নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি: কৃষিভিত্তিক বাঙালী সমাজের প্রাচীন উৎসবগুলোর একটি ‘নবান্ন উৎসব’। শস্যভিত্তিক এই লোকজ উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলার গ্রামগঞ্জে কৃষকের ঘরে ঘরে। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রতিবর্তন’র উদ্যোগেও বাঙালিয়ানা স্মরণে পালিত হয়েছে দিবসটি।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নাচ-গান, আবৃত্তি সহ নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে উৎসবটি।
অনুষ্ঠানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজ সঙ্গীত ভিত্তিক ব্যান্ড ‘সরলা’ এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড প্লাটফর্মের মনকাড়ানো পারফরম্যান্স।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের পাশে ‘প্রতিবর্তন নবান্ন মেলা ও পিঠা উৎসব’ আয়োজন করে সংগঠনটি। যেখানে নানা রকমের পিঠা, সন্দেস,মিষ্টি, চালের রুটি ও হাঁসের মাংস, নানা রকমের ভর্তা, চাউমিন, জলপাই চাটনি, পেয়ারকা ভর্তা, ভুনা খিচুড়ি ও ঐতিহ্যবাহী বাখরখানি নিয়ে পসরা সাজায় স্টলগুলো। খাবার ছাড়াও শিক্ষার্থীরা কাঠের তৈরী গহনা ও ব্যবসায়িক পণ্য নিয়ে অংশ নেয় স্টলে।
প্রতিবর্তনের সন্ধ্যার আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি নবান্ন উৎসব ও নবান্ন মেলার প্রশংসা করে বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক আগানো। আমি মেলার সকল স্টল পরিদর্শন করেছি এবং শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য সব স্টল থেকে কিছুনা কিছু কিনেছি কারণ শিক্ষার্থীরা যত বেশি এক্সটা কারিকুলামে অ্যাক্টিব থাকবে তত তাদের মন ভাল থাকবে।’
উপাচার্য ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।