The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ভাসছে ইবি ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তর্ক-বিতর্ক আর জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে চলছে বিশ্বকাপ উদযাপন। টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে বিভিন্ন হল, বন্ধুবান্ধবের আড্ডা এমনকি ক্লাসের ফাঁকেও চলছে প্রিয় দলের ভালো মন্দের বাড়াবাড়ি। গতবারের তুলনায় এবারের বিশ্বকাপ একটু ভিন্ন। কারণ দিনে রাতে দুই সময় খেলা দেখার সুযোগ হচ্ছে। তাই বিশ্বকাপকে ঘিরে প্রিয় দলের সমর্থকদের উত্তেজনা আর উন্মাদনা যেন একটু বেশিই।

ক্যাম্পাসে বিকেল হলেই দলের সমর্থকরা জার্সি গায়ে পতাকা হাতে আর বাঁশি বাজিয়ে জানান দেয় উন্মাদনার আবেগ। গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিল সমর্থকরা ৭০ ফুট পতাকা নিয়ে মিছিল করেছিলো গোটা ক্যাম্পাস। প্রিয় দল জিতে গেলে রাতেও চলে স্লোগানে আনন্দ মিছিল। ক্যাম্পাসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কে বেশি সেরা। নেইমার, মেসি’র কে বেশি শ্রেষ্ঠ, কার কত অর্জন। ব্রাজিল সমর্থকরা বলেন মিশন হেক্সা এবার সফল হবে। অন্যদিকে ভ্যামোস আর্জেন্টাইন সমর্থকরা, ভাই যা-ই বলেন, বিশ্বকাপ আমাদের।

ক্যাম্পাসের হল, রাস্তাঘাট বিভিন্ন জায়গায় শোভা পেয়েছে যার যার পছন্দের সব পতাকা। কমতি নেই প্রিয় দলের সমর্থক কমিটি করতে আর প্রচার প্রচারনায়। ার। তবে খেলার সময় হলেই দল সমর্থকের ঊর্ধ্বে সিনিয়র জুনিয়র ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে মিলে খেলা দেখা। নানা রকম তর্ক-বিতর্ক বিশ্লেষণ নির্বিশেষে আমাদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় হয়। শেষ পর্যন্ত যেন সুশৃঙ্খলভাবে খেলা গুলো উপভোগ করতে পারি, সেটাই একমাত্র চাওয়া। ক্যাম্পাসে খেলা দেখার জন্য দুইটা জায়েন্ট স্কিন স্পন্সর করেছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠে স্কিন স্থাপন করায় সেখানে শিক্ষার্থীদের আনন্দের মেলবন্ধনে পরিণত হয়েছে।

বিশ্বকাপের উচ্ছাস প্রকাশ করে হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ ফয়সাল (আর্জেন্টিনা সমর্থক) বলেন, ক্যাম্পাসে এটাই আমার প্রথম বিশ্বকাপ দেখা। কিন্তু বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল চলার কারনে না পারছি খেলা দেখে প্রিয় দলকে সমর্থন করতে, না পারছি সিজিপিএ এর চিন্তায় পড়া বাদ দিয়ে খেলা দেখতে। তবে ক্যাম্পাস জীবনে প্রথম বিশ্বকাপ হওয়ায় সব মিলিয়ে দারুণ এক অভিজ্ঞতা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.