যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু’র ১৬৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘Sir Jagadish Chandra Bose: An Extra-ordinary Man of Science’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন।
মূল বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন আমার মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি প্রত্যেকে আমার পরম শ্রদ্ধার।এই তিন মা’কে নিয়ে গর্ব করতে চাই এবং এই তিন মায়ের কাছে যদি আমরা থাকি তবেই আমাদের উন্নতি সাধন হবে।জগদীশ চন্দ্র বসু স্যারের জীবনী থেকে আমি এই শিক্ষা অর্জন করেছি। তিনি প্রতিবাদী ছিলেন, তাঁর চাকুরি জীবনের প্রথমেই আমাদের জন্য এ শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, সে জাতি কখনো উন্নত হয় না, যে জাতি তাঁর জ্ঞানী মানুষদের সম্মান দিতে জানে না। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু’র আবিষ্কার শুধু যে বাংলাদেশ বা ভারতীয় উপমহাদেশে সীমাবদ্ধ তা নয়, তাঁর থিওরি ও আবিষ্কার গোটা বিশ্বের জন্য আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছিলো। কাজেই দেশ ও দশের জন্য কে কি দিলো সেটা বিষয় নয়,আমি নিজে দেশকে কতটুকু দিতে পেরেছি সেটাই ভাবতে হবে।
স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা।রিসার্চ সেলের উপদেষ্টা ড. মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো: হাফিজ উদ্দিন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আলমগীর বাদশা।এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু’র জন্মবার্ষিকী। ১৮৫৮ সালের এদিনে ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল।বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে।তাঁর পিতা ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ভগবান চন্দ্র বসু।