল্ডের জায়ান্ট স্ক্রীনে খেলা দেখতে ভীড় জমে যায়। এদিন প্রতি সেকেন্ডই ছিলো উত্তেজনায় ঠাসা। ১ম হাফের খেলায় বারবার যখন গোলের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিলো প্রতিবারই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের চিৎকারে কেপে উঠছিলো ইবির মাটি। ইবির ক্রিকেট ফিল্ডে ছিলোনা সুই ফালানোর জায়গা। মেয়েদের হলেও খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করায় আর্জেন্টিনার ম্যাচের দিনগুলোতে এই হলগুলো থেকেও ম্যাচের রিয়েকশন ভেসে আসে। আর্জেন্টিনার খেলার দিনগুলোতে প্রতিটা হলের রুম থাকে তালাবদ্ধ। আশেপাশের মেচে থাকা শিক্ষার্থীরাও খেলা দেখতে ভীর করে।
সবশেষে আসে আর্জেন্টিনার জেতার মুহুর্ত। যে মুহুর্তটা ইবিয়ান হিসেবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য চোখের শান্তি। নাচে গানে মেতে উঠে পুরো ক্যাম্পাস। খেলা শেষ হওয়ার পর থেকে পরবর্তী ম্যাচের আগ পর্যন্ত উদযাপনের মধ্যে থাকে ফুটবল প্রেমীরা। চলে বিপক্ষ দলের সমর্থকদের সাথে তর্ক বিতর্ক। চার বছরে এমন সুন্দর মুহুর্ত যেন একবারই আসে। আর এই সময়টাকেই রঙীন করে রাখছে ইবির মেসিভক্তরা।
ইবিতে পড়ুয়া আর্জেন্টাইন পাগলা ভক্ত আশিক জানায়, আর্জেন্টিনার জন্য এই ফলাফলটাই কাম্য ছিলো সবার। তবে মাস্ট উইন ম্যাচ বলে একটু চিন্তাও কাজ করছিলো। কিন্তু প্রথম থেকে মেসিরা যে ভাবে খেলতে থাকে তাতে হাফ টাইমে গোল না হলেও নিশ্চিত ছিলাম এই ম্যাচ হারার কোনো সুযোগ নেই। ম্যাচ শেষে আমরা সব সমর্থকরা পুরো ক্যাম্পাসে বিশাল বিজয় মিছিল করেছি। ব্রাজিলের থেকে ইবিতে আর্জেন্টাইন সমর্থক বেশী। তবে এই দুইদলের খেলা হলে সব দলের সমর্থকরাই খেলা দেখতে চলে আসে। যার ফলে মাঠেই চলে তর্ক বিতর্ক প্রেডিকশন যা কিনা এই সময়টাতে খুবই স্বাভাবিক।
আর্জেন্টিনার পরের ম্যাচ দেখতে উদগ্রীব হয়ে আছে ইবির এই বিশাল ফ্যানব্যাজ। তাদের একমাত্র আশা মেসির হাতেই এবার বিশ্বকাপ টা দেখা।